আদিত্য–দিশার হট দৃশ্যও হিট করাতে পারল না মোহিত সুরির ‘মলাঙ্গ’কে
একটাই ছবিতে যদি অ্যাকশন, রোম্যান্স ও শিহরণ পান, তার সঙ্গে আচমকাই চলে আসে রহস্য, কেমন হবে বলুন তো? এর জবাব মিলবে মোহিত সুরির 'মলাঙ্গ’ ছবিতে। মুখ্য চরিত্রে আদিত্য রয় কাপুর ও দিশা পাটানি, ছবির শুরুতেই দেখা গিয়েছে সংশোধনাগারের ভেতর আদিত্য তাঁর প্রেমিকার ব্রেসলেটের জন্য তারই এক সহবন্দির সঙ্গে লড়াই করছে। লড়াইটি অতিদীর্ঘ করেছেন পরিচালক যার কোনও অর্থই ছিল না। শুধুমাত্র আদিত্য কাপুরের সুঠাম দেহই দর্শক দেখলেন। এই ছবিতে আদিত্য লুকস অসাধারণ হলেও, ছবিটা দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হল। এই লড়াইয়ের কিছুক্ষণ পর অদভেত (আদিত্য রয় কাপুর) ইনস্পেক্টর অনজানে অগাসে (অনিল কাপুর)–কে ডাকেন এবং তাঁকে বলেন, 'ইয়ে রাত লম্বি হোনে ওয়ালি হ্যয়’, যা দর্শকদের জন্য কিছুটা হলেও সত্যি।

ছবির গল্প
‘মলাঙ্গ' ছবির গল্প খুব একটা আহামরি কিছু নয়। কিছু কিছু দৃশ্য অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। ছবিতে যে রহস্য রয়েছে তা নিয়েও খুব একটা কাজ করা হয়নি। ছবিতে দেখানো হয় অদভেতের সঙ্গে গোয়ায় আলাপ হয় সারার (দিশা পাটানি। তাঁরা দু'জনেই একে-অপরের প্রমে পড়েন। সারা খুবই স্বাধীনচেতা মেয়ে, নিজের জীবনকে নিজের হিসাবে চালান তিনি, প্রাণোচ্ছলে ভরপুর সারা জীবনকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে চান। অদভেতও খুশি সারাকে পেয়ে এবং সারার ছবি তোলেন অদভেত। সারা তাঁর প্রেমিককে বলেন, ‘হাম আপনে লিয়ে জিয়েঙ্গে'। এরপর এই দু'জন তাঁদের ভয়কে জয় করার জন্য বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারাস গেমে অংশ নেন। হঠাৎই ছবির প্লট বদলে যায় এবং কোনও একটা ঘটনা ঘটার পর অদভেত জেলে চলে যান এবং পাঁচ বছর পর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে পড়েন। তবে ছবির সঙ্গে দর্শকদের সংযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন পরিচালক। ছবির আদ্যপান্ত জুড়ে থাকা দিশা ও আদিত্যর হট লুক এক কথায় অনবদ্য হলেও ছবিটি মন ভেজাতে পারেনি।

অভিনয়
ছবির গল্পটাই যেখানে বিদঘুটে সেখানে অভিনয় নিয়ে কোনও কথা বলার ইচ্ছাই থাকে না। সকলেই নিজেদের চরিত্রে ঠিকঠাকই অভিনয় করেছেন। আদিত্য রয় কাপুর তাঁর চরিত্রে যথাযথ ছিলেন। বেশ কিছু জায়গায় অনিল কাপুর অতিরিক্ত অভিনয় করে ফেলেছেন।

ছবির অন্য বিষয়
এই সিনেমায় গোয়াকে অপূর্ব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা দেখেই মনে হবে ব্যাগ প্যাক করে এখনই রওনা দিই। অতিরিক্ত নাটক, জোর করে অ।আকশন, অনুমান করা রহস্য যা সবই একটা সময় দর্শককে বিরক্ত করে তুলবে। শেষ ২০ মিনিটে পরিচালক ছবিটির সঙ্গে যথাযথ বিচার করার চেষ্টা করলেও দর্শকের মনে হতেই পারে কেন ছবিটি দেখছি। ছবিতে একটা-দুটো গান দর্শকদর মন ছুঁয়েছে এবং ছবির সংলাপও কয়েকটা বেশ ভালো হলেও ‘মলাঙ্গ' সেই উচ্চতায় নিজেকে প্রমাণ করতে পারেনি।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়ার গল্প 'শিকারা’য় ফুটিয়ে তুললেন নতুন জুটি