নীরজা ভানোটের বায়োপিক 'কাল্পনিক' গল্প, দাবি প্যান অ্যাম ফ্লাইট-৭৩-এর বিরক্ত ক্রু সদস্যের
এতো হওয়ারই ছিল। মাত্র তিনদিন হয়েছে মুক্তি পেয়েছে সোনম কাপুর অভিনীত বায়োপিক নীরজা। ছবির পরিচালক রাম মাধানী ও অভিনেত্রী সোনম কাপুর ইতিমধ্যে আম জনতার মন ছুঁয়ে ফেলেছেন। এমনকী সমালোচকদের নজরেও এই ছবি বহুল পরিমানে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এরই মাঝে সমালোচনারও সম্মুখীন হল 'নীরজা'। সমালোচক এবার নীরজা ভানোটের সঙ্গী ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট নুপূর আবরোল। [Movie Review (নীরজা) : সাবলীল অভিনয়ে অশ্রুজলেই স্মৃতিচারণ!]
১৯৮৬ সালে করাচিতে হাইজ্যাক হওয়া প্যান অ্যাম ফ্লাইট-৭৩-এর যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২২ বছরের নীরজা ভানোটের। নীরজারই কাহিনী বড় পর্দায় তুলে এনেছেন পরিচালক রাম মাধানী। তবে নূপুরের দাবি, আসল ঘটনার থেকে অনেকটাই আলাদা এই ছবি। তাই বায়োপিক নয়, এই ছবিকে কাল্পনিক গল্প বলাই ভাল।
যেই প্যান অ্যাম ফ্লাইট-৭৩ উড়ানটিকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল সেই বিমানেই ক্রু সদস্য হিসাবে নীরজা ভানোটের সঙ্গে ছিলেন নুপূর। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। নুপূরের কথায়, "সত্যি সেদিন খুবই কঠিন মুহূর্ত ছিল। তবে এই ছবিকে গ্রহণ করা তার থেকেও কঠোর পরিস্থিতি সেদিনের সমস্ত ক্রু সদস্যের কাছে। যেখানে অন্যায়ভাবে গল্প তৈরি করা হয়েছে।
নীরজা খুব ভাল মনের একজন মানুষ ছিলেন, আর আমার মনে হয়, আজ হয়তো এটা দেখলে এই অযাচিত তোষণের জেরে ওর মাথাও নত হয়ে যেত। ফ্লাইট অ্য়াটেনডেন্টদের ক্ষেত্রে এটা ন্যায্য নয় যারা ওই অগ্নীপরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিল।"
কিছুদিন আগেই আলোচনায় এসেছিল যে এয়ারলিফ্ট, বাজিরাও মস্তানি যেভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছে তার চিত্রায়ণ নিয়ে নীরজা বায়োপিক হলেও রাম মাধানিকে এই সমস্যায় পড়তে হয়নি। কারণ ছবির নির্মাতা সত্য ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করেই কাজে হাত দিয়েছিলেন। পরিবারের সম্মতি নিয়েই এই ছবির কাজ হয়েছে। ফলে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই ভেবেছিলেন ছবির নির্মাতারা।
কিন্তু হঠাৎ করে নুপুরের এই তির্যক মন্তব্য নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করল।