
কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ‘একেনবাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তের নিথর দেহ
'একেনবাবু' গল্পের লেখক সুজন দাশগুপ্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ইএম বাইপাসের ধারের বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হল লেখকের দেহ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ। সুজন দাশগুপ্তের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কলকাতায় এসেছিলেন লেখক
বাংলার জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র 'একেনবাবু'র স্রস্টা সুজন দাশগুপ্ত। তিনি অনেকদিন ধরেই বিদেশে থাকেন। সদ্যই তিনি কলকাতায় এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এসেছিলেন 'দ্য একেন' সিনেমার জন্য। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে সুজন দাশগুপ্তের। বিদেশ থেকে আসার পর সেখানেই ছিলেন সেখানেই লেখক। তাঁর স্ত্রী মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে নেমে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

শ্যালক পুলিশকে খবর দেন
জানা গিয়েছে, যখন ঘটনাটি যখন ঘটে তখন লেখকের বাড়িতে কেউ ছিল না। সুজনের স্ত্রী শান্তিনিকেতনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। আমেরিকায় থাকেন লেখকের কন্যা। রোজকার মতোন আজ সকালেও লেখকের পরিচারিকা আসেন কাজ করতে। অনেক ডাকাডাকি পরেও দরজা খোলেননি লেখক। সেই সময় ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন পরিচারিকা। কিন্তু দরজা তারাও খুলতে পারেননি। তারপরেই লেখকের শ্যালক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসেই পুলিশে খবর দেন।

ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহ
পুলিশ এসেই আবাসনের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকে ও দেহ উদ্ধার করেন। দেহ উদ্ধার করে মৃত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। এই খবরে ভেঙে পরেছেন লেখকের স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল, মঙ্গলবার রাতে তাঁর সঙ্গে স্বামীর কথা হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে কীভাবে তিনি মারা গেলে, বা এর পিছনে অন্য কোনও ব্যাপার রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ। এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।