'বিরাট কোহলি যা খায় আমিও তাই খাই', ভাইফোঁটায় এমন কথা কেন বলতে গেলেন প্রসেনজিৎ
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইফোঁটা, ভাইদুজায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সিনেমার নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইফোঁটা
বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তবু এখনও টলিউডের এক নম্বর রোমান্টিক হিরোর নাম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে টলিউড বক্স-অফিসের অধিকাংশটাই এখনও নিজের কাঁধে বয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি। কিন্তু, এহেন প্রসেনজিৎ নিজের কথা বলতে বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর তুলনা কেন টানলেন?
আসলে বাঙালির ভাইফোঁটা মানেই তো চব্য-চোষ্য-লেহ্য-প্রিয়। যাকে বলে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তো আবার যে সে ব্যক্তি নন তিনি বাঙালির ম্যাটিনি আইডল। সুতরাং অভিনয়ের সঙ্গে নজরকাড়া চেহারাটাও ধরে রাখতে হয় তাঁকে। আর এর পুরোটাই হয় শরীর চর্চা থেকে পরিমিত আহারের কঠোর শৃঙ্খলায়। তবে, প্রসেনজিৎ-এর দাবি, ভাইফোঁটায় খাওয়া-দাওয়া তাঁর পছন্দ এবং ডায়েট চার্টের ভিত্তিতেই হয়। বোনেরা তাঁর পছন্দের খাওয়া-দাওয়া তাঁর মতে করেই রান্না করে। তাই, তাঁর ডায়েট রেজিমে খুব একটা অদল-বদল হয় না বলেই দাবি প্রসেনজিৎ-এর। সুন্দর চেহারা ধরে রাখতে হবে বলে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেবেন এমন পদ্ধতিতেও আবার তাঁর সায় নেই। তাই নিজের মুখেই বলে দিলেন, 'বিরাট কোহলি যা খায় আমিও তাই খাই'। এমনটা বলার পর নিজেই আবার ব্যাখ্যা দিলেন এমন উক্তির। তাঁর মতে, বিরাট যেমন বলেন 'হেলদি খাবার' খাওয়ার কথা, আমি তেমনি 'হেলদি খাবার' খাই।
প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন, ভাইফোঁটায় বোনেদের তৈরি করা সব খাবার হয়তো তিনি একসঙ্গে খেতে পারেন না, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গোটা দিন তিনি সেই খাবার খেয়ে নেন। এতো গেল ভাইফোঁটার ভূরিভোজ-এর কথা, কিন্তু উপহার ? প্রসেনজিৎ জানান, ছোটবেলায় ভাইফোঁটায় প্রচুর 'ক্যাশ' মিলত। আর তিনি নাকি মাঝেমধ্যেই বোনেদের সেই 'ক্যাশ' নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিতেন। তবে, বোনেরাও যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল এমনটা নয় বলেই জানান প্রসেনজিৎ। বোনেরাও সুযোগ পেলে তাঁর উপহার পাওয়া 'ক্যাশ' পকেটে ঢুকিয়ে নিত।
টলিউডের এক নম্বর রোমান্টিক হিরোর মতে, এখন সময় বদলেছে। কেউ আর বাচ্চা নেই। সকলেই বড় হয়েছে এবং নিজ নিজ কর্মজগত ও জীবন নিয়ে ব্যস্ত। তাই এখন ভাইফোঁটার উপহারে গুরুত্ব পায় কার কীসের প্রয়োজনিয়তা তার উপরে এবং দাদা হিসাবে প্রসেনজিৎ সেই প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ভাইফোঁটায় বোনেদের জন্য উপহার কেনেন। এবার যেমন এক বোনের বিয়ে সামনেই। তাই তাঁর 'মধুচন্দ্রিমা'-র কথা ভেবে একটি বিশাল ব্র্যান্ডেড ট্রলি-অ্যাটাচি উপহার দিয়েছেন। এর আগে এক বোনকে ল্যাপটপও উপহার দিয়েছিলেন। বোনের ল্যাপটপ যে সমস্যা করছে তা কানে গিয়েছিল প্রসেনজিৎ-এর। এরপরই ভাইফোঁটায় সেই বোনকে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছিলেন।
কাজের মানুষ। ঘড়ি ধরে সমস্ত কাজ করেন। ভাইফোঁটার দিনেও দুপুরে তাঁর ছবির কাজ নিয়ে বিশেষ বৈঠক ছিল। কিন্তু, ভাইফোঁটার ঠ্যালায় সেই সময় মেনে চলতে পারেননি প্রসেনজিৎ। এর জন্য যে তিনি খুব রেগে গিয়েছেন এমনটা নয়, কারণ, প্রসেনজিৎ-এর মতে এই দিনটায় বোনেদের প্রায়োরিটি। তাই তাঁদের মন রেখেই তবেই তিনি অন্য কাজ করেন। আর সে কারণেই ভাইফোঁটা আজও প্রসেনজিৎ-এর কাছে এক আলাদা সুখানুভূতি।