কিশোর কুমারের জীবনের এই অবাক করা ঘটনাগুলি সত্যিই চমকপ্রদ
তাঁকে বর্ণনা করতে গেলে কোনও একটি বিশেষণে তাঁকে বাঁধা অসম্ভব! পেশাগতভাবে তাঁর পরিচিতি সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্য লেখক, প্রযোজক হিসাবে থাকলেও ব্যক্তি কিশোর কুমার
তাঁকে বর্ণনা করতে গেলে কোনও একটি বিশেষণে তাঁকে বাঁধা অসম্ভব! পেশাগতভাবে তাঁর পরিচিতি সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্য লেখক, প্রযোজক হিসাবে থাকলেও ব্যক্তি কিশোর কুমার যেন সেই সমস্ত পরিচিতিকেই ছাপিয়ে গিয়েছেন। আর একারণেই তিনি আজও কিংবদন্তী। তাঁর জীবনের প্রতিটি পরত যেন এক একটি কাহিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এই কিংবদন্তী মানুষটির সম্পর্কে কিছু অজানা দিকে নজর রাখা যাক।
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'আনন্দ' ছবির ঘটনা
রাজেশ খান্না ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবি 'আনন্দ'-এ প্রথমে অবিনয় করার কথা ছিল কিশোর কুমার ও মেহমুদের। কিন্তু সেটা হয়নি একটি ভুল বোঝাবুঝির জন্য়!এই প্রজেক্টটি নিয়ে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় কিশোরের বাড়ি পৌঁছনে ওয়াচম্যান তাঁকে চিনতে না পেরে ঢুকতে দেননি. প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ পরিচালক পরে ছবিটির জন্য কিশোরকুমারকে আর প্রস্তাব দেননি।
[আরও পড়ুন:কিশোর কুমারের ৮৯তম জন্মদিন! তাঁর সেরা কয়েকটি গানের 'থ্রো-ব্যাক' ভিডিও একনজরে ]
কিশোর হইতে সাবধান!
শোনা যায়, নিজের বাড়িতে 'কিশোর হইতে সাবধান' সাইনবোর্ডটি টাঙিয়ে রাখতেন কিশোর কুমার। এনিয়ে প্রযোজক এইচ এস রাওয়ালির সঙ্গে অনেকবার খুনসুটিও করেছেন কিশোর।
কোর্ট কেস
শোনা যায়,একবার এক পরিচালক সেট-এ কিশোর কুমারের কাণ্ড কারখানা নিয়ে খুব বিরক্ত হন। তিনি কোর্টে গিয়ে একটি আবেদন করেন, যাতে কিশোর তাঁর কথা শুনে সেট-এ চলেন। এরপর কোর্ট সেই নির্দেশ দিলে, শ্যুটিং এর সেট-এ পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কিশোর গাড়ি থেকেও নামতেন না।
[আরও পড়ুন:'আমায় স্লিভলেস নাইটিতে দেখতে চেয়েছিলেন পরিচালক', কাস্টিং কাউচ নিয়ে আরও যা বললেন মাহি]
পরীক্ষার খাতায় যেকাণ্ড ঘটান
ক্লাস ফাইভে এ পড়ার সময় পরীক্ষার খাতায় কিশোর কুমার একবার পরীক্ষায় একটি উত্তর পারছিলেন না। সেই প্রশ্নের উত্তরের জায়গায় তিনি কয়েকটি কবিতা , জোকস লিখে দিয়ে চলে আসেন!
৫ রুপ্যায়া ১২ আনার গল্প
'পাঁচ রুপ্যায়া ১২ আনা' গানটি আজও ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি নামী গান। সেই গানের দৃশ্যায়ণে যে ঘটনাবলী দেখানো হয়েছে তা কিশোর কুমারের জীবনের সত্যি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত বলে জানা যায়।
' বালিকা বধূ'-র গান
'বালিকা বধূ' ছবিতে 'বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্য়ায়' গানটির জন্য আর ডি বর্মন তখন গায়ক খুঁজছেন। এজন্য তিনি কিশোরের বাড়িতে ফোন করে অমিত কুমারকে ডেকে পাঠানোর কথা ভাবেন। কিশোরের বাড়িতে ফোন করতেই কিশোর কুমার ফোনটি তুলে সব শোনেন। এরপর মজা করে বলেন, কেন ছেলে অমিত কুমারকে দরকার এই গানে জন্য? যখন কিশোর কুমার নিজেই গানটি গাইতে পারবেন !এই নিয়ে দুই তারকার মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ খুনসুটি চলে!
মঞ্চে উঠতে লজ্জা পেতেন
কিশোর কুমারকে সবাই চেনেন তাঁর উৎফুল্ল স্বভাবের জন্য। মঞ্চে কিশোর উঠলেই তিনি যে চারিদিক মাতিয়ে রাখবেন, তা সকলেই জানতেন। কিন্তু যেটা জানা নেই তা হল, যেকোনও মিউজিক কনসার্টের আগে কিশোর খুবই নার্ভাস হয়ে থাকতেন।