অমিতাভ থেকে রণবীর, রেখা থেকে করিনা, প্রেম দিবসে দেখুন বলিউড সেলেবসদের ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি
ভালোবাসা হল এমন এক বন্ধন যা দু’টো হৃদয়কে এক করে রাখে। এটা একদম সত্যি কথা যে সত্যিকালের ভালোবাসা কখনই শেষ হয় না। কিন্তু বলিউডে এমন কিছু প্রেমের কাহিনী রয়েছে যা শুরু হয়ত হয়েছিল ভালোবাসা আর বিশ্বাস নিয়ে কিন্তু শেষ হতে হয়েছে তিক্ততার মধ্য দিয়ে। তেমনি কিছু অসফল প্রেমের কাহিনী রইল।
অমিতাভ বচ্চন ও রেখা
এই অসফল প্রেমের গল্প প্রায় গোটা বিশ্বের কাছেই পরিচিত। রেখা এবং অমিতাভ বচ্চন একে–অপরের কাছে আসে 'দো অনজানে’ ছবির শুটিংয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেখা ও অমিতাভ বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং তা নিয়ে রীতিমতো খবরো হতে শুরু করে। এমনকী তাঁরা গোপনে বিয়েও করে নিয়েছেন বলেও খবর শোনা যায়। যদিও অমিতাভ বচ্চন কোনওদিনই তাঁর ভালবাসার কথা প্রকাশ্যে বলেননি, তবে রেখা কখনই তাঁর সম্পর্ক নিয়ে চুপ ছিলেন না। 'সিলসিলা’ শেষ ছবি ছিল যেখানে অমিতাভ–রেখাকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। এরপরই তাঁদের সম্পর্ক অন্য রকম মোড় নেয়। কারণ রেখা উপলব্ধি করেন যে এই সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যত নেই কারণ অমিতাভ তখন জয়া বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে করে নিয়েছিলেন।
সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই
অসফল প্রেমকাহিনীতে ঐশ্বর্য রাই ও সলমন খানের নাম শীর্ষেই রয়েছে। সঞ্জয় লীলা বনসালির 'হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিংয়ের সময় এই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু এই সম্পর্ককে শুরু থেকেই ঐশ্বর্য রাইয়ের পরিবার মেনে নেননি। যদিও তারপরও ঐশ্বর্য হাত ছাড়েননি সলমনের। কিন্তু সলমনের অতিরিক্ত রাগ ঐশ্বর্যকে এই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য করে। যে কারণে 'চলতে চলতে’ ছবিতে ঐশ্বর্যর জায়গায় রাণি মুখার্জিকে নেওয়া হয়। এরপর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে করেন ঐশ্বর্য রাই।
মিঠুন ও শ্রীদেবী
'জাগ উঠা ইনসান’ ছবির শুটিংয়ের সময় মিঠুন–শ্রীদেবী একে–অপরের কাছে আসেন। যদিও ততদিনে মিঠুন বিয়ে করেছেন, তাঁর স্ত্রী যোগিতা বালী। তবে গুজব শোনা গিয়েছিল যে মিঠুন গোপনে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেছিলেন। যে কারণে মিঠুন পরিবার ছেড়ে শ্রীদেবীর সঙ্গেই থাকতেন। এটা জানার পর যোগীতা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং এরপরই মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায় শ্রীদেবীর।
শাহিদ কাপুর ও করিনা কাপুর
এই দু’জনের প্রেম কাহিনী কোথা থেকে শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা না গেলও শাহিদ ও করিনা কখনই তাঁদের সম্পর্ক অস্বীকার করেননি। এমনকি তাঁরা বিয়েও করবেন বলে স্থির করে নিয়েছিলেন। কিন্তু এই সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০০৭ সালে যখন করিনা 'তসন’ ছবির শুটিংয়ের সময় সইফ আলি খানের ঘনিষ্ঠ হন এবং শাহিদ 'কিসমত কানেকশন’ ছবির শুটিংয়ে বিদ্যা বালানের কাছাকাছি আসেন। যদিও তাঁদের প্রেমের ইতি ঘটে কিছু সুন্দর মুহূর্তকে পেছনে ফেলে দিয়ে।
রনবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন
কাপুর পরিবারের ছেলে রনবীর 'বাঁচনা অ্যায় হাসিনো’ ছবির শুটিংয়ে দীপিকার প্রেমে পড়েন। দু’বছর ধরে তাঁরা একে–অপরের সঙ্গে ডেট করছিলেন। কিন্তু সম্পর্কে চিড় ধরে যখন এই দু’জনের মাঝে ক্যাটরিনা কাইফ এসে যান। ওদিকে দীপিকাও বেশি সময় কাটাতে শুরু করেন সিদ্ধার্থ মাল্যর সঙ্গে। এভাবেই শেষ হয় তাঁদের সম্পর্ক।