মমতার নির্দেশে একইদিনে একসঙ্গে রাজনীতিতে এন্ট্রি দুই 'বেস্ট-ফ্রেন্ড' নুসরত-মিমির
মিমি ও নুসরতকে একসঙ্গে রাজনীতির ময়দানে এনে দাঁড় করিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টলিউডে প্রায় একই সময়ে দুজনে কেরিয়ার শুরু করেছেন। টলিউডের একেবারে প্রথম সারির অভিনেত্রী দুজনে। বড় ব্যানারের ছবিতেই কাজ করেন তাঁরা। শুধু এটুকু মিল নেই নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীর। টলিউডে যে কয়েকজন সেলেবসের নিজেদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে বলে জানা যায়, নুসরত ও মিমি তাঁদের একজন।
দুজনের বন্ধুত্ব এতটাই ভালো যে প্রযোজক পরিচালকের সঙ্গে কোনও একজনের ঝগড়া হলে অন্যজন কিছু না ভেবেই বন্ধুকে খোলা সমর্থন জানান। এহেন মিমি ও নুসরতকে একসঙ্গে রাজনীতির ময়দানে এনে দাঁড় করিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এবার সবচেয়ে বড় ভোট, লোকসভা নির্বাচনে দুজনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। নুসরত বসিরহাট থেকে ও মিমি যাদবপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন। এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন ইদ্রিস আলি ও সুগত বসু। সুগত কাজ আছে বলে সরে দাঁড়িয়েছেন। আর ইদ্রিসকে অন্য কাজে লাগানো হবে বলে সরানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন:লোকসভা ভোটে দেব-মুনমুন-ইন্দ্রানীকে নিয়ে কোন অবস্থান নিল তৃণমূল! প্রার্থী তালিকায় চমক]
এর আগে বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের নানা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে মিমি ও নুসরতকে দেখা গিয়েছে। তা সে শহিদ মঞ্চ হোক অথবা ব্রিগেডের সমাবেশ। সবসময় দিদি মমতার ডাকে তাঁরা হাজির হয়ে গিয়েছেন। আর এবার সেই দিদির ডাকেই দুই বেস্ট-ফ্রেন্ড নেমে পড়লেন রাজনীতির ময়দানে।
[আরও পড়ুন;২০১৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী মিমি-নুসরত! কোন তারকা পেলেন কোন কেন্দ্র জেনে নিন]
প্রসঙ্গত, এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর জানা গিয়েছে যে সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রার্থীকে সরানো হলেও দেব বা মুনমুন সেন বা শতাব্দী রায়কে প্রার্থীপদ দিয়েছে তৃণমূল। ৪২টি আসনের সবকটিতেই জেতার শপথ নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।