(ছবি) বিনোদ খান্নার সেরা ১০ ছবি যা দেখতেই হবে
এখনও পর্যন্ত ১৪১ টি ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন বিনোদ। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিনোদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি ছিল অনবদ্য। নিজের ফিল্মি কেরিয়ার নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেই শুরু করেছিলেন বিনোদ খান্না।
দীর্ঘ রোগভোগে জরাজীর্ণ হয়ে অবশেষে জীবনযুদ্ধের লড়াই শেষ হয়ে গেল সত্তর ও আশির দশকের বলিউডের মাচো ম্যান বিনোদ খান্নার। মুম্বইয়ের হাসপাতালে চিরনিদ্রায় গেলেন অভিনেতা। কিন্তু পিছনে ছেড়ে গেলেন তাঁর অনবদ্য কিছু অভিনয়।
এখনও পর্যন্ত ১৪১ টি ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন বিনোদ। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিনোদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি ছিল অনবদ্য। নিজের ফিল্মি কেরিয়ার নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেই শুরু করেছিলেন বিনোদ খান্না।[(ছবি) অভিনেতা বিনোদ খান্নাকে নিয়ে অজানা তথ্য একনজরে]
বিনোদ খান্না অভিনীত সেরা ১০ ছায়াছবি একজনরে
অমর আকবর অ্যান্টনি
১৯৭৭ সালে এই ছবিটি মুক্তি পায়। অ্যাকশন, কমেডি ও রোমান্সের একেবারে নিখুঁত মিশেল এই ছছবি। বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায় এই ছবি। অমিতাভ-বিনোদ খান্নার জুটি দর্শক পছন্দ করে। এই ছবিতে পুলিশ ইনস্পেক্টর অমরের চরিত্রে দেখা যায় বিনোদ খান্নাকে। এই ছবির নির্দেশনা করেছিলেন মনমোহন দেশাই।
দয়াবান
১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল দয়াবান। এই ছবির পরিচালনা করেন ফিরোজ খান। বিনোদ খান্না ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ফিরোজ খান নিজে ও মাধুরী দীক্ষিত। এই ছবিতে বিনোদ খান্না ও মাধুরী দীক্ষিতের চুম্বন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই ছবির গান আজ ফির তুমপে প্যায়ার আয়া হ্যায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। হেট স্টোরি ২ ছবিতেও এই গানের ব্যবহার হয়েছে।
কুরবানি
আরও একটি ছবি যার পরিচালনা করেছিলেন ফিরোজ খান। ১৯৮০ সালে সবচেয়ে বড় হিট হয়েছিল এই ছবি। বক্স অফিসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। মুখ্য ভূমিকায় দুরন্ত অভিনয় করে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন বিনোদ খান্না।
মুকাদ্দর কা সিকন্দর
১৯৭৮ সালে এই ছবি মুক্তি পায়। এই ছবির প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছিলেন প্রকাশ মেহরা। এই ছবিতেও অমিতাভ বচ্চন ও বিনোদ খান্নার কেমিস্ট্রি দেখা যায়। এই দুই অভিনেতা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাখি, রেখা ও আমজাদ খান। এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন থাকলেও বিনোদ খান্নার ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল য়া তাঁকে মেগাস্টার হিসাবে খ্যাতি দিয়েছিল।
দ্য বার্নিং ট্রেন
১৯৮০ সালের এই অ্যাকশন থ্রিলার ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিনোদ খান্না। তখনকার সময়ের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। যদিও এই ছবি বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি তহে ছবির প্রশংসা হয়েছিল।
মেরা গাঁও মেরা দেশ
১৯৭১ সালে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবির পরিচালনা করেছিলেন রাজ খোসলা। এই ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এবং খলনায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বিনোদ খান্নাকে। এই ছবিতে অভিনেত্রী ছিলেন আশা পারেখ।
পরবরীশ
১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। অমিতাভের সঙ্গে জুটি বেধে অভিনয় করেছিলেন বিনোদ খান্না। ছবির পরিচালনা করেছিলেন মনমোহন দেশাই। দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ ও বিনোদ খান্না।
লহু কে দো রং
১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় এই ছবিটি। ছবির পরিচালনা করেছিলেন মহেশ ভট। বিনোদ খান্না, হেলেন, ড্যানি ডানজাপ্পা, শাবানা আজমি অভিনয় করেছিলেন। বক্স অফিসে এই ছবি হিট হয়েছিল। এই ছবিতে এক পুলিশ ইনস্পেক্টরের ভূমিকায় করেছিলেন বিনোদ খান্না।
ক্ষত্রিয়
১৯৯৩ সালে এই ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবির পরিচালনা করেছিলেন জেপি দত্ত। বিনোদ খান্না, সুনীল দত্ত, ধর্মেন্দ্রর পাশাপাশি পরের প্রজন্মের সঞ্জয় দত্ত, সানি দেওয়লও এই ছবিতে অভিনয় করেন। এছাড়াও রবিনা টন্ডন. মীনাক্ষী শেশাদ্রি এবং দিব্যা ভারতী এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিটিও বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করেছিল।
চাঁদনি
এই ছবিটি ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায়। এই ছবিটি মূলত ঋষি কাপুর ও শ্রীদের প্রেমের গল্প নিয়ে। কিন্তু এই ছবিতে একটি ছোট ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন বিনোদ খান্না। এই ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল।