এ বছরের সেরা দশটি মুগ্ধ করা ভারতীয় ওয়েব সিরিজ, যা দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে
এ বছরের সেরা দশটি মুগ্ধ করা ভারতীয় ওয়েব সিরিজ, যা দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে
এ বছর করোনা সংক্রমণের জন্য সিনেমা হলগুলি বন্ধ থাকার দরুণ বলিউডের অধিকাংশ সিনেমাই মুক্তি পায়নি বা ওটিটতে মুক্তি পেয়েছে। লকডাউনের কারণে যেখানে গোটা দেশে অচলাবস্থা চলছিল সেই সময় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কিছু দারুণ ওয়েব সিরিজ মুক্তি পায়। যা লকডাউন বা কোয়ারেন্টাইন সময়ে মানুষের সময় কাটানোর প্রধান রসদ ছিল। সেরকমই ১০টি ভারতীয় ওয়েব সিরিজ এখানে তুলে ধরা হল।
পাতাল লোক
পাতাল লোকে গল্প হল এক পুলিশ অফিসার হাথিরাম চৌধুরির, যিই এক জনপ্রিয় সাংবাদিক খুনে অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছেন। তদন্ত করতে গিয়ে হাথিরাম উপলব্ধ করেন যে এই মামলায় যে তিনি দেখছেন, তার চেয়েও বেশিকিছু যুক্ত রয়েছে। এই শোয়ের প্রযোজক অনুষ্কা শর্মা, যিনি এই ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শক ও সিনেমা সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন।
স্পেশাল ওপস
ভারতের প্রধান প্রধান জঙ্গি হামলার পেছনে মাস্টারমাইন্ডদের খুঁজে পেতে এক র অফিসারের ভূমিকা নিয়েই এই ওয়েব সিরিজ। প্রধান চরিত্রে রয়েছেন কে কে মেনন।
পঞ্চায়েত
লকডাউনের সময় আরাম করে বসে এ ধরনের ওয়েব সিরিজ দেখার আনন্দটাই আলাদা। এই ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারে স্নাতক এক ব্যক্তি পঞ্চায়েতের সেক্রেটারির চাকরি পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে, কারণ এর থেকে ভালো চাকরির বিকল্প তিনি খুঁজে পাননি। এখানে দেখানো হয়েছে কী করে ওই ব্যক্তি এই গ্রাম ও গ্রামবাসীদের প্রেমে পড়ে গিয়ে তাঁদের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। এই ওয়েব সিরিজে রয়েছেন নীনা গুপ্তা, রাজেন্দ্র কুমার ও রঘুবীর যাদব।
অসুর
অসুরের গল্প এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ যিনি শিক্ষকে পরিণত হন সেই নিখিল নায়ারকে নিয়ে। যিনি সিরিয়াল কিলার নিয়ে তদন্ত করতে করতে সিবিআই থেকে ফিরে আসেন। বারাণসীর বুকে এই সিরিজের শুটিং, প্রধান চরিত্রে আরশাদ ওয়ারসি।
আরিয়া
আরিয়া ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে সুস্মিতা সেনকে ফের অভিনয় জগতে ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে। এটা তাঁর ডিজিটাল মাধ্যমে প্রথম ছবিও বলা চলে। এই ওয়েব সিরিজে সুস্মিতা দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছেন। সুস্মিতা তথা আরিয়ার স্বামীকে কোনও এক মুখোশধারী ব্যক্তি খুন করে। এরপর সুস্মিতা তাঁর স্বামীর মাদক সাম্রাজ্য সামলানোর পাশাপাশি স্বামীকে বিচারও পাইয়ে দেন।
আ স্যুটেবল বয়
বিক্রম শেঠের উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত আ স্যুটেবল বয়। এখানে দেখানো হয়েছে লতা নামে একটি মেয়ে তাঁর যোগ্য বরকে খুঁজছেন। এরপর লতা অন্য এক ধর্মের ছেলের প্রেমে পড়েন। এই শোয়ের চরিত্রের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পরের সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।
মির্জাপুর ২
গত বছর সর্বাধিক প্রশংসিত ও জনপ্রিয় মির্জাপুরের সিক্যুয়েল মির্জাপুর ২ অক্টোবরে মুক্তি পায়। এই সিক্যুয়েলে অনুসরণ করা হয়েছে গুড্ডু (আলি ফজল) ও গোলুর (শ্বেতা ত্রিপাঠি) অশান্তময় জীবনকে। গুড্ডু আন্ডারগ্রাউন্ডে যান এবং কালিন ভাইয়ার কাছে জিনিসগুলি পাওয়ার জন্যই তিনি ফিরে আসেন। পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
সি
সি-এর সহ-লেখক হলেন ইমতিয়াজ আলি। ভূমিকা পরদেশি, একজন সাধারণ পুলিশ, যাঁকে মাদক মাফিয়াকে যৌন আবেদনের মাধ্যমে গ্রেফতার করতে হবে টাস্ক দেওয়া হয়েছে। সি-থে আদিত্য পোহাঙ্কারের দারুণ অভিনয়কে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। এই শোতে বিজয় বর্মাকে প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
স্ক্যাম ১৯৯২: দ্য হর্ষদ মেহতা স্টোরি
এ বছরের সবচেয়ে চর্চিত ওয়েব সিরিজ হংসল মেহতার স্ক্যাম ১৯৯২। স্টকব্রোকার হর্ষদ মেহতার জীবনী অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে তিনি মার্কেট সহ ব্যাঙ্কার ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করেন। ভারতের স্টক মার্কেটে ব্যহত হয় এই দুর্নীতির জন্য। প্রতীক গান্ধীকে প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছে।
আশ্রম সিজন ২
ববি দেওল অভিনীত আশ্রম সিজ ২-তে দেখানো হয়েছে কীভাবে মেয়েদের আশ্রমে বন্দী করে রাখা হয় এবং মাদক দেওয়া প্রসাদের লাড্ডু খাইয়ে তাঁদের যৌন নিপীড়ন করা হয়। ববি দেওল ওরফে বাবার নজর যখন পাম্মি নামে এক কুস্তিগিরের ওপর পড়ে, তখনই এই খেলা বদলে যায়।
সঞ্জনা সঙ্ঘী থেকে হৃত্ত্বিক ভৌমিক, ২০২০ সালে ওটিটিতে নতুন প্রতিভাদের জন্ম