করোনার চেয়েও কষ্টের ছিল ইউভানকে ছেড়ে থাকা, সন্তানকে নিয়ে প্রথম মাতৃদিবস পালন শুভশ্রীর
করোনার চেয়েও কষ্টের ছিল ইউভানকে ছেড়ে থাকা, সন্তানকে নিয়ে প্রথম মাতৃদিবস পালন শুভশ্রীর
রবিবার মাদার্স ডে। না, কোনও একটা বিশেষ দিন শুধু মায়ের জন্য, বরং প্রতিটা দিনই হয়ে উঠুক মায়েদের। সন্তানদের কাছে কোনও মা যেন বোঝা হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় না পায়। 'মা’ এই শব্দের মাহাত্ম্য অসীম। গত বছরই মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন টলিউডের নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মা হয়েছেন ছোট্ট ইউভানের। আর নিজে মা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জীবন দর্শনও বদলে গিয়েছে।
শুভশ্রী বলেন, 'এতবছর এই দিনে শুদু মাকে উইশ করেছি। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার পর আজ আমার প্রথম মাদার্স ডে! আমায় কেউ মা বলবে! এই অনুভূতিটাই আলাদা।’ একরাশ খুশি ঝরে পড়ল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়। ইউভান আসার পর রবিবার তাঁর প্রথম মাতৃদিবস। সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। আইসোলেশনে থাকার জন্য ছেলের কাছ থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। বহুদিন পর মাকে কাছে পেয়ে তাই খুশি ইউভানও।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শুভশ্রী জানিয়েছেন তাঁর বেশিরভাগ সময়টাই কাটে ইউভানকে নিয়ে। তিনি বলেছেন, 'সারাদিন ওকে নিয়ে কী করে যে কেটে যায় বুঝতেই পারি না। এখন মনে হয় চোখের পলকও ফেলব না। এত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে ও। রোজ নতুন কিছু করে। আমাদের একেবারে মাতিয়ে রেখেছে। আর ইউভান স্মার্ট বেবি। ছোট্ট থেকেই রাতে ঘুমায়, কোনওদিন জাগিয়ে রাখেনি আমাদের।’ গত বছর মা হওয়ার পর ইউভানের ছবি সামনে আসার পর থেকেই নেটিজেনরা তাকে নিয়ে বেশ উত্তেজিত। শুভশ্রী জানিয়েছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় চাহিদা ছিল মা হওয়া, তা তিনি হতে পেরেছেন। অভিনেত্রী বলেন, 'ভগবানের আশীর্বাদে এত সুন্দর মিষ্টি সন্তান পেয়েছি। এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ইউভানকে ছেড়ে থাকতে হয়েছে নায়িকাকে। সেটাও প্রথমবার। শুভশ্রী বললেন, 'ইউভানকে ভীষণ মিস করেছি। কোভিডের থেকেও সেটা অনেক বেশি কষ্টের ছিল আমার কাছে। তবে ইউভান খুব সাপোর্ট করেছে আমায়। ও সব বোঝে। দূর থেকে আমাকে দেখত, হয়ত অভিমান করত। ভাবত কেন মা আমাকে কাছে টানছে না। কিন্তু একবারের জন্যও কাঁদেনি কোনওদিন। বুঝতে দিত না ও আমায় ছাড়া খারাপ আছে। একেবারে বাবার মত সংবেদনশীল।’