অভাবকে পিছনে ফেলে আজ বলিউডের সুর সম্রাজ্ঞী! কীভাবে কঠিন পথ অতিক্রম করলেন লতা মঙ্গেশকর, জেনে নিন
অভাবকে পিছনে ফেলে আজ বলিউডের সুর সম্রাজ্ঞী! কীভাবে কঠিন পথ অতিক্রম করলেন লতা মঙ্গেশকর, জেনে নিন
আজ ভারতবাসীকে কাঁদিয়ে পরলোক গমন করেন 'ভারতের নাইটিঙ্গেল' লতা মঙ্গেশকর। গায়িকা চোখের জলে বিদায় দিলেন অগণিত ভক্ত। ইন্দোর বর্তমান নাম মধ্যপ্রদেশে মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহন করেন লতাজি। পরিবারে চার সন্তানের জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। গায়িকার পরিবারে প্রায় সকলেই সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর ভাই বোনদের নাম হল মীনা খাদিকর, উষা মঙ্গেশকর, হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে।
গয়িকা কী কী পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন
ঠিক
৮০
বছর
আগে
শুরু
হয়েছিল
লতাজির
গানের
সফর।
তিনি
গান
গেয়ে
ভারতরত্ন
(২০০১),
পদ্মবিভূষণ
(১৯৯৯),
দাদাসাহেব
ফালকে
পুরস্কার
(১৯৮৯),
মহারাষ্ট্রভূষণ
পুরস্কার
(১৯৯৭),
এনটিআর
জাতীয়
পুরস্কার
(১৯৯৯),
পদ্মভূষণ
(১৯৬৯)
সালে
পেয়েছিলেন।
তাঁর
সুন্দর
গানে
মুগ্ধ
শ্রোতা।
তিনি
মোট
২০
টি
ভাষায়
২৫
হাজারের
বেশি
গান
গেয়েছেন।
১৯৪২ সালের সাক্ষাত্কারে তিনি কী জানিয়েছিলেন
১৯৪২ সালের একটি সাক্ষাত্কারে গায়িকা লতাজি জানিয়েছিলেন, 'ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৫ বছর আগে থেকে আমি গান গাইতে শুরু করি। ১৩ বছর বয়স থেকে আমি গান গান। এটা অনেক কঠিন কাজ। আমার শৈশব কালে সময় পেশাদারি গায়ক বা গায়িকা হওয়া অতটা সোজা কথা ছিল না।'
‘সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকতাম’-লতাজি
গায়িকার কিছু কষ্টের কথা তিনি বলেছিলেন, তিনি আক্ষেপের সুরে জানিয়েছিলেন, একটা সময় ছিল যখন আমি সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকতাম। অনেক সময় আমারা কাছে যাতায়াতের গাড়ী ভাড়া পর্যন্ত ছিল না। দূরদূরান্তের পায়ে হেঁটে যেতে হতো।
অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে কীভাবে তাঁর সাক্ষাৎ
গায়িকার ১৯৪০ দশকের শেষের দিকে দক্ষিণ বোম্বেতে থাকতেন। স্টুডিওতে গান গেয়ে স্থানীয় শহর ট্রেনে উত্তর-পশ্চিম শহরতলির মালাদে যেতেন। একদিন অনিল বিশ্বাস, অভিনেতা দিলীপ কুমার আমার একসঙ্গে একটি কাজে গেচ্ছিলাম। দিলীপ কুমার ওরফে ইউসুফ ভাই আমাকে প্রথমে চিনতে পারেননি। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমি কে? তখন তাঁকে অভিনেতা দিলীপ কুমার গায়িকাকে জানিয়েছিলেন তিনি একজন মহারাষ্ট্রীয় অভিনেতা। লতাকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, 'সে কী উর্দুতে ভালোভাবে কথা বলতে পারবে?' তাঁর উত্তরে গায়িকা জানিয়েছিলেন, যদি তিনি উর্দু ভাষা না বলতে পারেন তাহলে তিনি উর্দু ভাষা শিখবেন। অভিনেতা তখন গায়িকাকে বলেন আপনি দ্রুত উর্দু শিক্ষক খুঁজে বের করুন ও দ্রুত এই ভাষা আয়ত্ত করুন। গায়িকা বলেছিলেন, আমি উর্দু ভাষা ঠিক ভাবে বলতে না পারলেও আমি গান করি, আমার গানের কোনোও ত্রুটি হবে না।
বিখ্যাত নায়িকা নার্গিস লতাজির মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন
তারপর একদিন বলিউডের বিখ্যাত নায়িকা নার্গিস লতাজির মাকে ফোন করেছিলেন। যখন 'আয়েগা আনাওয়ালা' অসাধারণ গানটি রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমি মহারাষ্ট্রীয় কিনা? আর বলেছিলেন আমার উর্দু খুব ভালো।'
কাজের সূত্রে গায়িকা লতাজি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন
১৯৪০ দশক থেকে লতাজি, বোন আশা ভোসলে, উষা মঙ্গেশকর, সুরাইয়া, শামসাদ বেগম, কিশোর কুমার, মহম্মদ রফি, মুকেশ, তালাত মাহমুদ, মান্না দে, হেমন্ত কুমার ও মহেন্দ্র কাপুর -সহ শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় গায়কদের সাথে ডুয়েট গান গেয়েছিলেন। তবে, পরে তিনি বহুমুখী গায়ক জগজিৎ সিং, উদিত নারায়ণ, সোনু নিগম, আদনান সামি, এআর -সহ সাম্প্রতিক শীর্ষস্থানীয় গায়কদের সাথেও গানও গেয়েছেন তিনি। কাজের সূত্রে গায়িকা লতাজি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করে ছিলেন। তিনি ১৯৯০ দশকের শুরুতে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন তিনি।
ছবি
সৌজন্য:লতা
মঙ্গেশকর
/ফেসবুক
পেজ