'পদ্মাবতী'-তে এই বিশেষ দৃশ্যে অভিনয়ের সময়ে কেন অস্বস্তি হয়েছিল দিপীকার, জানালেন
রাজপুত ইতিহাস সবসময়ই সাহস আর পরাক্রমের গল্প বলেছে। আর রাজপুতদের সঙ্গে বিদেশী শক্তির লড়াই দেখিয়েছে রক্তপাতের নৃশংসতাকে। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালীর 'পদ্মাবতী' এই রক্তপাত, সাহস আর এক প্রেম কাহিনির অনন্য কাহিনি বর্ণনা করতে চলেছে।
ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে সেই ঐতিহাসিক কাহিনির নানা নৃশংস তথা সাহসী ঘটনাও উঠে এসেছে। যে দৃশ্যে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ছবির কলাকুশলীদের কাছে।

জহর ব্রতর দৃশ্য
অনুমানিক ১৩০৩ সালে চিতোরের মহারানি পদ্মিনী জহর ব্রত নিয়ে অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দেন। তাঁর সঙ্গে ঝাঁপ দেন মহলের আরও শত শত দাসী। ভারতের ইসিহাস বলে, কেবলমাত্র রাজপুত সম্মানকে বাঁচাতে এই অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দেন মহারানি। তা না হলে , রাজমহল যে শাসক দখল করবে, মহারানি সমেত মহলের সমস্ত মহিলারা তাঁর দাসী হয়ে যাবেন।

জহর ব্রত দৃশ্যে অভিনয় কঠিন ছিল
'পদ্মাবতী ' ছবিতে জহর ব্রতর দৃশ্যে অভিনয় করাটা সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিকর বোঝ হয়েছে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এই দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য তিনি বহু দিন ধরেই হোম ওয়ার্ক করেছিলেন।

শ্যুটিং এর অভিজ্ঞতা
দীপিকা নিজের স্যুটিং এর অভিজ্ঞতায় জানিয়েছেন জোহর ব্রতর দৃশ্যে অভিনয়ের সময়ে , তাঁকে পুরোপুরিভাবে চরিত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক সঞ্জয়। একজন মহিলার এভাবে আত্মহত্যার ঘটনাকে তুলে ধরার অভিনয় কতটা চাপের তা বার বার বলেছেন দীপিকা।

আবসাদে ভুগেছেন দীপিকা
দীপিকা জানিয়েছেন, জহর ব্রতর দৃশ্যে অভিনয় করার পর থেকেই মানসিক অবসাদের নানা স্মৃতি গুরে ফিরে আসে দীপিকার মনে । ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে এই ছবির জহর ব্রতর দৃশ্য কতটা সাংঘাতিক হতে চলেছে।