
কোন কোন বলিউড সিনেমা রিমেক হওয়ার যোগ্য, দেখুন
সিনেমা মানেই সিনেমা প্রেমীদের কাছে এক আলাদা অনুভূতি। সে যেকোন সিনেমাই হোক না কেন, তা বলিউড থেকে টলিউড বা হলিউড যাই হোক না কেন। এমন অনেক সিনেমা রয়েছে যেগুলো কয়েক দর্শক আগে হওয়ার পরেও এখনোও অনুগামীদের মনে সেই সিনেমাগুলি জ্বলজ্বল করছে। তারা আবার সেই সিনেমাগুলোকে নতুন ভাবে নতুন রূপে দেখতে চায়। তেমনি বলিউডের এমন অনেক সিনেমা রয়েছে যেগুলি বারবার দেখলেও মন ভরে না। অনুগামীদের সেই সিনেমাগুলি বক্স অফিসে সে সময় খুব সাফল্য লাভ করেছিল। অনেকের মতে আবারোও যদি সেই সিনেমাগুলি রিমেক করা হয় তাহলে সেগুলো বক্সঅফিস কাঁপাবে। বলিউডের এই সিনেমা গুলি রিমেক খাওয়া দরকার। জেনে নিন সেই তালিকায় কোন কোন সিনেমা রয়েছে।

আন্দাজ আপনা আপনা
১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউড মুভি আন্দাজ আপনা আপনা। অভিনেতা সলমন খান ও আমির খানকে প্রায় সকলেই পছন্দ করেন। তারা এক সঙ্গেই অভিনয় করেছিলেন এই সিনেমাটিতে। এই সিনেমায় তারা এত সুন্দর অভিনয় করেছিলেন যা দেখে চোখ ফেরানো দায় হয়েছিল অনুগামীদের। এই সিনেমা আবারও রিমেক হওয়া দরকার, এমনই মনে করছেন অনুগামীরা। যেখানে আমির সলমনের বিপরীতে দেখা মিলবে বরুণ ধাওয়ান ও রণবীর সিংকে।

গাইড
১৯৬৫ সালের সুপারহিট সিনেমা ছিল গাইড। যেটিতে অভিনয় করেছিলেন দেবানন্দ ও ওয়াহিদা রহমান। এই সিনেমাটি নারায়ণের বিখ্যাত বই দ্য গাইডের অনুকরণে তৈরি হয়েছিল। ২০০৭ সালের কান ফেস্টিবেলে এই সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছিল। শোনা যাচ্ছে এই সিনেমাটি রিমেক করা হবে বলে।

দিওয়ার
১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যশ চোপড়ার পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল দিওয়ার সিনেমাটি। এটি একটি এমন বলিউড ক্লাসিক সিনেমা। যেটিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও শশী কাপুর। তারা দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই সিনেমার গল্প ছিল ক্রাইম ড্রামার গল্প।

সাদমা
১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউড সিনেমা সাদমা। এখানে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবী। এক দুর্ঘটনায় স্মৃতি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এক তরুণীর। ভাগ্যের ফেরে তাকে যেতে হয়েছিল এক পতিতালয়। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল এক ভদ্রলোকের। ভদ্রলোকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কমল হাসান। সেখানেই তাকে পছন্দ হয় সেই ভদ্রলোকের। এমন ভাবেই এগোচ্ছিল সিনেমার গল্প।

সিলসিলা
বলিউডের আরেক প্রেমের গল্পই হল সিলসিলা। তিনটি ব্যক্তির জীবন নিয়ে গঠিত হয়েছিল সিনেমাটি। সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন রেখা, অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন। এই বলিউড সিনেমাটি সিনেমাটি রিমেক হওয়া দরকার।

আনন্দ
১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে রাজেশ খান্নার পরপর ১৭ টি সিনেমা হিট হয়েছিল । তার মধ্যে একটি হল আনন্দ। এটি অমিতাভ বচ্চনের প্রথম হিট ছবি বলা চলে। এক ক্যানসার রোগীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজেশ খান্না। কীভাবে এক ক্যানসার রোগীকে সুস্থ করে সমাজে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচানো যায় সেটাই ছিল এই গল্পের মূল লক্ষ্য।

দামিনী
১৯৯৩ সালে রাজকুমার সন্ত্রাসী পরিচালনায় দামিনী সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। যেখানে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওয়াল, ঋষি কাপুর, অমরেশ পুরি, টিনু আনন্দ ও পরেশ রাওয়াল। একজন নারী কিভাবে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তাই ছিল এই সিনেমার গল্প। ছবিটি বলিউডে সেরা নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি। সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব সাফল্য অর্জন করেছিল।

জানে ভি দো ইয়ারো
১৯৮৩ সালে কুন্দন শাহের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল জানে ভি দো ইয়ারো নামক বলিউড সিনেমাটি। এখানে অভিনয় করেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ, রবি বাসওয়ানি, সতীশ শাহ, ওম পুরী, পঙ্কজ কাপুর, সতীশ কৌশিক, নীনা গুপ্তা-সহ অন্যান্যরা। সিনেমাটি সেই সময় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।

ঘর
রেখা ও বিনোদমেহরা অভিনীত এই সিনেমাটি খুবই অসাধারণ। সিনেমাটি রিমেক করা হলেও সেটি বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করবে। তাছাড়া এই সিনেমাটি রিমেক করা দরকারও। এই সিনেমায় রেখা অর্থাৎ মূল নায়িকা কিভাবে ধর্ষিত হয়েছিল এবং তার স্বামীর ওপর দুষ্কৃতীরা কিভাবে আঘাত এনেছিল এবং তারপর তারা সেখান থেকে কিভাবে বেরিয়েছিলেন বা বাঁচার যে চেষ্টা সেই নিয়ে গড়ে উঠেছিল সিনেমার গল্প।

আর্থ
মহেশ ভাট পরিচালিত সিনেমাই হল আর্থ। বিশ্বাসঘাতকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে চান না তরুণ প্রজন্ম তার ওপরে ছিল এই সিনেমার গল্পটি। তাছাড়াও এখানে নারীরা কিভাবে স্বাধীন হবে, তারা সত্যিকারের জীবন কিভাবে খুঁজে পাবেন, কারোর কাছে তারা পরাধীন থাকবেন না তার ওপরে ছিল সিনেমার গল্প। সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শাবানা আজমির।
রূপান্তরকামীদের চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডের এই তারকারা সফলতার শিখর ছুঁয়েছেন