স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইকে তুলে ধরেছে এই বাংলা সিনেমাগুলি, দেখে নিন
ভারতের স্বদেশী কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে অনেক বাংলা সিনেমাও কিন্তু তৈরি হয়েছে। যা বিদ্রোহীদের বা বাঙালি বিপ্লবীদের সাহিত্যকে অমর করে রেখেছে। বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম সেই সিনেমা এখনও অনেক শিক্ষা নিয়ে থাকে, পাশাপশি অনেকটাই অনুপ্রাণিত হন। এই টলিউড সিনেমা গুলি সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্লাসিক্যাল সিনেমা ইতিহাস এবং দেশপ্রেমকে মানুষের মনে আরোও ভালোভাবে জাগাতে তৈরি হয়েছে সিনেমা গুলি।
সব্যসাচী
সব্যসাচী সিনেমাটি ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল। শরৎচন্দ্রের রাজনৈতিক উপন্যাস পথের দাবী থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সিনেমাটি। যেটি পীযূষ বসু পরিচালনা করেছিলেন। যেখানে অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। তার অভিনয় ছিল দেখার মতন। সিনেমায় জাতীয়তাবাদী নেতার সঙ্গে দেশের ভালোবাসা নিয়েই গল্পের প্রেক্ষাপট। আজও দেশপ্রেম জেগে ওঠে অনেক মানুষের মনে এই ছবি দেখলে।
দেবী চৌধুরানী
দেবী চৌধুরানী সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৪ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস দেবী চৌধুরানী পরিবারের একজন মহিলাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। এই গল্প তৈরি হয়েছে নারী কীভাবে ব্রিটিশদের শাসনকে ভয় পেয়েছিলেন তারপর। প্রফুল্ল থেকে দেবী চৌধুরানীতে কীভাবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন তাই নিয়ে এই গল্প। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। যিনি মূল চরিত্রই অভিনয় করেছিলেন।
মহাবিপ্লবী অরবিন্দ
মহাবিপ্লবী অরবিন্দ ১৯৭১ সালে সিনেমাটি মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল। ঋষি অরবিন্দ জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সিনেমাটি। ১৮৯২ সালে ভারত প্রত্যাবর্তন শুরু করে ১৯১০ সালে পন্ডিচেরি জীবন কীভাবে কেটেছিল তা নিয়ে সিনেমার গল্প। সে যুগের সবকিছুই দেখানো হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অবদান, আলিপুর বোমা বিস্ফোরণ তার ওপর তৈরি হয়েছিল সিনেমাটির গল্প।
সুভাষচন্দ্র
১৯৬৬ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিশেষ ব্যক্তির নাম সুভাষচন্দ্র। তার জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল এই বাংলা ক্লাসিক সিনেমাটি। যেখানে তরুণ নেতাজির জীবন, শৈশবকাল কলেজের দিন, আই সিএস পাস করেছেন, রাজনৈতিক চর্চা তারপর তাকে কীভাবে পুলিশ গ্রেফতার করে সেটিই ছিল তার সিনেমার মূল গল্প।
আনন্দমঠ
১৯৫১ সালে তৈরি হয়েছিল আনন্দমঠ নামের সিনেমাটি। 'সন্ন্যাসী বিদ্রোহ' হের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল সিনেমাটি। সিনেমার গল্প বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছিল। এই সিনেমা ভারতীয় জাতীয় সংগীত বন্দেমাতারাম এই উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৫১ সালে বাংলা সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল।
বিয়ালিশ
১৯৪২ সালে বিয়ালিশ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। এটি ভারতীয় ইতিহাসের বিশেষ সময়। অহিংস ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ব্রিটিশ সম্রাটরা সেসময় দৃঢ়ভাবে আঘাত পেয়েছিল। সিনেমাটি একজন পুলিশ অফিসারের মুখোমুখি কীভাবে সেই মর্মান্তিক বিবরণ স্বৈরাচারের প্রতিনিধিত্ব করা। তাঁর ওপর ভিত্তি করে সিনেমার গল্প তৈরি হয়েছিল। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন বিকাশ রায়। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর অভিনেতা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু সময় ভয়ে থাকতেন।
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন সিনেমাটি ১৯৪৯ সালে মুক্তি হয়েছিল। একটি সিনেমা বিপ্লবী সুরজিৎ সেন যিনি মাস্টারদা নামে পরিচিত। কীভাবে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন লুঠ করা, পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশদের উপর তাঁর ছাত্ররা সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেছিল। তার সে বিপ্লব যদিও সফল হয়নি।
রাজকাহিনী
২০১৫ সালে মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমা রাজকাহিনী। এই সিনেমাটি সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত একটি সিনেমা। দেশের ভিন্নচিত্রকে তুলে ধরেছে এই সিনেমায়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সায়নী ঘোষ, সোহিনী সরকার অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়। তাঁরা একদল পতিতা চরিত্রে সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পতিতারা তাদের পতিতালায় ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। এই সিনেমাটি পরবর্তীকালে হিন্দি রিমেকও হয়েছিলেন। যেটির নাম হয়েছিল বেগমজান। অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান, মূল চরিত্রে
আবার আসবো ফিরে
২০০৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল আবার আসবো ফিরে সিনেমাটি। যেখানে অভিনয় করেছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটি কিন্তু খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতার জন্য একদল যুবক তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিল।
দেশপ্রেম নিয়ে হওয়া বলিউডের এই সিনেমাগুলি দেখে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করুন