এই নায়িকারা বিখ্যাত হয়েছেন লতার কণ্ঠে ঠোঁট মিলিয়ে
এই নায়িকারা বিখ্যাত হয়েছেন লতার কণ্ঠে ঠোঁট মিলিয়ে
চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। রয়ে গেল তাঁর কালজয়ী গান। পঞ্চাশের দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে বহু নায়িকা তাঁর কণ্ঠে ঠোঁট মিলিয়েছেন সিনেমার পর্দায়। জেনে নিন অন্যতম সেরাদের
মীনা কুমারী:
বিষণ্ণতার পর্দায় ঢাকা এক নায়িকা।কিছু কিছু নক্ষত্রের দ্যুতি আকাশ ঝলকানো আলো দিলেও হারিয়ে যায় বড্ড তাড়াতাড়ি। অভিনয় জগতেও এমন নক্ষত্রের দেখা মেলে, মীনা কুমারী তাদেরই একজন। ১৯৩৩ সালে আজকের দিনে বোম্বেতে এই মহান নায়িকা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।জনপ্রিয়তার শীর্ষে চড়েও হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ার হতাশা, অতঃপর খুব কমবয়সেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া। নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাই ছিল এর মূল কারণ। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে তিনি ঠোঁট মিলিয়েছেন ইনহি লোগোনে, আজিব দাসতা হ্যায় ইয়ে, মওসম হ্যায় আসিকানার মতো গান।
নার্গিস -
নার্গিস
দত্তের
৯২
তম
জন্ম
দিবসে
স্মরণ
করি।
এমনই
একজন
নার্গিস
দত্ত
যার
পূর্বনাম
ছিল
ফাতিমা
রশিদ।তিনি
একজন
ভারতীয়
চলচিত্র
অভিনেত্রী।তাকে
হিন্দি
সিনেমা
জগতের
অন্যতম
সেরা
অভিনেত্রী
বলা
হয়।
তিনি
১৯৩৫
সালে
শিশু
অভিনেত্রী
হিসেবে
তালাশ-ই-হক
নামে
চলচিত্রে
অভিনয়
শুরু
করেন
তাবে
নায়িকা
হিশেবে
তার
অভিনয়
জীবনের
শুরু
১৯৪২
সালে
তামান্না
চলচিত্রের
মাধ্যমে।
তার
অভিনয়
জীবন
১৯৪০
থেকে
৬০
এর
দশক।
নার্গিস
দত্তের
জীবনের
সেরা
অর্জন
সম্ভবত
‘মাদার
ইণ্ডিয়া'
চলচিত্রের
‘রাধা'
চরিত্র।
১৯৫৭
সালে
নির্মিত
এই
চলচিত্রটি
Academy
Award
এর
জন্য
মনোনীত
হয়
এবং
Filmfare
Awards
অর্জন
করে।
এ
চলচিত্রেই
তিনি
সুনীল
দত্তের
সাথে
অভিনয়
করেন।১৯৬৭
সালে
নির্মিত
‘রাত
অর
দিন'
চলচিত্রের
জন্য
শ্রেষ্ঠ
অভিনেত্রী
হিসেবে
National
Film
Award
পান।
লতা
মঙ্গেশকরের
কণ্ঠে
তিনি
ঠোঁট
মিলিয়েছেন
ঘর
আয়া
পরদেশী
মেরা,
জানে
না
নজর
পেহচানে,
পেয়ার
হুয়া
ইকরার
হুয়া,
রাজা
কি
আয়েগি
বরাতের
মতো
গান।
ওয়াহিদা রহমান -
একসময় বলিউডে যুগলবন্দি ছিল ওয়াহিদা রহমান-দেব আনন্দ এবং ওয়াহিদা রহমান-গুরু দত্ত। নৃত্যে পারদর্শী ওয়াহিদা সেই সময় জুটি বেঁধে এই দুই নায়কের সঙ্গে সমান তালে কাজ করেন। সিনে অনুরাগীদের দিয়েছেন পিয়াসা, গাইড, সাহেব-বিবি-গোলামের মতো বক্স অফিস হিট। কিন্তু এই নায়িকা খানিকটা পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে রুপোলি জগতে পা রাখেন। নয়তো এতদিনে চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে মানবসেবায় উৎসর্গ করতেন তিনি। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে তিনি ঠোঁট মিলিয়েছেন আজ ফির জিনে কি তামান্না হ্যায়, রঙ্গিলা রে, পিয়া তোসে নয়না লাগে রে, জাদুগর তারা নয়নার মতো গান।
রেখা
১৯৬৬ সালে রাঙ্গোলা রত্নাম নামে একটি তেলেগু ছবির মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ১৯৭০ সালে শাওন ভাদো নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। যদিও প্রথম দিকে তার কিছু ছবি সাফল্য পায় কিন্তু সত্তরের দশকের মাঝের দিকে রেখা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন। ৪০ বছরের অভিনয় জীবনে রেখা ১৮০টির উপরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। রেখা তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ও একবার শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী হিসেবে। ১৯৮১ সালে উমরাহ জান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে তিনি ঠোঁট মিলিয়েছেন সলামি ইশক্ মেরি জান, পরদেশিয়া, আজ ইমতেহা হ্যায়, ইয়ে কাহা আ গয়ে হামের মতো গান।
মাধুরী দীক্ষিত
১৯৮৪ সালে অবোধ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক ঘটান এবং ১৯৮৮ সালে তেজাব ছবির মাধ্যমে দর্শক মহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর সহজাত সৌন্দর্যচর্চা এবং নৃত্যকলায় সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেন। তিনি বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি একচ্ছত্র বিস্তার করেন বলিউড ছবিতে। রাম লক্ষণ (১৯৮৯), ত্রিদেব (১৯৮৯), কিশেন কানাইয়া (১৯৯০), দিল (১৯৯০), সাজন (১৯৯১), বেটা (১৯৯২), খলনায়ক (১৯৯৩), হামআপকে হ্যাঁয় কৌন..! (১৯৯৪), রাজা (১৯৯৫) ও দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং প্রেম প্রতিজ্ঞা (১৯৮৯), পরিন্দা (১৯৮৯), প্রহার (১৯৯১), আঞ্জাম (১৯৯৪), মৃত্যুদণ্ড (১৯৯৭), পুকার (২০০০), লজ্জা (২০০১), ও দেবদাস (২০০২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন। কয়েক বছর চলচ্চিত্র থেকে বাইরে থাকার পর ২০০৭ সালে তিনি সঙ্গীত-নৃত্যধর্মী আজা নাচলে চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন এবং পরবর্তী দশকে ব্ল্যাক কমেডিধর্মী দেঢ় ইশ্কিয়া (২০১৪), অপরাধ নাট্যধর্মী গুলাব গ্যাং (২০১৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে তিনি ঠোঁট মিলিয়েছেন ঢোলনা, লে লে দিল দে দে দিল, মায় নি মায়ে, আরে রে আরে ইয়ে কেয়া হুয়ার মতো গান।