এই ১৩ জন বলিউড তারকাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের
বলিউড ও আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ
গত বছর বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক প্রয়াণের পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ রয়েছে। তবে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ না থাকলেও অনেক বলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডনেদের যোগ ছিল বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পুরনো যোগ রয়েছে অপরাধ জগতের, অভিযোগ এমনই। সেইসব বলিউড অভিনেতাদের কথা জেনে নেওয়া যাক যাঁরা একসময় আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।
বিচ্ছেদের জন্য ৪০০ কোটি টাকা খসাতে হয়েছিল হৃত্বিককে, বলিউডে এমনই দামি ডিভোর্স হয়েছে কোন তারকাদের
সঞ্জয় দত্ত ১৯৯৩ বম্বে বিস্ফোরণ
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত বহু হিট সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গেও তাঁর যোগসূত্রের জন্য তিনি বেশ পরিচিত। ১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণের সময় সঞ্জয় দত্তের কাছ থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয় এবং তাঁর সঙ্গে ছোটা শাকিলের কথোপকথন প্রকাশ করে মুম্বই পুলিশ। গ্রেফতার হন সঞ্জয় দত্ত। এই ঘটনার সময় সঞ্জয় দত্তকে জঙ্গি তকমা দেওয়া হয়। বহু বছর ধরে সঞ্জয় দত্ত জেল খেটেছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান।
শাহরুখ খান ও ছোটা শাকিল
বলিউডের কিং খান তথা শাহরুখ খানের কাছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের থেকে জোর করে টাকা আদায় করার জন্য ফোন আসত। শাহরুখের হ্যাপি নিউ ইয়ার ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। সম্প্রতি শাহরুখ খান তাঁর পরবর্তী ছবি কুচি কুচি হোতা হ্যায়-তে সাইন করেছেন, যা এ বছরই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সলমন খান ও দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্ক
বলিউডের ভাইজানের নামের সঙ্গে প্রায়শই দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও গুরু সতামের নাম শোনা যায়। শোনা যায় যে সলমন খান আগে থেকেই ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ সম্পর্কে আগাম জানতেন।
মণিকা বেদী ও আবু সালেম
শোনা যায় যে মণিকা বেদী আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংস্টার আবু সালেমের সঙ্গে বিয়ে করেন। আবু সালেমের জন্যই মণিকা বেদী জনম সমঝা করো ও জোড়ি নম্বর ১-এ কাজ পেয়েছিলেন। আবু সালেম ও মণিকা বেদীর গ্রেফতারের পর তাঁরা লাদা হয়ে যান। সালেম এখনও জেলে রয়েছেন।
প্রীতি জিন্টা ও রবি পূজারি
বলিউড সুন্দরী প্রীতি জিন্টার কাছেও মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে ফোন আসে। গুজব রটেছিল যে প্রীতির প্রাক্তন প্রেমিক নেস ওয়াদিয়া দাবি করেন যে প্রীতি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন রবি পূজারির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে রবি পূজারির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। চোরি চোরি চুপকে চুপকে সিনেমার শুটিংয়ের সময় প্রীতিকে হুমকি ফোনও দেওয়া হয়।
অনিল কাপুর ও দাউদ ইব্রাহিম
কিংবদন্তী অভিনেতা অনিল কাপুর, যিনি একশোরও বেশি বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, গুজব রটেছিল যে তাঁর সঙ্গে দাউদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। একটি ক্রিকেট ম্যাচে দু'জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। যদিও অনিল এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
টুইঙ্কল খান্না ও অক্ষয় কুমারের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিম
গুজব রটেছিল যে অক্ষয় ও টুইঙ্কলের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের যোগ রয়েছে। তাঁদের দু'জনকে দাউদ ইব্রাহিমের পার্টিতে দেখা গিয়েছিল। যদিও পরে দু'জনেই এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন।
মমতা কুলকার্নি ও বিক্রম গোস্বামী
বলিউডের চুলবুলি নায়িকা মমতা কুলকার্নির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন বিক্রম গোস্বামীর। শোনা যায় যে ওই ডনের সঙ্গে সংসার পাতবেন বলে মমতা তাঁর সিনেমার কেরিয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেনিয়াতে এই যুগল গ্রেফতারও হন।
হাজি মস্তান ও সোনা
বম্বের সেলিব্রিটি গ্যাংস্টার হাজি মস্তান বিয়ে করেন সোনার সঙ্গে, কারণ তাঁকে দেখতে মধুবালার মতো। হাজি দারুণভাবে ভক্ত ছিলেন মধুবালার।
অনিতা আয়ুব ও দাউদ ইব্রাহিম
বিউটি পেজেন্ট প্রতিযোগী অনিতা আয়ুবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডের ত্রাস দাউদ ইব্রাহিমের। ১৯৯৫ সালে বলিউডের প্রযোজক জাভেদ সিদ্দিকি অনিতাকে তাঁর সিনেমায় নিতে প্রত্যাখান করেন এবং এরপরই দাউদের লোক তাঁকে গুলি করে মেরে দেয়।
গুলশন কুমার হত্যা
দাউদ ইব্রাহিম বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার গুলশন কুমারের কাছে মোটা অর্থ চেয়ে বসে কিন্তু গুলশন কুমার তা দিতে অস্বীকার করলে ১৯৯৭ সালে টি-সিরিজ কর্ণধারকে দিনের আলোয় গুলি করে খুন করা হয়। বলা হয় যে এই ঘটনায় আবু সালেমের প্রত্যক্ষ মদত ছিল।
মন্দাকিনি ও দাউদ ইব্রাহিম
রাম তেরি গঙ্গা মইলি ছবিতে মন্দাকিনির অভিনয় ও সৌন্দর্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দাউদ ইব্রাহিমের। শোনা যায়, বলিউডে মন্দাকিনি দাউদের কারণেই অভিনয় করতে পেরেছিলেন।
রাকেশ রোশন ও আলি বাবা বুদেশ
কহো না... প্যায়ার হ্যায়-এর সাফল্যের পরে হৃত্ত্বিকের বাবা রাকেশ রোশন ডন আলি বাবা বুদেশকে লাভের ভাগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন এবং এর জন্য যখন তিনি কাজ করতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে হাতে ও বুকে গুলি করা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে রাকেশ বেঁচে গিয়েছিলেন।