এককালে সায়রা বানুকে ছেড়ে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে লিপ্ত হন দিলীপ কুমার, জানেন কেন
জীবনে যতই ঝড় ঝাপ্টা আসুক দিলীপ কুমারকে আগাগোড়া আগলে রেখেছেন স্ত্রী সায়রা বানু।
তখন ভারতীয় চলচ্চিত্রে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি 'বলিউড ' হয়ে ওঠেনি। তখন,১৯৪৪ সালে 'জোয়ার ভাঁটা' ছবি দিয়ে হিন্দি ছবির জগতে পা রাখেন মুহম্মদ ইউসুফ খান, যাঁকে তামাম দর্শক চেনেন দিলীপ কুমার নামে। তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনেও জোয়ার ভাঁটা কিছু কম যায়নি, বিশেষত তাঁর প্রেমজীবনে উথাল পাথাল লেগেই ছিল।
তবে, জীবনে যতই ঝড় ঝাপ্টা আসুক দিলীপ কুমারকে আগাগোড়া আগলে রেখেছেন স্ত্রী সায়রা বানু। যদিও বেশ কয়েক বছরের জন্য় এই সায়রাকেই ছেড়ে চলে গিয়েছিলন দিলীপ। সায়রার আগেও একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হিন্দি ছবির সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম দিলীপ কুমারের। কিন্তু সেইসব অভিনেত্রীকে ছাপিয়ে আজও দিলীপ কুমারের জীবনে একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছেন সায়রাবানু। দিলীপকে এক মহিরুহের মতো শীতলতা ,আদর যত্নে আগলে রেখেছেন তিনি।
দিলীপ কুমারের টুইট
সাম্প্রতিক এক টুইটে, ৯৪ বছর বয়সী দিলীপ কুমারকে দেখা যায়, শার্ট- প্যান্ট পরে এক ছবি পোস্ট করতে। ছবিতে ক্যাপশনে লেখা- স্ত্রী সায়রা বানু এই শার্ট প্যান্ট তাঁকে পরতে বলেছেন। ফলে এই বয়সে এসেও এই দুজনের প্রেমের গভীরতা আজও টের পাওয়া যায়।
দিলীপকে পছন্দ ছিল সায়রার
শোনা যায় ১৬ বছর বয়সে প্রথমবার মুঘল-এ-আজম দেখেছিলেন সায়রা বানু। তৎকালীন অভিনেত্রী নসিম বানুর মেয়ে সায়রা তখন থেকেই প্রেমে পড়ে যান 'হিরো' দিলীপ কুমারের।
সায়রা- রাজেন্দ্র কুমার প্রেম পর্ব
খুব কম বয়সেই হিন্দি ছবিতে অভিষওক ঘটে সায়রার। প্রথম ছবি 'জঙ্গলি' তে শম্মি কপুরের সঙ্গে অভিনয়ের পর থেকেই বহু হিট ছবিতে কাজ করতে থাকেন সায়রা বানু। তখনই স্বর্ণযুগের অভিনেতা রাজেন্দ্র কুমারের সঙ্গে প্রেম হয় সায়রার। তবে সেই প্রেম মান্যতা পায়নি, কারণ রাজেন্দ্র কুমার তখন বিবাহিত ছিলেন।
দিলীপ-সায়রা সাক্ষাৎ
সায়রার মা নসিম সব সময়ই চাইতেন দিলীপ কুমারের সঙ্গে সায়রার সম্পর্ক হোক। কারণ তখন তাঁরা দুজনে চুটিয়ে একসঙ্গে হিট ছবি দিয়ে চলেছেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে। আর বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে দিলীপ-সায়রা প্রেমে পড়লেন একে অপরের।
একের পর এক নায়িকার সঙ্গে দিলীপের সম্পর্ক
সায়রা বানুর সাথে সম্পর্কের আগে দিলীপ কুমারের সঙ্গে একের পর এক অভিনেত্রীর সম্পর্কের কথা সামনে আসে। তার মধ্যে একজন মধুবালা। মুঘল-এ -আজম করার সময় থেকেই এই প্রেম ছিল বলে জানা যায়। যদিও পরে তাতে আর সায় দেননি মধুবালা।
দিলীপ কুমার বৈজন্তিমালা সম্পর্ক
মধুবালার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর বৈজন্তিমালার সঙ্গে দিলীপ কুমারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা যায়।
সায়রা-দিলীপ বিয়ে
সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে শেষমেশ দিলীপ -সায়রার চার হাত এক হয়। ১৯৬ সালের ১১ অক্টোবর বিয়ে করেন দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু। বিয়ের সময় দিলীপ ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী, সেখানে সুন্দরী সায়রার বয়স ছিল ২২।
সুন্দরী সায়রাকে ছেড়ে পরকীয়া সম্পর্ক দিলীপের!
৮০ এর দশকে সায়রাকে ছেড়ে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হল দিলীপ কুমার। হায়দরাবাদের আসমা শাহিবার নামে এক মিহালর সঙ্গে সম্পর্ক গডে় ওঠে তাঁর। তারপর তাঁকে বিয়েও করেন দিলীপ বলে , জনসমক্ষে ঘোষণা করেন এই বর্ষিয়ান অভিনেতা। তবে পাশপাশি তিনি জানান, সায়রাকে ডিভোর্স দেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই তাঁর।
কেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক?
এতথ্য সর্বজন বিদিত যে দিলীপ কুমারকে কী পরিমাণ ভালোবাসেন সায়রা বানু। দুজনের প্রথম থেকে শেষ বয়সের একসঙ্গের ছবি দেখলেই তা বোঝা যায়। তবে কেন সায়রাকে ভুলে অন্য মহিলার প্রেমে পড়লেন দিলীপ? এপ্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, ১৬ বছর সায়রাকে বিয়ে করে নিঃসন্তান ছিলেন দিলীপ। তাই সন্তানের আকাঙ্খায় তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যদিও আসমার সঙ্গে কিছুদিন বাদেই বিচ্ছেদ হয় দিলীপের।