সরগরম কঙ্গনা–অনুরাগ টুইট যুদ্ধ, পরিচালককে অলিম্পিকে যাওয়ার পরামর্শ ‘কুইন’ অভিনেত্রীর
সরগরম কঙ্গনা–অনুরাগ টুইট যুদ্ধ, পরিচালককে অলিম্পিকে যাওয়ার পরামর্শ ‘কুইন’ অভিনেত্রীর
বলিউডের সঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াতের পাঙ্গা দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। বলিউড যেমন একদিকে কঙ্গনাকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না তেমনি 'কুইন’ অভিনেত্রীও জানেন কিভাবে আক্রমণের জবাব দিতে হয়। কঙ্গনার একসময়কার ভালো বন্ধু অনুরাগ কাশ্যপ অভিনেত্রীকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে পরামর্শ দিয়েছেন যে তিনি যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (ল্যাক) চলে যান, যেখানে ভারত–চিনের সংঘর্ষ হচ্ছে। এর জবাবে কঙ্গনাও তাঁর উত্তর প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। তিনি জানিয়েছে, তিনি সীমান্তে যেতে প্রস্তুত রয়েছেন এবং চিত্রপরিচালককে তিনি পরবর্তী অলিম্পিকে গিয়ে দেশের জন্য কিছু স্বর্ণ পদক নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
কঙ্গনা–অনুরাগ বন্ধু ছিলেন
কঙ্গনা হিন্দিতে বলেছেন, ‘ঠিক আছে আমি সীমান্তে যাচ্ছি, আপনি পরবর্তী অলিম্পিকে চলে যান। দেশের স্বর্ণপদক চাই। হা হা হা এগুলো কোনও বি-গ্রেড সিনেমা নয়, যেখানে অভিনেতা যা খুশি হয়ে গেল। আপনি তো রূপকগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এতটা বোকা কবে থেকে হয়ে গেলেন? যখন আমাদের বন্ধুত্ব ছিল তখন তো বেশ চালাক ছিলেন।'
কঙ্গনার টুইটের জবাবে অনুরাগের উত্তর
অনুরাগ কাশ্যপ খুব শীঘ্র কঙ্গনার টুইটের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘তোর জীবনটাই এখন উপমা হয়ে গিয়েছে বোন। তোর বলা সব কথাই এখন রূপক। সব অভিযোগ এখন রূপক। টুইটারে এত উপমা দিয়ে কথা বলেছিস যে এখন বেকার থাকা যুবকদেরও সকলে তোর সংলাপ দিয়ে ডাকতে শুরু করেছে। যদিও এটা আমার চেয়ে কেউ ভালো জানে না যে তুমি কতটা ভালো উন্নতি করেছো।' কঙ্গনা ভেবেছিলেন এই টুইটার লড়াই তিনি বন্ধ করবেন, কিন্তু এই ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্যের পর কঙ্গনা ফের লেখেন, ‘আচ্ছা! আমি দেখতে পাচ্ছি আপনি বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন, কোনও ধারণা ছাড়াই। যাইহোক আমি আর এটাকে খারাপ করতে চাই না। আমি সরে আসছি, বাজেভাবে নিও না বন্ধু, হলুদ দিয়ে ধুধ খাও ও ঘুমোতে যাও, আগামীকাল নতুন দিন।'
ক্ষত্রিয় কঙ্গনাকে চিনে যেতে বলেন অনুরাগ
বৃহস্পতিবার কঙ্গনার ক্ষত্রিয় টুইটের পর অনুরাগ লিখেছিলেন, ‘ব্যাস একজন তুই আছিস বোন, একমাত্র মণিকর্নিকা! তুই না চার-পাঁচজনকে নিয়ে চিনের ওপর চড়াও হয়ে যা। দেখো কত ভেতর পর্যন্ত চলে এসেছি। ওদেরকেও দেখিয়ে দাও যে যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ এই দেশের কেই কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তোর বাড়ি থেকে মাত্র একদিনের সফর ল্যাকে যাওয়ার। যা বাঘিনী। জয় হিন্দ।' প্রসঙ্গত এর আগে কঙ্গনা তাঁর টুইটে লিখেছিলেন, ‘আমি একজন ক্ষত্রিয়। মাথা কেটে আসতে পারি কিন্তু মাথা নোয়াবো না। দেশের সম্মানের খাতিরে সবসময় নিজের গলা চড়াবো। মান, সম্মান ও আত্মঅভিমানের সঙ্গে এতদিন বাঁচছি এবং জাতীয়তাবাদী হয়ে গর্বের সঙ্গে বাঁচব। নিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনও আপোস করিনি, না কোনওদিন করব। জয় হিন্দ।'
কঙ্গনা–অনুরাগ লড়াই
এর আগেও বলিউডের স্বজন পোষণ ও কিছু অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কঙ্গনার মন্তব্যের জেরে অনুরাগ তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। মণিকর্নিকার মুক্তির পর একটি ছোট ভিডিও শুট হয়, সেই পুরনো ভিডিও শেয়ার করে অনুরাগ জানিয়েছিলেন যে কঙ্গনা তাঁর একসময় খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু তাঁর নতুন এই অবতারকে অনুরাগ চিনতে পারছেন না। তিনি ক্রমাগত তাঁর সহ-অভিনেতা ও পরিচালক-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিচ্ছেন বলেও সমালোচনা করেন অনুরাগ। সম্প্রতি কঙ্গন কংগ্রেস নেত্রী তথা বলিউড তারকা উর্মিলা মাতন্ডকারকেও পর্নস্টার বলে অভিহিত করেন।
মালিকের থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে পোষ্যদের, জানাচ্ছে নতুন সমীক্ষা