মুম্বই পুরভোটে কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থী হতে লড়াই তিন বলিউড তারকার মধ্যে
মুম্বই পুরভোটে কংগ্রেসের মেয়র পদপ্রার্থী হতে লড়াই তিন বলিউড তারকার মধ্যে
মুম্বইয়ের মেয়র পদে আগামী দিনে এইসব বলিউডের তারকাদের দেখা যেতে পারে। সেরকমই পরিকল্পনা নিচ্ছে মুম্বই কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বৃহনমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) নির্বাচন রয়েছে, আর তার জন্য কংগ্রেস নিজেদের রণনীতি তৈরি করছে। কংগ্রেস আগে থেকেই মেয়র পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দলের তালিকায় নাম রাখা হতে পারে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের পুত্র তথা অভিনেতা রিতেশ দেশমুখ, মডেল ও ফিটনেস গুরু মিলিন্দ সোমান বা অভিনেতা সোনু সুদের।
তিন তারকাই রাজনীতি থেকে দূরে
দলের রণনীতির কৌশল তথ্যে থাকা এই ত্রয়ীর মধ্যে একজনও কিন্তু কংগ্রেসের নন। ২৫ পাতার দলের এই কৌশল নীতির খসড়া প্রস্তুত করেছেন সিটি কংগ্রেসের সম্পাদক গণেশ যাদব এবং তা এখনও দলীয় কংগ্রেসের নেতাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই কৌশল নীতি পেশ করা হতে পারে মহারাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সম্পাদক এইচ কে পাটিলের কাছে।
বলিউড পদপ্রার্থী
এখানে উল্লেখ্য, রিতেশ দেশমুখের পরিবার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মিলিন্দ সোমান বা সোনু সুদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। করোনা কালে দেশজুড়ে সোনু সুদের সামাজিক কাজ যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। তাঁকে রবিনহুড অ্যাখা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা মিলিন্দ সোমান সুপার মডেলের পাশাপাশি একজন ফিটনেস ফ্রিকারও বটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রভাব যথেষ্ট। এইসব দিক দিয়ে বিবেচনা করেই কংগ্রেস এই তিন বলিউড অভিনেতার নাম মেয়র পদের জন্য সুপারিশ করেছে।
কৌশল নীতি নিয়ে আলোচনা
যাদব এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে মুম্বইয়ের কংগ্রেস সভাপতি ভাই জগতাপ এই নীতি নিয়ে শীর্ষ দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই নীতিতে বলা হয়েছে যে দলের পক্ষ থেকে পুরনিগমের নির্বাচনের আগেই মেয়র পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে এবং কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নেই এমন প্রার্থীদের মেয়র পদের জন্য বিবেচনা করা হবে। এখানে এও বলা হয়েছে, যুব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কিছু আবেদন থাকা উচিত। কৌশল নীতি অনুযায়ী তরুণ পেশাদার, সমাজ কর্মী ও স্টার্টআপ মালিকদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক টিকিট বিলি করার জন্য দলকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ থাকে। কৌশল নীতিতে এও বলা হয়েছে যে আসন্ন নির্বাচনে শিবসেনার সঙ্গে জোট করবে কিনা সে বিষয়ে দলকে তার অবস্থান পরিস্কার করা দরকার।
কংগ্রেসের অবস্থান বর্তমানে অস্পষ্ট
রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, 'অনুমানের খেলায় জয় পেতে হলে আমাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এগোনো দরকার। বর্তমানে আমাদের অবস্থান অস্পষ্ট এবং আমরা রাজ্যস্তরে শিবসেনার সঙ্গে জোটে থাকার ফলে বিএমসির আসন বন্টন নিয়েও কোনও সমস্যা দেখা দেওয়ার কথা নয়। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান সুর্নিদিষ্ট হওয়া দরকার যাতে আমরা মানুষের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারি। এটি অবিলম্বে করা উচিত যাতে আমরা বিএমসিতে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তা দেখা যায়। বর্তমানে, এই বিভ্রান্তির কারণে বিএমসি হাউজে কোনও কংগ্রেস নেই।'
কংগ্রেসকে অবিলম্বে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে হবে
ওয়াকিবহল মহলের মতে যদি কংগ্রেস এই নির্বাচন একা লড়তে চায় তবে অবিলম্বে যেখানে কোনও কংগ্রেস কর্পোরেটর নেই এবং যেসব এলাকায় শীর্ষ নেতাদের স্বার্থ প্রভাবিত হয় না সেই ১৪৭টি আসনে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে হবে। কৌশল নীতি অনুযায়ী কংগ্রেসকে অবশ্যই বঞ্চিত বহুজন আঘাদি (ভিবিএ) এবং এআইআইএমআইএম-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে হবে এবং তাদের বিজেপির মূল দল হিসেবে তুলে ধরতে হবে।