দাবার বোর্ডের ছকে আসনের বন্দোবস্ত হোক, কেন্দ্রকে প্রস্তাব সিনেমা হল মালিকদের
দাবার বোর্ডের ছকে আসনের বন্দোবস্ত হোক, কেন্দ্রকে প্রস্তাব সিনেমা হল মালিকদের
আনলক ৩–এ মাল্টিপ্লেক্স ও একক সিনেমা হলগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে তা ২৫ শতাংশ আসনের টিকিটের শর্তে। যদিও কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসে সিনেমা হলের মালিকরা প্রস্তাব দিয়েছেন, ৫০ শতাংশ আসন, অর্থাৎ একটি সিট বাদে একটি করে সিটে টিকিট বিক্রির। নয়ত তারা আর্থিক সামঞ্জস্য হারিয়ে ফেলবে। যদিও সিনেমা হল মালিকদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি মন্ত্রক।
২৫ শতাংশ আসন নিয়ে খুলতে হবে সিনেমা হল
১ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে আনলক-৩। এই পর্বে নতুন কী কী চালু হওয়া সম্ভব, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। নতুন নির্দেশিকা তৈরি করছে সরকার। জানা গিয়েছে যে যদি ২৫ শতাংশ আসন ভরতে হয়, সামনের ও পেছনের সারি নিয়ে, তবে প্রত্যেকটি সারিতে একটি করে বিকল্প আসন খালি রাখতে হবে। হল মালিকদের মতে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে হলের ভাড়া আকাশ ছোঁয়া এবং টিকিটের মূল্য খুবই কম (১৫০ থেকে ২৫০টাকা), তাই এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক আসন ভর্তি না হলে সিনেমা হল চালানো প্রায় অসম্ভব। দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয় ২৫ মার্চ থেকে, তারপর থেকেই দশহাজার স্ক্রিন (২,৮০০ মাল্টিপ্লেক্স) বন্ধ হয়ে যায়।
মাল্টিপ্লেক্স হলের মালিকরা বিপক্ষে
মাল্টিপ্লেক্স সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘বিমানের ক্ষেত্রেও যেখানে ২ ঘণ্টার সফর করতে হয় গড়ে, সেখানেও মাঝের আসন খালি রাখা হয় না। কেন সিনেমা হলের সামনের ও পেছনের সারি, উপরন্তু প্রত্যেক বিকল্প আসন খালি রাখার যুক্তি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।'
দাবার বোর্ডের মতো আসন ব্যবস্থা
হল মালিকরা প্রস্তাব দিয়েছে যে আসনের বন্দোবস্ত দাবার বোর্ডের মতো করা হোক, যেখানে ৫০-৫০ আসনের ভাগ থাকবে। এই নিয়ে আলোচনা হল মালিক ও সরকারের সঙ্গে হলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি কেন্দ্র।
আসল সিদ্ধান্ত রাজ্যের হবে
তবে সিনেমা হল, জিমের মতো বিষয়ে কেন্দ্র যেমনই সিদ্ধান্ত নিক, তার উপর রাজ্য সরকারের ক্ষমতাই চূড়ান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে রাজ্য সরকারগুলি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অর্থাৎ কেন্দ্র সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্স বা জিম খোলার অনুমতি দিলেও কোনও রাজ্য সরকার যদি মনে করে তা চালু নাও করতে পারে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় সেই বন্দোবস্ত রাখা হবে বলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।
বিদ্রোহ গোষণা করেও রাজ্যপালের শরণাপন্ন গেহলট! রাজস্থানে রাজনৈতিক নাটক চরমে