কেন্দ্র এখন পাকিস্তানের প্রেমে পড়েছে, তাই আদনানকে পদ্মশ্রী, ব্যঙ্গ স্বরার
পাকিস্তানি গায়ক আদনান সামিকে পদ্মশ্রী দেওয়া নিয়ে এবার বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর সরব হলেন। আদনানের পদ্মশ্রী পাওয়া নিয়ে তিনি সরাসরি কেন্দ্র সরকারকে দুষলেন। তিনি জানিয়েছেন যে আদনানের জন্মভূমি পাকিস্তান হওয়া সত্ত্বেও তিনি ২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং তিনি পদ্মশ্রীও পেতে চলেছেন। তাহলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তা ও ন্যায়সঙ্গত কারণ কি।
স্বরা বলেন, 'ভারতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য একটা ব্যবস্থা ইতিমধ্যে রয়েছে। যারা অন্য দেশের সংখ্যালঘু তারা চাইলেই ভারতে আসতে পারেন। আদনান সামি এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন অন্য দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে, এখন আপনারা তাঁকে পদ্মশ্রী দিচ্ছেন। তাহলে সিএএ–এর প্রয়োজন আছে কি?’ রবিবার ইন্দোরে 'গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ এক জনসভাতে এসেছিলেন স্বরা ভাস্কর। সেখানে এসে তিনি বলেন, 'অন্যদিকে আমাদের (সিএএ–বিরুদ্ধ প্রতিবাদকারীদের) হেনস্থা করা হচ্ছে। জেলে বন্দি করছেন, অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দেওয়া হচ্ছে, আমাদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস ছোঁড়া হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে, আর অন্যদিকে এক পাকিস্তানিকে পদ্মশ্রী দিচ্ছেন আপনি।’ তিনি জানান যে মোদী সরকার গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
স্বরা এরপর সরাসরি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, 'বর্তমান কেন্দ্র সরকারের পাকিস্তানের প্রতি একটা দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। তারা সবজায়গায় পাকিস্তান দেখতে পাচ্ছে। আমার দিদা যত না হনুমান চালিশা পড়ে, এই সরকার তার চেয়েও বেশি পাকিস্তানের গান গায়। যারা সিএএ এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনে (এনআরসি) আবেদন করে আমাদের দেশে প্রবেশ করে তথাকথিত অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষতি করতে থাকে। কেন আমরা এই অনুপ্রবেশকারীদের দেখতে পারছি না?’ বলিউড অভিনেত্রী কারোর নাম না নিয়ে আরএসএসকে কটাক্ষ করে বলেন, 'নাগপুরে বসে এই মানুষগুলো ঘৃণার রাজনীতি ছড়াচ্ছে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান গঠন হয়। তবে আমরা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের জন্য দৃঢ় অবস্থানে ছিলাম যেখানে নাগরিকত্বের সঙ্গে কারও ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। জিন্নাহ (পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নাহ) বহু বছর আগেই মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর ভক্তরা ধর্মের নাম করে দেশকে বিভক্ত করতে চাইছে।’
স্বরা বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র তুমুল সমালোচনা করেন। তিনি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে জানিয়েছিলেন যে যারা চিঁড়ে খায় তারাই বাংলাদেশি। স্বরা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'যদি চিঁড়ে খাওয়া বাংলাদেশি হওয়ার পরিচয় হয়, তাহলে কৈলাশ বিজযবর্গীয় যিনি চিঁড়ে খেয়ে বড় হয়েছেন তো আগে তাঁর নাগরিকত্বের প্রমাণ দেওয়া উচিত। উনি ভারতীয় কিনা সন্দেহ রয়েছে।’