নেটফ্লিক্স থেকে কমিকস, করোনা পূর্বাভাসে তাজ্জব হতে যা খুঁজছে নেটিজেনরা!
নেটফ্লিক্স থেকে কমিকস, করোনা পূর্বাভাসে তাজ্জব হতে যা খুঁজছে নেটিজেনরা!
চিন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এই মারণ সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়েছে। প্রাণ কেড়েছে অন্তত ৩২ হাজার জনের। আক্রান্ত ৬ লক্ষেরও বেশি। এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই যে এই ভাইরাস এই হারে ছড়িয়ে পরবে তা হয়ত ভবতে পেরেছিলেন অনেক কমজনই। তবে এই সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন বই বা টিভি সিরিজে। আর তাতেই এই সব টিভি সিরিজ দেখতে নেটফ্লিক্সে সার্চ বেড়ে গিয়েছে, বা কমিকসের অনলাইন সংস্করণের খোঁজ বেড়েছে বিস্তর।
চিন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে করোনা
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাদুর্ভাব হয় এই ভাইরাসের। তারপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। প্রতিদিন নতুন নতুন দেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। কারণ, এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া এ নিয়ে গুজব ও আলোচনারও শেষ নেই।
সিম্পসন কমিকস
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিম্পসন কমিকসের ১৯৯৩ সালের একটি পর্ব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এক ধরনের ফ্লুর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাতে বলা হয়, ওই ফ্লু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। তবে সিম্পসনের ওই পর্বে জাপানকে ফ্লুর উৎপত্তিস্থল বলা হয়েছিল। উৎস স্থলে অমিল থাকলেও বিষয়টি মোটামুটি মিলে যাওয়ায় তাজ্জব সবাই।
আগেও সবাইকে তাজ্জব করেছিল সিম্পসন
এর আগে কমিকসটির প্রায় ১৬ বছর আগের এক পর্বে বলা হয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন। কমিকসের সেই ভবিষ্যদ্বাণী হুবাহু মিলে গিয়েছিল। এ ছাড়াও আরো অনেক ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার জন্য এই কমিকসটি পৃথিবীতে বিখ্যাত।
দ্য আইজ অব দ্য ডার্কনেস
এদিকে ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আইজ অব দ্য ডার্কনেস' নামের একটি ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাসে উহান-৪০০ নামের ভাইরাসের কথা উল্লেখ করা হয়। যেখানে লেখন ডিন কুনটজ লেখেন, ল্যাবরেটরিতে বায়োলজিক্যাল অস্ত্র হিসেবে উহান-৪০০ ভাইরাসটি তৈরি করা হয়। তৈরির পর ভাইরাসটি সারা শহর ও দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বইয়ে উল্লেখিত উহান-৪০০ এর সঙ্গে বর্তমান কোভিড-১৯ এর হুবাহু মিল রয়েছে। এ নিয়ে অনেকে বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন।
কন্ট্যাজিয়ন
হংকং থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এক ভাইরাসের গল্প বলা হয়েছিল কন্ট্যাজিয়ন নামের এক চলচ্চিত্রে। স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয় ২০১১ সালে। ওই চলচ্চিত্রে এমইভি-১ নামের একটি ভাইরাসের কারণে পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ জনগণের মৃত্যু হয়। বর্তমানে চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের সঙ্গে ওই চলচ্চিত্রটির অনেকটা মিল রয়েছে।
নেটফ্লিক্সের 'মাই সিক্রেট টেরিয়াস'
এদিকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে এরকমই এক গল্পের প্লট নিয়ে তৈরি কোরিয়ান সিরিজ 'মাই সিক্রেট টেরিয়াস' এখন নেটফ্লিক্সের টপ সার্চের শীর্ষে।
সিলভিয়া ব্রাউনির এন্ড অব ডেজ
২০০৮ সালে লেখক সিলভিয়া ব্রাউনি 'এন্ড অব ডেজ' নামের এক বইতে লিখেছিলেন, ২০২০ সালে সারাবিশ্বে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়িয়ে পড়বে। যা মানুষের ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করবে। কিন্তু প্রচলিত চিকিৎসায় ওই রোগ সারবে না। কোভিড-১৯ ভাইরাস বর্তমান পরিস্থিতিও কিছুটা একই রকম। এই বইয়ের বিষয়ে টুইট করেছিলেন কিম কার্ডিশান। আর এরপরই এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
অ্যাস্টেরিক্স অ্যান্ড চ্যারিয়ট রেস
২০১৭ সালে প্রকাশিত অ্যাস্টেরিক্স অ্যান্ড চ্যারিয়ট রেস নামক কমিকস এক ভিলেন ছিল যার নাম করোনাভাইরাস ছিল।