'পুরুষের রোল নির্যাতকের, নারীর রোল অত্য়াচারিতার', কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরব তসলিমা
বিহারের জেহনাবাদে এক কিশোরীর ওপর পশুর মতো হামলা চালায় ৮ জন ব্যক্তি। মেয়েটির শ্লীলতাহানির সেই নারকীয় দৃশ্য আরেকজন ভিডিও করে।
'মেয়েটির কান্না আর চিৎকার আমাকে গতকাল থেকে খুব অস্থিরতা দিচ্ছে। এই দৃশ্যকে মনে হচ্ছে সমাজের সত্যিকার দৃশ্য। এইভাবে বা অন্য নানা ভাবে এই ঘটনাই ঘটে চলেছে সমাজে। নারী পুরুষ এই রোলই প্লে করছে। পুরুষের রোল অত্যাচারী আর নির্যাতকের , নারীর রোল অত্যাচারিতা আর নির্যাতিতার। গ্রামে শহরে রাস্তা ঘাটে মলে বাজারে ঘরে বাইরে এই দৃশ্য আমরা দেখছি না, দেখছি শ্লীল সব দৃশ্য। আসলে সব শ্লীল দৃশ্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এই বীভৎস অশ্লীল দৃশ্যই।' এবক্তব্য সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের।
বিহারের জেহনাবাদে এক কিশোরীর ওপর পশুর মতো হামলা চালায় ৮ জন ব্যক্তি। মেয়েটির শ্লীলতাহানির সেই নারকীয় দৃশ্য আরেকজন ভিডিও করে। আর স্বাধীন দেশের এমন নৃশংস দৃশ্যের ভিডিও প্রকাশ্যে চলে আসায় আরও একবার সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় দেশ জুড়ে। নাবালিকার ওপর সঙ্গে ঘৃণ্য অত্য়াচারের সেই ঘটনা পরতে পরতে উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে অত্য়াচারীদের। নাবালিকা যখন করুণ আর্তনাদ আর কান্নায় ভেঙে পড়েছে, তখন হাসতে হাসতে জোর করে মেয়েটিকে নগ্ন করেছে এই ৮ জন। এনিয়ে ফেসবুকে সরব হন তসলিমা নাসরিন।
উল্লেখ্য, ভিডিও ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই সোমবার তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৪ জন এখনও অধরা। পাটনা জোনাল আইজি নায়ির হাসনাইন খান জানিয়েছেন, 'আটক চারজনের মধ্যে দুজনের মুখ ভিডিয়োয় থাকা দুজনের সঙ্গে মিলে গেছে। আর বাকি দুজন ভিডিও করছিল। এই চারজনকে জেরা করে আরও চার-পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের সন্ধানে খোঁজ চলছে।'জেহানাবাদ পুলিশের এসএইচও এসকে সিং জানান, 'ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ৫১১ (মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ) এবং পকসো আইনের ৮ ধারা (যৌন হেনস্থা)-য় এফআইআর করা হয়'।