রূপাঞ্জনার পাশে এসে দাঁড়ালেন অরিন্দম শীলের স্ত্রী, ফেসবুকে বিস্ফোরক অভিযোগ
রূপাঞ্জনার পাশে এসে দাঁড়ালেন অরিন্দম শীলের স্ত্রী, ফেসবুকে বিস্ফোরক অভিযোগ
হলিউড–বলিউএর পর মিটুর জোয়ার এসে পড়ল বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও। পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগে এনেছেন টলি দুনিয়ার পরিচিত মুখ রূপাঞ্জনা মিত্র। তাঁর অভিযোগ, ইস্টার্ন বাইপাসের কাছে অরিন্দমের অফিসে চিত্রনাট্য পড়ে শোনানোর অছিলায় তাঁর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক। এবার মিটু বিতর্কে এবার অভিনেত্রী রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়ালেন অরিন্দম শীলের স্ত্রী তনুরুচি শীল।
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
তনুরুচি
একটি
পোস্টও
দিয়েছেন।
সেখানে
তিনি
লিখেছেন,
অরিন্দম
শীল
তাঁর
স্ত্রীয়ের
সঙ্গে
থাকেন
না।
স্ত্রী
বলা
হয়েছে,
কারণ
আলিপুর
আদালতে
তাঁদের
বিচ্ছেদের
মামলা
এখনও
ঝুলছে।
এখনও
তার
নিষ্পত্তি
হয়নি।
এরপর
তনুরুচি
অভিযোগ
তুলে
জানিয়েছেন,
স্ত্রীকে
প্রতারণা
করে
অরিন্দম
ফ্ল্যাটে
শুক্লা
দাসের
সঙ্গে
থাকেন।
অথচ
সেই
ফ্ল্যাটটি
অরিন্দম
ও
তনুরুচির
যৌথভাবে
কেনা।
অথচ
শুক্লার
সঙ্গে
আইনত
বিয়ে
হয়নি।
তনুরুচি
ফেসবুকে
তাঁর
পোস্টে
জানিয়েছেন
যে
তিনিও
পরিস্থিতির
চাপে
পড়ে
রূপাঞ্জনার
মতই
মুখ
বন্ধ
রাখতে
বাধ্য
হয়েছিলেন।
কিন্তু
অবিচার
তাঁর
সঙ্গেও
হয়েছে।
তিনি
পোস্টে
বলেন,
'আমি
চার্বাক
নাট্য
গোষ্ঠীতে
ছিলাম
আর
সোনেক্স
আমি
ও
অরিন্দম
একই
সঙ্গে
কাজ
করতাম।
সেখানেই
পরিচয়,
প্রেম
ও
বিবাহ।
সুখী
দম্পতি
বলতে
যা
বোঝায়
তাই
ছিলাম
আমরা।
কিন্তু
অশান্তির
সূত্রপাত
আমাদের
দাম্পত্য
জীবনে
শুক্লা
দাসের
আগমনে।’
তনুরুচি শীল ফেসুক পোস্টে জানিয়েছেন যে এই শুক্লা দাস আদৌও অরিন্দমের স্ত্রী নয়। তিনি বলেন, '১৯৯১ সালের মার্চ মাসে রজত রায়ের সঙ্গে শুক্লার বিয়ে হয়। অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন এই রজত রায়। আমার আর অরিন্দমের সামাজিক বিয়ে হয় ১৯৯২ সালের ১৯ নভেম্বর। তারপর ৯৩ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। সেখান থেকেই আমরা চারজন বন্ধু।’ এরপর তিনি আরও বলেন, 'শুক্লার স্বামী ওর প্রচন্ড অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে না পেরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শুক্লার ব্যবহার ও ছিল খুব খারাপ। এই সময় শুক্লা স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে।’ তনুরুচি এরপর জানান যে শুক্লার মেয়ের হস্টেলের জন্য অরিন্দম ও তিনি শুক্লার সঙ্গে দার্জিলিংয়ে যান। কিন্তু তখনও তনুরুচি বুঝতে পারেননি যে তাঁর স্বামীর সঙ্গে শুক্লাই অবৈদ সম্পর্কে লিপ্ত। অরিন্দমের স্ত্রী বলেন, 'ওর স্বামী রজত কিছু দিন পরে মানসিক যন্ত্রণায় ও চরম কষ্ট ভোগ করে মারা যায়। আমার বাবা ১৯৯৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান। বাবার চারদিনের কাজে আমি বাড়ি গিয়ে ছিলাম। ফিরে এসে দেখি অরিন্দম আমার সাথে হঠাৎই অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করছে। তখনো কিছু বুঝতে পারিনি। পারলাম যখন জুন মাসে শুক্লা আর অরিন্দম আমার সামনে দিয়ে দার্জিলিং চলে গেল। আমাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়। তারপর আমার আর অরিন্দমের যৌথ ভাবে কেনা ফ্ল্যাট ওরা দুজন দখল করে ও আমার নামে একটা কেস করে যে , আমি নাকি বাড়ি বিক্রি করে দিতে চাইছি।’
তনুরুচি জানিয়েছেন, যাতে ব্যক্তি অরিন্দম শীলকে সবাই চিনতে পারে, তাই তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত কথা সর্বসমক্ষে আনছেন। সেই কারণেই রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যখন অরিন্দম তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তখন বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরিচালক। আর এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ। সেই কারণে অরিন্দম তখনও সুবিধা পেয়েছিলেন, এখনও সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ আদালতের বয়ান অনুযায়ী ফ্ল্যাট তাঁদের দু’জনের নামে। প্রয়োজনে তিনি দলিলও দেখাতে পারেন।
এক সংবাদমাধ্যমের কাছে রূপাঞ্জনা বলেন, অরিন্দম শীল তাঁর 'ভূমিকন্যা’ ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য পড়ে শোনানোর জন্য অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কথামতো নির্ধারিত সময়ে পরিচালকের ইস্টার্ন বাইপাসের ধারের অফিসে পৌঁছেও যান। সেখানেই অভিনেত্রীকে আলিঙ্গন করেই নাকি কদর্য ইঙ্গিত করেছিলেন অরিন্দম।