সুশান্ত লিখতে ভালোবাসতেন অথচ নেই কোনও সুইসাইড নোট, প্রশ্ন তুললেন হস্তাক্ষর বিশারদ
সুশান্ত সিং মৃত্যুর পর তাঁর ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভাগুলি ক্রমশঃ প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সুশান্ত সিংয়ের ব্যক্তিগত ডায়েরি হাতে এসেছে, যেখানে তিনি প্রকাশ করেছেন যে তিনি হলিউডে পা রাখার পরিকল্পনা করছিলেন এবং যার জন্য তিনি বিভিন্ন দল তৈরির প্রক্রিয়ায় ছিলেন। এই ডায়েরিতে প্রয়াত অভিনেতা তাঁর জীবনের প্রত্যেক মিনিটের কাজ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা লিখে গিয়েছেন।
অভিনেতার ডায়েরি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন দিল্লির হস্তাক্ষর বিশারদ আদর্শ মিশ্র। তিনি ডায়েরি দেখার পর অভিনেতার সম্পর্কে জানিয়েছেন যে সুশান্ত খুবই সহজ মানুষ ছিলেন এবং ইতিবাচক চিন্তাধারার মানুষ, যিনি সর্বদাই অন্যের কথা চিন্তা করতেন। মিশ্র জানিয়েছেন, যেভাবে সুশান্ত তাঁর ডায়েরিতে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা লিখেছেন স্পষ্ট করে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি খুব খুশি ও প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। যে ব্যক্তি নিজের জীবনের প্রত্যেক মিনিটের কথা ডায়েরিতে লিখে রাখতেন তিনি এভাবে নিজেকে শেষ করে দেবেন এই ভাবনাটা খুব কঠিন। এছাড়াও যে ব্যক্তি লিখতে এত ভালোবাসতেন তিনি কেন কোনও সুইসাইড নোট রেখে গেলেন না? প্রশ্ন তুলেছেন হস্তাক্ষর বিশারদ।
মিশ্র আরও জানিয়েছেন যে সুশান্তের হাতের লেখা কোনও নেতিবাচক বিষয়ের ইঙ্গিত দেয় না। দু’টো বাক্যের মধ্যে অনেকটা জায়গা এটা ইঙ্গিত করে যে তিনি খুবই প্রাণবন্ত ছিলেন। সব লেখাই ওপরের দিকে, যা ইতিবাচক দিক ফুটিয়ে তুলেছে অভিনেতার।
প্রয়াত অভিনেতা ডায়েরিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে 'ভিশন ২০২০’। যেখানে উল্লেখ রয়েছে তাঁর হলিউডে যাওয়া নিয়ে। যার জন্য তিনি বৈধতা,সৃজনশীলতা ইত্যাদির যত্ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দল তৈরি করছিলেন। তবে ডায়েরিতে কোনও লেখার তারিখ নেই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের নজরে এসেছে যে সুশান্তের ব্যক্তিগত ডায়েরির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাতা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ কেউ প্রমাণ নষ্ট করতে চেয়েছে। ১৪ জুন সুশান্তের আত্মহত্যার পর মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্তের আগে ফরেন্সির দল গুরুতর আঙুলের ছাপ ও নখের নমুনা সংগ্রহ করেনি। সিবিআই রাজপুতের কর্মী, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। রবিবারই সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে এই ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়।