তিনদিন ব্যাঙ্ককের হোটেলেই ছিলেন সুশান্ত এবং সারা, চাঞ্চল্যকর দাবি প্রয়াত অভিনেতার প্রাক্তন সহকারীর
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় সুশান্ত কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী অনেক অজানা তথ্য ফাঁস করছেন। তিনি সুশান্ত ও তাঁর ছয় বন্ধুর ব্যাঙ্কক সফর নিয়ে কথা বলেন। রিয়া জানিয়েছেন এই সফরে সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন কুশল জাভেরি, সিদ্ধার্থ গুপ্ত, আব্বাস, মুস্তাক ও সাবির আহমেদ। রিয়ার কথা অনুযায়ী, সুশান্ত এই সফরে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। অন্যদিকে সাবির আহমেদও ব্যাঙ্কক সফর নিয়ে এবং সফরের সময় কমিয়ে দেওয়ার কারণও সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। সাবির জানিয়েছেন যে সারা আলিও তাঁদের সঙ্গে ব্যাঙ্কক সফরে গিয়েছিলেন।

সাবির আহমেদ সেই সময় সুশান্তের সহকারী হিসাবে ছিলেন জানিয়েছেন যে এই সফরটি প্রয়াত অভিনেতার পিআরও দলের সঙ্গে ছিল। অভিষেক কাপুরের কেদারনাথ ছবিতে সুশান্তের সঙ্গে সেই সময় কাজ করেছিলেন সারা আলি খান, তিনিও ছেলেদের দলের সঙ্গে ব্যাঙ্কক যান। সাবির আহমেদ বলেন, 'আমরা সাতজন ছিলাম, সুশান্ত, সারা আলি খান, সিদ্ধার্থ গুপ্তা, কুশল জাভেরি, আব্বাস, সুশান্তের দেহরক্ষী এবং আমি।’ তিনি আরও বলেন, 'এটা সুশান্তের তাঁর পিআরও টিম, সারা আলি ও দুই কর্মীর সঙ্গে সফর ছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই সফর হয় এবং আমরা ব্যক্তিগত বিমানে করে ব্যাঙ্কক গিয়েছিলাম।’
সাবির আহমেদ ব্যাঙ্কক সফর প্রসঙ্গে আরও জানান যে সুশান্ত ও সারা সবসময়ই হোটেলেই ছিলেন। তিনি বলেন, 'শুধু প্রথম দিন, আমরা সকলে মিলে সমুদ্রের ধারে গিয়েছিলাম, কিন্তু এরপর গোটা সফরে সুশান্ত ও সারা হোটেল রুমেই ছিলেন। আমরা সবাই ব্যাঙ্কক ঘুরতে বেড়িয়ে ছিলাম। তাঁরা ব্যাঙ্ককের লাক্সরিয়াস আইলান্ড হোটেলে ছিলেন।’ সাবিরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কেন সফরের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হল, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সুনামির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে ফিরে আসবেন। কিন্তু আমি ও মুস্তাক থেকে যাই কারণ সীমিত বিমানের টিকিট ছিল। ব্যাঙ্ককে আমরা একমাস মতন ছিলাম এবং সুশান্ত নিজের এটিএম কার্ড দিয়ে দিয়েছিল আমাদের খরচের জন্য। পরে স্যামুয়েল হাওকিপ মুম্বই থেকে আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ স্থানান্তর করেছিলেন।’
সাবির এও জানান যে, সুশান্ত ও সারা ব্যাঙ্কক থেকে ফিরলে তাঁদের বিমানবন্দরে নিতে আসেন স্যামুয়েল হাওকিপ।
যুদ্ধবিমান 'তেজস' ওড়াবেন কঙ্গনা! কোন উড়ানের পথে বলি-কুইন