করোনায় 'নেগেটিভ' হয়ে ওঠার 'পজিটিভ' কাহিনি! কেমন ছিল অভিনেতা সায়কের দুর্দমনীয় লড়াই
করোনায় 'নেগেটিভ' হয়ে ওঠার 'পজিটিভ' কাহিনি! কেমন ছিল অভিনেতা সায়কের দুর্দমনীয় লড়াই
আর চার পাঁচজনের মতোই স্বাভাবিক ছন্দে কাটছিল জীবন। নিত্যদিনের শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা। ফ্যানেদের আবদার মেটানো নানান কর্মকাণ্ড। এরই মাঝে নিজের মতো করে জীবন কাটাচ্ছিলেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। তবে স্বাভাবিক সেই ছন্দে বাধ সাধে করোনার দানবীয় প্রকোপ। প্রথম ধাক্কায় আর চার পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই করোনা 'পজিটিভ' হওয়ার রিপোর্ট হাতে পেতেই হতভম্ব হন অভিনেতা। তবে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েননি। করোনার রিপোর্টকে 'নেগেটিভ' করা পর্যন্ত হার না মানা জেদ নিয়ে কার্যত স্টেপ আপ করেই বাউন্ডারি মেরে গিয়েছেন সায়ক। সেই অভূতপূর্ব লড়াইয়ের কাহিনি, 'ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা'র সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
জনপ্রিয়তা ও সায়ক
বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা এই মুহূর্তে সায়ক চক্রবর্তী। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ যাঁরা ফলো করেন, তাঁরা সকলেই জানেন, বাইরের জগতের পাশাপাশি সায়কের দুনিয়ায় একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে তাঁর পরিবার।
যেমন কাটছিল সায়কের জীবন..
কখনও মায়ের সঙ্গে আদুরে ছবি, আবার কখনও দাদার সঙ্গে মজায় মশকরায় নেতে ওঠার স্টোরি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন সায়ক। পরিবারে বৌদির সঙ্গেও বেশ হাসখুশি খুনশুটির সম্পর্ক এই তারকার। প্রসঙ্গত, বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা রায় চক্রবর্তী সম্পর্কে সায়কের 'বৌদি' হন। দাদা সব্যসাচী বাংলার সাংবাদমাধ্যমের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এই পরিবার ছাড়াও সায়কের জীবনে রয়েছে আরও এক পরিবার। তা হল টালিগঞ্জ পাড়ায় তাঁর পছন্দের শ্যুটিং ফ্লোর। আর করোনার এক দাপটে এই সমস্ত কিছু থেকে দূর সরে যেতে হয়েছিল সায়ককে।
'হার না মানা জেদ' ই ছিল সম্বল
একা ঘরে একাকিত্বের মধ্যে কাটাতে হয়েছে দিন। স্বাদ, হীন গন্ধহীন একটা মনুষ্যজীবন, আর তার লড়াই নেহাতই সহজ ছিল না। তবে সেই লড়াইকে নিজের মতো করে প্রতি মুহূর্তে জিতে করোনাকে পরাস্ত করেছেন সায়ক। সেই লড়াইয়ের কাহিনি তিনি নিজে বলেছেন 'ওয়ান ইন্ডিয়া'কে।
'ওয়ান ইন্ডিয়া'র নয়া উদ্যোগ
প্রসঙ্গত, 'স্টোরিজ অফ স্ট্রেন্থ' শীর্ষক সিরিজে 'ওয়ান ইন্ডিয়া' এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। এই সিরিয়ে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব , সেই সমস্ত লড়াইয়ের কাহিনি , যাঁরা করোনাকে হারিয়ে জিতে এসেছেন এক অসম লড়াই। সায়কের মতো সেলিব্রিটিদের কথা যেমন সেখানে থাকছে, তেমনই আমাদের চারপাশে থাকা বহু মানুষের করোনা লড়াইয়ের কাহিনি সেখানে তুলে ধরা হবে। করোনার 'নেগেটিভিটি'কে কাটিয়ে জীবনবোধের 'পজিটিভিটি'কে সেখানে পেশ করা হবে।