শ্রীজিতের ফেলুদা সিরিজের শ্যুটিং উত্তরবঙ্গে থমকাল ড্রোন বিতর্কে
শ্রীজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ফেলুদা ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছিল ডুয়ার্সের মূর্তি এলাকায়। এই শুটিং তিন জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যান বনাঞ্চল ঘেঁষা এলাকা জুড়ে ড্রোন ক্যামেরা চালিয়ে অবাধে শুটিং চলছিলো। এরপর সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা দেখতে পাওয়ার পর পুলিশ ও বনকর্মীরা গিয়ে সেই ড্রোনটিকে চালানো বন্ধ করে।

ড্রোন উড়িয়ে শুট করা হচ্ছিল বিভিন্ন দৃশ্য। এই নিয়েই তৈরি হয়েছিলো বিতর্ক। কি করে জঙ্গলের পাশে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। আজ এই ঘটনাটি ঘটে মেটেলি ব্লকের পর্যটন কেন্দ্র। চালসা রেঞ্জের পানঝোরা জঙ্গল ঘেঁষা মূর্তি নদীতে ড্রোন ক্যামেরা চালিয়ে শুটিং করে। শুটিং এর জন্য সমস্যায় পড়তে হয় মূর্তিতে ঘুরতে আশা পর্যটকদেরও। নদীর পাশে পর্যটকদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুটিংয়ের এলাকা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
বন্যপ্রাণীদের এক সহকারী বলেন এর আগেও বন্যপ্রাণী আইনে ইঞ্জিনিয়ার কে গ্রেপ্তার হয়েছিল। এবারও স্বয়ং গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে চলল ওয়েব সিরিজে বিভিন্ন শুটিংয়ের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দীর কাজ। গতকাল সকাল থেকেই মূর্তি নদীর ওপরে ওই শুটিং হয়। এদিন দুপুরে গিয়ে দেখা যায় ড্রোন চালিয়ে শুটিং করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের সাথেও দুর্ব্যবহার করা হয়।পরে অবশ্য সেই ড্রোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূর্তিতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন,শুটিং এর জন্য আমাদের মূর্তি নদীর ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাচ্চাদের নিয়ে মূর্তিতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা আনন্দ করতে পারিনি।
একজন বনকর্মী বলেন, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে আমরা গিয়ে তাদের ড্রোন ক্যামেরা ব্যাবহার না করার কথা বলেছি। তারাও তা বন্ধ করে দিয়েছে।বনদপ্তর সূত্রে জানা যায়,ওই এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা চালানো সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে ফিল্ম প্রডাকশন হাউজের কর্মীদের জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তারা বলেন সংবাদমাধ্যমের সাথে কোন কথা নয় আমাদের কাছে অনুমতি রয়েছে তাই আমরা দাঁড়িয়ে ছবি তুলছি বলে তারা জানান।
জলপাইগুড়ির ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, আমরা এলাকাবাসী তরফ থেকে অভিযোগ পেয়েছি মূর্তি এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে কোন ছবির শুটিং চলছে। এটা পুরোপুরি বেআইনি রাজ্যের উর্ধতন বনকর্তাদের জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগেও সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় ছবি তোলার অপরাধে এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অভিষেক তিওয়ারি বলেন, আমরা কোনো অনুমতি দিইনি। আমার খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।