‘অউকত’ অনুযায়ী রাজনীতি করা উচিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার শ্রীলেখা মিত্র
পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, শ্রীলেখা মিত্রের সবেতেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না। অন্যায় কিছু দেখলে তিনি তা মুখ বুজে সহ্য করেন না বরং প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। টলিউডে দু’দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করা সেই অভিনেত্রীকেই তাঁর 'অউকাত’ বোঝানোর চেষ্টা করা হল এক ফেসবুক প্রোফাইল থেকে।

কিছুদিন আগেই পশুদের ওপর হওয়া নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি রোড শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। সেখানে এই বিষয়ের ওপর কিছু বক্তব্য করেন তিনি। কিন্তু ফেসবুকের একটি প্রোফাইল থেকে তাঁকে এই উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানালেও শ্রীলেখার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা মোটেও পছন্দ নয় সেই ব্যক্তির। বিশ্বাস ইনা অনিরূদ্ধ নামের প্রোফাইল থেকে লেখা হয় যে অভিনেত্রী যেন তাঁর অউকাত বুঝেই আন্দোলন করেন, রাস্তায় নেমে ভাম রাজনীতি করতে গেলে তাঁকে চাটনি করে ছেড়ে দেবে। এখানে উল্লেখ্য, শ্রীলেখা বরাবরই বামপন্থায় বিশ্বাসী। তাঁকে সিপিএমের অনেক সভাতেও দেখা গিয়েছিল। আর সেই কারণেই তিনি ট্রোলড হয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ট্রোলের এই সংস্কৃতি আগেও ছিল। পোশাক, বয়স, চেহারা নিয়ে একাধিকবার নোংরা কথা বলা হয়ে গেছে। এখন রাজনীতি যুক্ত হয়ে গিয়েছে। ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 'চাটনি করে ছেড়ে দেব’র মত ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে কারা করছে। শ্রীলেখা এও জানান যে কেন শুধু মহিলাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বারংবার, তাঁদের সুরক্ষা কোথায়।
প্রসঙ্গত, দেবলীনা ও সায়নী কাণ্ডেও শ্রীলেখা সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শ্রীলেখা জানিয়েছেন মহিলারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করেন বলেই বর্তমানে তাঁরা এভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।

ফেলুদা-তোপসের কাস্টিংয়ে নতুন চমক, মঞ্চে ফিরছে প্রদোষ মিত্র