কেকে বিতর্কে আরও বিপাকে রূপঙ্কর, এবার নামী রেস্তোরাঁতেও বয়কট গায়কের গান
কেকে বিতর্কে আরও বিপাকে রূপঙ্কর, এবার নামী রেস্তোরাঁতেও বয়কট গায়কের গান
সময়টা বোধহয় একদমই ভালো যাচ্ছে না গায়ক রূপঙ্কর বাগচির সম্প্রতি নিজের স্যোশাল মিডিয়া সাইট ফেসবুকে লাইভ করে কিছু বক্তব্য রাখেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। আর সেখানেই তাঁর করা একটা প্রশ্ন 'হু ইজ কেকে?' নিয়েই এখন তুফান উঠেছে গোটা বাংলা জুড়ে। ঘটনাচক্রে রূপঙ্করের এই মন্তব্যের ঠিক পরের দিনেই নজরুল মঞ্চে জীবনের শেষ কনসার্ট সমাপ্ত করার পরেই চিরদিনের জন্য সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন ভারতের এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে সকলের প্রিয় কেকে। আর এরপর থেকেই রূপঙ্কর বাগচির উপরে বিপুল ক্ষোভ বর্ষণ করে চলেছেন গোটা বাংলার সর্বস্তরের মানুষ।
চলবে না রূপঙ্করের গান
কেকে-কে নিয়ে রূপঙ্কর বাগচির মন্তব্য নিয়ে কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। প্রতিদিন এই বিষয়ে সামনে আসছে কিছু না কিছু ঘটনা। একের পর বিশিষ্ট থেকে লাখ লাখ সাধারণ মানুষের সমালোচনা তো বটেই, এবার কেকে- কে নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রূপঙ্কর বাগচিকে নিয়ে নিজেদের মতপ্রকাশ করলেন কলকাতার এক নামী রেস্তোরাঁ 'ভূতের রাজা দিল বর'-এর কর্তৃপক্ষ।
নিজেদের রেস্তোরাঁয় রূপঙ্করের কোনও গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'ভূতের রাজা দিল বর' নামক রেস্তোরাঁটি। যাদবপুরের এই রেস্তোরাঁয় নোটিশ টাঙিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নোটিসে লেখা হয়েছে, জনস্বার্থ এবং মানুষের ক্ষোভের কথা মাথায় রেখেই গায়ক রূপঙ্করের কোনও গান আর রেস্তোরাঁয় না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানানো হয়েছে।
এই জিঙ্গল আর নয়
কেকে এর মৃত্যুর আগেই তাঁকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে সোচ্চার হয়েছেন নেটিজেনরা। তারপরেই বিখ্যাত কেক প্রস্তুত কারক সংস্থা বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিজেদের বিজ্ঞাপন থেকে রূপঙ্করের গান সরানোর কথা ঘোষণা করেছে। মূলত এই অত্যন্ত জনপ্রিয় কেক প্রস্তুতকারক সংস্থা হল 'মিও আমরে'। আর এই বেকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনের জন্য জিঙ্গল 'সকলের প্রিয় মিও আমরে'টি গেয়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর। কিন্তু কেকে বিতর্কে নাম জড়ানোর পরেই রূপঙ্করের গাওয়া জিঙ্গল সরানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সংস্থা।
প্রেসমিটে ক্ষমা
একের পর এক বিতর্ক, চূড়ান্ত ক্ষোভ এবং চরম সমালোচনার মুখে পরে অবশ্য নিজের সাফাই দিয়েছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। এমনকি পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে ওই ঘটনার জন্য প্রেসমিট করে ক্ষমাও চেয়েছেন গায়ক। কিন্তু বলা বাহুল্য তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। এবার শহরের নামজাদা রেস্তোরাঁয়ও তাঁর গান কার্যত বয়কট করা হল। উল্লেখ্য,ওই রেস্তোরাঁটি বাঙালি খাবার পরিবেশন করায় সেখানে বিভিন্ন বাংলা গান বাজানো হয় থিম হিসেবে। সেখানে রূপঙ্করের গানও বাজতে শোনা গিয়েছে এতদিন। কিন্তু এবার থেকে তা না বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেস্তোরাঁ টি।
প্রকাশ্যে সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবালের সম্পর্ক, কবে করছেন বিয়ে? তুঙ্গে জল্পনা