২৪ বছরের বিয়ে ভেঙে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত সোহেল ও সীমা খানের, দম্পতিকে দেখা গেল মুম্বই আদালতে
২৪ বছরের বিয়ে ভেঙে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত সোহেল ও সীমা খানের, দম্পতিকে দেখা গেল মুম্বই আদালতে
আরবাজ–মালাইকার বিচ্ছেদের পর এবার একই পথের যাত্রী হতে চলেছেন সোহেল–সীমা খান। ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন সলমন খানের ভাই সোহেল খান ও সীমা, বিয়ের ২৪ বছর পর এই দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন, তাঁরা ডিভোর্সের জন্য ফাইল করেছেন। শুক্রবার, এই দম্পতিকে মুম্বই আদালতের বাইরে দেখা গেল।
মুম্বই ফ্যামিলি আদালতে সোহেল–সীমা
যদিও সোহেল বা সীমার পক্ষ থেকে এই বিচ্ছেদ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে সোহেল ও সীমা যে ডিভোর্সের দিকে এগোচ্ছেন এ কথা একেবারে নিশ্চিত। তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে আলাদা থাকছেন এবং অবশেষে তাঁরা মুম্বই ফ্যামিলি আদালতে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন। সূত্রের খবর, 'ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়েছে এবং কাউকে সেটা জানানো হয়নি। উভয়ই চেয়েছেন এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত থাকুক এবং তাঁরা ডিভোর্সের জন্য আবেদন করে। বেশ কিছু বছর ধরে এই দম্পতি আলাদা থাকছেন।'
সীমা ও সোহেল আলাদা বাড়িতে থাকছেন
সীমা ও সোহেল খান বেশ কিছু সময় ধরেই আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকছিলেন। নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় শো দ্য ফ্যাবুউলস লাইভ অফ বলিউড ওয়াইভস-এ সীমা খান একই কথা জানিয়েছিলেন এবং এও বলেছিলেন যে তিনি ও সোহেল প্রচলিত বিয়ের মধ্যে নেই। সীমা এই শোতে বলেন, 'এটা ঠিক যে কখনও কখনও আপনি যখন পরিণত হয়ে যান, তখন আপনার সম্পর্কগুলি খারাপ হয় এবং বিভিন্ন দিকে যায়। আমি এটার জন্য ক্ষমা চাইব না কারণ আমরা আনন্দে আছি এবং আমার সন্তানরাও ভালো আছে। সোহেল আর আমি কোনও প্রচলিত বিয়ের মধ্যে নেই কিন্তু আমরা একটা পরিবার। আমাদের মধ্যে একতা রয়েছে। আমাদের জন্য দিনের শেষে সন্তানরাই প্রাধান্য পায়।' প্রসঙ্গত, সোহেল ও সীমার দু'টি পুত্র নির্ভান ও ইয়োহান।
সীমা–সোহেলের লাভস্টোরি
এই দম্পতির মধ্যে এখন ভালোবাসা না থাকলেও আগে তাঁদের মধ্যে ভরপুর রোম্যান্স ছিল। অভিনেতা-প্রযোজক সোহেলের সঙ্গে প্রথমবার দিল্লির বাসিন্দা সীমার সঙ্গে দেখা হয় প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া সিনেমার শুটিংয়ে। সেই সময় সীমা মুম্বইতেই থাকতেন এবং ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করতেন। এর মধ্যেই সোহেল ও সীমা ডোট করতে শুরু করেন এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সীমার পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিয়েতে রাজি ছিল না। সোহেল ও সীমা রীতিমতো বাড়ি থেকে পালিয়ে কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ নিজ ধর্মে গোপনভাবে বিয়ে সারেন। বিয়ের ২ বছর পর পুত্র নির্ভানের জন্ম হয় এবং ২০১১ সালে দ্বিতীয় পুত্র ইয়োহান জন্মায়। এরপর সীমার পরিবার এই সম্পর্ককে মেনে নেয়।
প্রকৃত কারণ অজানা
যদিও সীমা ও সোহেলের এই বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি তবে এই সিদ্ধান্ত যে দু'জনের তা বোঝাই যাচ্ছে। খান ভাইদের মধ্যে আরবাজ খান ও মালাইকা অরোরারও বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে অন্যদিকে সলমন খান আজও অবিবাহিত।
ছবি সৌ:ইনস্টাগ্রাম
ব্যোমকেশ–আবীর ছাড়াও কারা কারা রয়েছেন অরিন্দম শীলের 'ব্যোমকেশ–হত্যামঞ্চ’–এ দেখে নিন