নাওয়া-খাওয়া ছেড়েছেন, তবে জেলে বসে এই কাজটি করতে ভোলেননি সলমন
জেলে খাবার না খেলেও নিয়ম মেনে দৈনিক কসরত চালিয়ে গিয়েছেন সলমন। এক জেল আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলে অন্তত তিনঘণ্টা কসরত করেছেন সলমন।
জোধপুর জেলের কয়েদি নম্বর ১০৬। আপাতত এটাই পরিচয় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের। জেলের এক নম্বর ব্যারাকে এই সেলেই বন্দি সলমন জামিনের আবেদন করেছেন। যার শুনানি এখনও হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে জেলে বন্দি সলমন। সেদিন রাতে কিচ্ছু মুখে তোলেননি। শুক্রবার সকালেও সলমন কিছু খাননি। শুধু জল খেয়েছেন। জেলে তরকারি, রুটি, ডালের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে তা খাননি সলমন।
যদিও খাবার না খেলেও নিয়ম মেনে দৈনিক কসরত চালিয়ে গিয়েছেন সলমন। এক জেল আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলে অন্তত তিনঘণ্টা কসরত করেছেন সলমন। ক্রাঞ্চ, পুশ-আপ, স্কিপিং, জাম্পিং সহ একাধিক কসরত করতে দেখা গিয়েছে সলমনকে।
বৃহস্পতিবার রাতে সলমনকে জেল অফিসার জিজ্ঞাসা করেন তিনি সুস্থ আছেন কিনা। সলমন হ্যাঁ বলেন। তারপরে নিজের সেলে মাটিয়ে শুয়ে পড়েন। মাঝরাত থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘুমোন। তারপরে কিছুক্ষণ জেগে থেকে ফের সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছেন।
শনিবার সলমনের জামিনের আবেদনের শুনানি থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে। কারণ জেলা দায়রা আদালতে যাঁর অধীনে সলমনের জামিনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল, সেই রবীন্দ্র কুমার জোশীকে রাজস্থান হাইকোর্ট বদলি করে দিয়েছে। বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশী শুক্রবার সলমনের জামিন না দিয়ে কাগজপত্র দেখতে একদিন সময় চেয়ে নেন। তার মধ্যেই তাঁর বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে। নতুন বিচারক আজই জামিন না দিয়ে কয়েকদিন সময়ও নিতে পারেন।