বড় খবর ঘোষণা করলেন সলমন খান, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’–এর সিক্যুয়েল আসছে খুব শীঘ্রই
বড় খবর ঘোষণা করলেন সলমন খান, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’–এর সিক্যুয়েল আসছে খব শীঘ্রই
বক্স অফিসে 'বজরঙ্গী ভাইজান’ একসময় দারুণ সাড়া ফেলেছিল। সলমন খান অভিনীত এই ছবিটির আবেগে ভরা চিত্রনাট্যের প্রেক্ষাপট এখনও দর্শকদের মনে ছাপ ফেলে রেখেছে। তবে আরও একবার এই ছবির ম্যাজিক আসতে চলেছে। সুপারস্টার সলমন খান সম্প্রতি এই সিনেমার সিক্যুয়েলের ঘোষণা করেছেন। বজরঙ্গী ভাইজানের সিক্যুয়েল লেখা শুরু করে দিয়েছেন আসল সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এস এস রাজমৌলির বাবা কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ।
বজরঙ্গী ভাইজানের সিক্যুয়েল
সলমন খান 'আরআরআর' ছবি মুক্তির আগে সিনেমার প্রচারে গিয়ে এই দারুণ খবরটি শেয়ার করেন। বড় এই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন পরিচালক করণ জোহর, এসএস রাজমৌলি, আরআরআর অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর, রাম চরণ ও আলিয়া ভাট। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অজয় দেবগনের, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। সেখানেই তিনি জানেন যে রাজামৌলির বাবা তাকে খুব ভালো একটি ছবি উপহার দিয়েছিলেন তা হল বজরঙ্গি ভাইজান, এবার সেই ছবির সিক্যুয়েলের পালা, তারও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাজামৌলির বাবা বিজেন্দ্র প্রসাদ। মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়, এখন ভক্তরা অপেক্ষায় কবে এই ব্লকবাস্টার ছবির সিক্যুয়াল মুক্তি পাবে পর্দায়।
বজরঙ্গী ভাইজানের আবেগঘন প্লট
২০১৫ সালের ১৭ জুলাই বজরঙ্গী ভাইজান মুক্তি পায়। কবীর খান পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন করিনা কাপুর, সলমন খান ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি। পরিচালক কবীর খানের অত্যন্ত প্রিয় একটি সিনেমা এটি এবং একমাত্র এই সিনেমাটি তিনি বারংবার দেখেন। ভারত-পাকিস্তানে মাঝে থাকা যে অশান্তি বিদ্যমান সেটা নিয়েই এই সিনেমাটি বার্তা দিয়েছে। যেখানে সাধারণ হনুমান ভক্ত সলমন খান পবন এক বোবা মেয়ে মুন্নিকে পাকিস্তানে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেন। মুন্নি পাকিস্তানের হলেও দুর্ঘটনাবশত ভারতে হারিয়ে যায় এবং পবনের কাছে পৌঁছায়। মুন্নির চরিত্রে অভিনয় করেছিল হর্ষালি মালহোত্রা। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি এই সিনেমায় পাক সাংবাদিকের ভূমিকায় ছিলেন যিনি সলমন খানকে প্রচুর সহায়তা করেন মুন্নিকে তার ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
প্রশংসিত বজরঙ্গী ভাইজান
বজরঙ্গী ভাইজান দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর ভাসোবাসা পায় এবং সিনেমা সমালোচকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার ছবিতে পরিণত হয়। এটির তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক ভাষ্য বজায় রেখে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সংবেদনশীল চিত্রায়নের জন্যও এটি প্রশংসিত হয়েছিল।
সলমনের ছবি ফ্লপ
প্রসঙ্গত, একের পর এক ছবি টাইগার জিন্দা হে থেকে শুরু করে বজরঙ্গি ভাইজান, ভারত মুহূর্তে পার করে গিয়েছিল ১০০ কোটির ক্লাব। বলিউড বক্স অফিসে ঝড় তুলতে সক্ষম একের পর এক ছবি একসময় সলমন খান উপহার দিয়েছে। তবে ছন্দপতন ঘটে শুরু হয় দাবাং ৩ ছবি থেকে। সেখানেই দেখা যায় সলমন খানের ছবি হওয়া সত্ত্বেও ক্রিসমাসের বক্সঅফিসে খুব একটা জায়গা করে নিতে পারেনি। তারপরই পাল্লা দিয়ে জাঁকিয়ে বসে করোনা। তার জেরেই একের পর এক ছবি মুক্তি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের দুটি সিনেমা, রাধে ও অন্তিম। রাধে ছবিটির রিভিউ ভালো হলেও তা ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়ায় খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। অন্যদিকে অন্তিম ছবিও ভাইজানের ছবির তুলনায় কিছুই নয়। তাই এখন সবাই বজরঙ্গী ভাইজানের সিক্যুয়েলের দিকেই তাকিয়ে।