জোধপুর জেলে রাত কাটবে সলমনের, কারা হবে ভাইজানের সঙ্গী জানেন কি
জোধপুরের সেন্ট্রাল জেলে বৃহস্পতিবার অনেক পরিচিত অভিযুক্ত ও অপরাধের মামলায় জেল খাটা আসামীরা সলমনের সঙ্গী হবে।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সলমন খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে জোধপুর আদালত। তিন বছরের বেশি সাজা হওয়ায় জামিনের আবেদন করে এদিনই ছাড়া পাননি সলমন। ফলে সলমনকে বৃহস্পতিবার রাতটুকু অন্তত জেলে কাটাতে হবে।
[আরও পড়ুন:কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় বাকীরা বেকসুর খালাস হলেও কেন সাজা পেলেন সলমন খান]
সলমনের আইনজীবী উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আবেদনের শুনানি রয়েছে। সেখানে জামিন পেলে সলমন শর্তসাপেক্ষে মুম্বই ফিরতে পারবেন।
জোধপুরের সেন্ট্রাল জেলে বৃহস্পতিবার অনেক পরিচিত অভিযুক্ত ও অপরাধের মামলায় জেল খাটা আসামীরা সলমনের সঙ্গী হবে। এই জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছে স্বঘোষিত গডম্যান তথা ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত আসারাম বাপু।
এছাড়া রয়েছে রাজসমন্দে পশ্চিমবঙ্গের আফরাজুলকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা করা শম্ভুলাল রেগর। পাশাপাশি কাশ্মীরের শ্রীনগর জেল থেকে কিছু দুর্ধর্ষ জঙ্গিকে জোধপুরের জেলে নিয়ে আসা হয়েছে। তারাও সলমনের সঙ্গে একই জেলে রাত কাটাবে।
এই নিয়ে মোট চারটি মামলা সলমনের বিরুদ্ধে হয়েছিল। আগের তিনটি মামলায় তিনি ছাড়া পেয়ে যান। শেষ মামলায় এসে সাজা পেলেন। অ্যানিম্যাল প্রোটেকশন অ্যাক্টের ৫১ নম্বর ধারা মেনে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দেখে সলমন খানকে দোষী বলে ঘোষণা হয়েছে।
সলমন খান ছাড়াও এই ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন অভিনেত্রী নীলম, সোনালি বেন্দ্রে, তাব্বু ও সঈফ আলি খান। তবে এঁদের সকলকেই প্রমাণের অভাবে আদালত বেকসুর খালাস করেছে। আদালত সলমনকে 'হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার' বা নানা অপরাধে দুষ্ট বলে জানিয়েছে। যার ফলে বাকীরা সন্দেহের বশে পোক্ত প্রমাণ না থাকায় বেরিয়ে গেলেও সলমন ছাড়া পাননি।