পরমাণু যুদ্ধই কি শেষ পরিণতি! কী ঘটতে চলেছে 'সেক্রেড গেমস ২' -তে
ভগবান কো মানতে হো! গণেশ গাইতোন্ডের গলায় এই ডায়লগ আজও কানে বাজে! তারপরই সর্বশক্তিমান গ্যাংস্টার গাইতোন্ডে বলবেন, ২৫দিন ! মাত্র ২৫ দিন রয়েছে, মুম্বইকে বাঁচিয়ে নেওয়ার জন্য।
ভগবান কো মানতে হো! গণেশ গাইতোন্ডের গলায় এই ডায়লগ আজও কানে বাজে! তারপরই সর্বশক্তিমান গ্যাংস্টার গাইতোন্ডে বলবেন, ২৫দিন ! মাত্র ২৫ দিন রয়েছে, মুম্বইকে বাঁচিয়ে নেওয়ার জন্য। এরমধ্যে প্রথম সিজনে কেটে গিয়েছে ১৩ দিন। বাকি ১২ দিনের রহস্য নিয়েই টান টান অ্যাশন-থ্রিলারের ওয়েব সিরিজ 'সেক্রেড গেমস ২'।
সরতাজ ও গাইতোন্ডে
এই গল্পের শুরুটা হয়েছিল, সরতাজ ও গাইতোন্ডেকে দিয়ে। প্রথম সিজনে পুলিশ অফিসার সরতাজ সিংকে ২৫দিনের মধ্যে নিজের শহরকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন গাইতোন্ডে। দ্বিতীয় সিজনে সরতাজ গ্যাংস্টারদের কবল থেকে মুম্বইকে বাঁচিয়ে হিরো হতে পারে কিনা, সেটাই জানা যাবে।
৪০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে গাইতোন্ডে
প্রথম সিজন যেখানে শেষ হয়েছিল, দ্বিতীয় সিজনের গল্প সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ ৪০ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে গাইতোন্ডে। শুক্রুদের বিরুদ্ধে গাইতোন্ডে এবার কীভাবে প্রতিশোধ নেই, সেটাই দেখার। সেই সঙ্গে তাঁকে যে জেলে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিল, সেই তৃতীয় বাপ কে ,সেই খোঁজ শুরু করবে গাইতোন্ডে।
ত্রিবেদী কেন বাঁচবে, সিজন ওয়ানের শেষ দৃশ্যে কীসের সূত্র ছিল আন্ডারগ্রাউন্ডে
সিজন ওয়ানের শেষ দৃশ্যটা মনে পড়ে। গাইতোন্ডে যেখানে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিল সেই আস্তানায় নির্দিষ্ট একটি সূত্র পেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রবেশ করেছিল পুলিশ অফিসার সরতাজ সিং। এরপর কী কী দেখেছিল।
আন্ডারগ্রাউন্ডে ঢোকার মুহুর্তে পচা গন্ধে নাকে চাপা দিয়েছিল সরতাজ
পরে দেখা যায়, আন্ডারগ্রাউন্ডে, বন্দি ত্রিবেদীর, গায়ে চাপ চাপ রক্তের দাগ!!! ঘরের মধ্যে এয়ার ফিল্টারেশন! তবে কি যুদ্ধের কোনও ইঙ্গিত? গাইতোন্ডেকে জেল থেকে বার করে তাঁকে দিয়েই কি যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হবে? তবে কি মুম্বইয়ের উপর পরমাণু আক্রমণ হবে, হিরোশিমা নাগাসাকির মতো পরিণতি হবে মুম্বইয়ের? সেই সঙ্গে দেশের মন্ত্রীর মুখে ডায়লগ, দেশ এখন সংকটে! পরমাণু যুদ্ধেরই কি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি? চূড়ান্ত কী কী চমক রয়েছে সব উত্তর জানতে দেখতেই হবে সেক্রেড গেমস।
মুম্বই ছেড়ে অপরাধের কালো ছায়া এবার বিদেশের মাটিতে!
শুধু মুম্বই নয়, নতুন সিজনে গাইতোন্ডেকে কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাতে গ্যাংস্টার হিসেবে বিভিন্ন বেআইনি ধান্দা করতে দেখা যাবে।
পুরনো যে সব চরিত্র মারা গিয়েছে
গত সিজনে হামলায় মারা গিয়েছেন অঞ্জলী মাথুর তথা রাধিকা আপ্তে। র-এর এই ভারতীয় এজেন্টকে নতুন সিজনে দেখা যাবে না। সরতাজের পুলিশ সঙ্গী বন্ধু কাকেটার আগের সিজনে মারা গিয়েছে। তাঁকেও এবার দেখা যাবে না।
নতুন যে সব চরিত্র যোগ হয়েছে
নতুন চরিত্রের মধ্যে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় চরিত্র বাটিয়া এবেলম্যান।এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন কালকি। কেনিয়ার র এজেন্ট কেডি যাদব, এই চরিত্রেও অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। এবং শাহিদ খান! যাঁকে বুঝে ওঠা কঠিন। চরিত্রটি করেছেন রণবীর শোরে।
তৃতীয় 'বাপ'- 'গুরুজি' কারা?
দ্বিতীয় সিজনের সবচেয়ে বড় চরিত্র গাইতোন্ডের তৃতীয় বাপ গুরুজি। যে গাইতোন্ডেকে প্রথম সিজনে শেষ পর্যন্ত জেলখানায় মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিল। এই চরিত্রটি করছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি।
'আরও বেশি চমক আরও বেশি থ্রিলার ও আরও বেশি ভয়ানক'
পরিচালক অনুরাগ কাশ্য়প ও বিক্রমাদিত্য় মোতওয়ানে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, থ্রিলারের দিক থেকে দ্বিতীয় সিজন আরও বেশি জমজমাট হতে চলেছে। প্রথম সিজনের থেকে আরও বেশি চমক, আরও বেশি ভয়ংকর হবে দ্বিতীয় সিজন। নেটফ্লিক্সে ওয়েব সিরিজটি মুক্তি পাচ্ছে ১৫ অগাস্ট।