আমি কে কে–এর ভক্ত, তাঁকে নিয়ে কিছু বলতে চাইনি, সমালোচনার মুখে পাল্টি মারলেন রূপঙ্কর
মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক কনসার্টে অনুষ্ঠান করার পর আচমকাই প্রয়াত হন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নুথ ওরফে কে কে। গায়কের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। তিনি জানিয়েছিলেন, কে কে-এর থেকেও ভালো গায়ক তিনি। সঙ্গে একাধিক বাঙালি শিল্পীর নাম তিনি উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর এই লাইভের কিছুক্ষণের মধ্যেই যে কে কে প্রয়াত হবেন তা তিনি জানতেন না। কে কে–এর মৃত্যুর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভঙ্ককর রকমভাবে সমালোচিত হতে থাকেন রূপঙ্কর বাগচী। এই যাবতীয় বিতর্কের মধ্যেই নিজের সাফাই দিলেন রূপঙ্কর।
রূপঙ্কর বলেন, 'আমি ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় রাতে ফিরেছি। মোবাইল অন করতেই কে কে–এর মৃত্যুসংবাদ পাই। দুঃখ লাগছে, কষ্ট হচ্ছে। কে কে অত্যন্ত বড় মাপের শিল্পী ছিলেন। এটা ওঁর মৃত্যুর বয়স নয়। অতীতে অনেক মিউজিশিয়ান ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ওঁর সেই বয়স হয়নি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আমি কেক–এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইনি। মানুষ বুঝতে না পারলে দুঃখ লাগবে। বাংলা গান, বাঙলা সাহিত্য, এই নিয়ে বলতে চেয়েছিলাম। চিনিই না ভদ্রলোককে। ওঁর উপর কেন রাগ থাকবে। আমি ওঁর ভক্ত। আমার বক্তব্য নিয়ে কেউ অন্য কিছু ভেবে থাকলে এটা তাঁদের ভুল।’
প্রসঙ্গত, কে কে–এর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে রূপঙ্কর বাগচী ফেসবুক লাইভ করেন। তিনি বলেন, 'আজ শো করতে কে কে কলকাতায় এসেছিলেন। ওয়ান অ্যান্ড ওনলি কে কে। এই শো নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। তাঁর কনসার্টের কিছু লাইভ ভিডিও দেখছিলাম। তিনি 'ওয়ান্ডারফুল’ গায়ক। কিন্তু, আমার মনে হল সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রকম ভিডিও আমার রয়েছে, সোমলতা, ইমন, মনোময়, রাঘব, উজ্জ্বয়িনী, ক্যাকটাস, রূপমের রয়েছে। আমি গান শুনে যা বুঝলাম আমরা কে কে–এর থেকে সবাই ভালো গান গাই। কেন আমাদের নিয়ে এত উত্তেজনা বোধ করেন না বলুন তো।’ তিনি লাইভে আরও বলেন, 'হু ইজ কে কে? আমরা যে কোনও কে–এর থেকে ভালো গাই। আমি যে গায়কদের নাম নিলাম তাঁরা কে কে-এর থেকে অনেক ভালো। বম্বের শিল্পীদের নিয়ে কেন এত উত্তেজনা! ওড়িশা, পাঞ্জাব, দক্ষিণের ইন্ডাস্ট্রির থেকে শিখুন। বাঙালি হোন ভাই, বোন, মাসি, পিসি, প্রেমিকা, প্রেমিক- বাঙালি হোন প্লিজ।’
মঙ্গলবার এক কলেজের সঙ্গীত কনসার্টে কে কে পারফর্ম করেন। এরপর হোটেলে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এবং তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।