এই চরিত্রগুলিতে 'বিগ বি' অমিতাভ বচ্চন ছাড়া কাউকে ভাবাই যায় না
অমিতাভের ৭৫-তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক কোন সিনেমাগুলি বিগ বিকে ছাড়া অসম্পূর্ণ।
বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন ভারতীয় সিনেমার জগতে সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কদের অন্যতম। সারা পৃথিবীতে তিনি অভিনয় ক্ষমতার মাধ্যমে ভারতের পতাকা উপরে তুলে ধরেছেন। চার দশকের বেশি অভিনয় কেরিয়ারে অমিতাভ একেরপর এক অনন্য সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে কয়েকটি এমন রয়েছে যেগুলি বিগ বি-কে ছাড়া ভাবাই যায় না। অমিতাভের ৭৫-তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক কোন সিনেমাগুলি বিগ বিকে ছাড়া অসম্পূর্ণ।
শোলে-র জয়
শোলের জয় ও বীরুর যুগলবন্দি আজ চার দশক পরও দর্শকদের একইভাবে মোহিত করে। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য দর্শকের মনে গেঁথে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও যেন প্রতিবার দেখার পরও মন ভরে না। এই সিনেমায় জয়ের চরিত্রে অভিনয় করে বন্ধুর জন্য প্রাণের বলি দেওয়া জয়ের চরিত্রটিতে অমিতাভ ছাড়া আর কাউকে ভাবাই যায় না।
পা-এর অরো
প্রোজেরিয়া নামক এক বিরল রোগে আক্রান্ত একটি চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন। পা সিনেমার এই চরিত্রটি সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। এর জন্য অমিতাভকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেক আপ করতে হতো। তারপর শট দিতে তিনি। অভিনয় করে পা-এর জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন অমিতাভ।
পিকু-র ভাস্কর
পিকু সিনেমায় দীপিকার বাবা ভাস্কর ব্যানার্জির চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ। খিটখিটে বুড়ো যিনি কনস্টিপেশনে ভোগেন। এমন এক চরিত্রকে অনবদ্যভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন বিগ বি। এমন চরিত্রে তাঁকে দেখার পর অন্য কারও কথা ভাবাই যায় না।
ব্ল্যাক-এর দেবরাজ সহায়
ব্ল্যাক সিনেমায় রানি মুখোপাধ্যায় যেমন অনবদ্য অভিনয় করেছেন, তেমনই সকলকে মোহিত করেছেন অমিতাভও। দেবরাজ সহায় নামে এক শিক্ষকের চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে হয় যিনি পরে নিজেই মূক ও বধির হয়ে যান।
সরকার-এর সুভাষ নাগরে
সরকার সিরিজের মুখ্য চরিত্রে অমিতাভ বচ্চনকে ছাড়া আর কাউকেই ভাবা যায় না। গ্যাংস্টার-রাজনীতিকের এমন অবিশ্বাস্য কম্বিনেশনে অভিনয় করা একমাত্র বিগ বি-র পক্ষেই সম্ভব।
শাহেনশা-র বিজয়
১৯৮৮ সালে শাহেনশা সিনেমাটি অমিতাভ বচ্চনের সেইসময়ের কামব্যাক সিনেমা। রাজনীতির জন্য প্রায় তিন বছরের বেশি সময় তিনি সিনেমায় দিতে পারেননি। তবে এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে অমিতাভ সেই নামেই খ্যাত হয়েছেন।
ডন-এর বিজয়
বিগ বি-র সবচেয়ে সফল সিনেমাগুলির একটি ডন। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নেন তিনি। ডবল রোলে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ যা সেইসময় সুপারহিট হয়েছিল।
দিওয়ার-এর বিজয়
দিওয়ার সিনেমাতেও নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন বিজয়। এই সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়লগ ... মেরে পাস মা হ্যায়... আজও বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। অমিতাভের অ্যাংরি ইয়ং ম্যানের ভূমিকাতেও অন্যরা বেমানান।
জঞ্জির-এর বিজয়
এই সিনেমাই অমিতাভ বচ্চনকে স্টারডম এনে দেয়। বলিউডে প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ ছিল এই সিনেমাই। এখানেও অমিতাভ অনবদ্য অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। সেইসময় থেকে অমিতাভের হাত ধরেই বলিউডে এই ধরনের চরিত্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
বিরুধ-এর বিদ্যাধর পটবর্ধন
বাবা-ছেলের ভালোবাসা ও পরে ছেলের মৃত্যুর জন্য দুনিয়ার সঙ্গে লড়ে যাওয়া। এই নিয়েই এক অসাধারণ চিত্রনাট্য ছিল বিরুধ-এর। অমিতাভ ও শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ছিলেন জন আব্রাহামও। বিদ্যাধর পটবর্ধনের চরিত্রে ছেলের মৃত্যুর পর অসহায় বাবার কী অবস্থা হয় তা ফুটিয়ে তুলেছিলেন অমিতাভ। যা আর কারও পক্ষেই করা সম্ভব নয়।