এই নায়িকাদের কি 'প্রতিদ্বন্দ্বী' মনে করতেন শ্রীদেবী! বিভিন্ন ঘটনা ঘিরে উঠছে কিছু গোপন তথ্য
তাঁর জনপ্রিয়তার মসনদ ,'চাঁদনি' ছবির পর থেকেই পোক্ত হতে থাকে। বলিউডে জোরালো হতে থাকে তাঁর হাই-হিলের দাপট! এরকম এক সময়ে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমার দৌলতে পরিচিতি থেকে জনপ্রিয়তার পথে
আশি-নব্বইয়ের দশকে বলিউডে খ্যাতির মধ্যগগণে শ্রীদেবী। তাঁর রূপ-সৌন্দর্য , তাঁর অভিনয়, তাঁর হাসিতে মাতোয়ারা সে যুগের আট থেকে আশি। তাঁর জনপ্রিয়তার মসনদ ,'চাঁদনি' ছবির পর থেকেই পোক্ত হতে থাকে। বলিউডে জোরালো হতে থাকে তাঁর হাই-হিলের দাপট! এরকম এক সময়ে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমার দৌলতে পরিচিতি থেকে জনপ্রিয়তার পথে এগোতে শুরু করেন, মাধুরী দীক্ষিত থেকে জয়াপ্রদা, মিনাক্ষী শেশাদ্রি । ততদিনে রেখার মতো অপার সুন্দরী নায়িকার ফ্যান ফলোইং তুঙ্গে। অন্যদিকে, দীপ্তি নাভাল বা ডিম্পল কাপাডিয়ারাও নিজের মতো করে জায়গা করে নিয়েছেন বলি সাম্রাজ্যে । এই পরিস্থিতিতে কোন নায়িকার সঙ্গে শ্রীদেবীর কীরকম সম্পর্ক ছিল দেখে নেওয়া যাক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে।
জয়াপ্রদার সঙ্গে সম্পর্ক
দুই অভিনেত্রীই দক্ষিণী। দক্ষিণভারতের একের পর এক সিনেমা তাঁদের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রাখে। বলিউডে তোফা, মকসদের মতো একাধিক হিট ফিল্ম তাঁরা একসঙ্গে করলেও ইগোর ঠাণ্ডা লড়াইয়ের জন্য তাঁদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না বলে শোনা যায়। একবার রাজেশ খান্না ও জিতেন্দ্র , জয়া ও শ্রীদেবীকে মেকআপ রুমে একসঙ্গে বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। মনে করেন এতে দুজনের সম্পর্কের উন্নতি হবে। কিন্তু পরে মেক আপ রুম খুলে দেখেন , দুই অভিনেত্রী দুদিকে মুখ করে চুপ করে বসে রয়েছেন!
মাধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক
নব্বইয়ের শেষের দিকে যখন একের পর এক প্রজেক্ট থেকে শ্রীদেবী সরে যেতে শুরু করেন, শোনা যায় তখন তাঁর রাগে গিয়ে পড়ে মাধুরীর ওপর। কারণ , সেই সময়ে একের পর এক ছবির অফার যাচ্ছিল মাধুরীর কাছে। অনিল কাপুরের সঙ্গে মাধুরীর জুটিও ছিল হিট।
ডিম্পল কাপাডিয়া
আশি নব্বইয়ের দশকে বিভিন্ন ছবিতে জিম্পল কাপাডিয়ার জায়গায় নেওয়া হতে থাকে শ্রীদেবীকে। কমল হাসানের সঙ্গে 'সদমা', অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে 'খুদা গওয়া' ইত্যাদি ছবিতে ডিম্পলকে সরিয়ে শ্রীদেবী জায়গা করতে শুরু করেন। আর সেই ঘটনাই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে।
সরোজ খানের সঙ্গে মনোমালিন্য
একসময়ে কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্কর চড়াই উতরাই কখনওই আগে থেকে আন্দাজ করা যায় না। আর সেই নিয়ম মাফিক সরোজ খানের সঙ্গে মনো মালিন্য হতে থাকে শ্রীদেবীর। একটা সময়ে শ্রীদেবীর মনে হতে শুরু করে , সরোজ খান মাধুরী দীক্ষিতকে ভালো নাচের স্টেপস দিচ্ছেন। যার ফলে বাড়ছে মাধুরীর জনপ্রিয়তা, আর সেই স্টেপস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রীদেবী।
রেখার সঙ্গে প্রতিযোগিতা
বলিউডের অভিনেত্রীদের মধ্যে রেখা অনেকটাই সূর্যের মতোন। যাঁর আলোয় অনেকে আলোকিত হয়েছেন, কিন্তু তাঁকে কোথাও থেকে ঔজ্জ্বল্য ধার করতে হয়নি। এই রেখাকেও নাকি একটা সময়ে নিজের প্রতিযোগী মনে করতে শুরু করেন শ্রীদেবী। বিশেষত যশ চোপড়ার 'চাঁদনি' ছবিতে রেখাকে সরিয়ে শ্রীদেবীর সুয়োগ পাওয়া, ও ফিল্ম হিট হওয়ার পর থেকে এই ধারণা আরও জাঁকিয়ে বসে শ্রীদেবীর মনে। ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে সেখবর রটতে থাকে।
দিব্যা ভারতী
বলিউডে দিব্যা ভারতীর সময়কার অত্যন্ত ছোট। অকালে তিনি মারা গিয়েছেন। কিন্তু যখন বলিউডে দিব্যা সবে মাত্র আসতে শুরু করেছেন, তখন অনেকেই বলেছেন তাঁর মুখের আদলের সঙ্গে শ্রীদেবীর আদল এক্কেবারে মিলে যায়। যদিও দুই অভিনেত্রীই বলতে থাকেন, যে দুজনের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই, তবে 'লাডলা' ছবিতে দিব্যা ভারতীর অভিনয়ের কথা শুনে একটু বিরক্ত হন শ্রীদেবী। পরে ছবির শ্যুটিং শুরু হলেও দিব্যা ভারতীর অকাল মৃত্যুর জন্য, তাঁর জায়গাতে সেই শ্রীদেবীই অভিনয় করেন।
দীপ্তি নাভালের সঙ্গে সম্পর্ক
আশি নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্যিক ছবির বাইরে সমান্তরাল হিন্দি ছবিতে দাপটে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল। শোনা যায়, তাঁর সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক ভালো-মন্দ কোনওটাই ছিল না। তবে দীপ্তি শ্রীদেবীকে পছন্দ করতেন বলে শোনা যায়। সাম্প্রতি, 'আইয়ারি' অভিনেত্রী রকুলপ্রীতের মুখের আদলের সঙ্গে শ্রীদেবীর মুখের আদলের মিল রয়েছে, বলেও শ্রীদেবীর ভূয়সী প্রশংসা করেন দীপ্তি।
মীনাক্ষী শেশাদ্রি
আশির দশকে শ্রীদেবীকে একটা সময়ে ফিল্মি সফরে বেশ প্রতিযোগিতা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী মিনাক্ষী শেশাদ্রি। মীনাক্ষী সেই সময়ে নিজের পারিশ্রমিক যেভাবে বাড়িয়ে ছিলেন, তাতে তাঁর একমাত্র প্রতিযোগী হয়ে ওঠেন শ্রীদেবী। যদিও শ্রীদেবী কখনও মীনাক্ষীকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না।