লকডাউনের নিয়ম মেনে মুম্বইয়ের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানেই পঞ্চভূতে বিলীন হলেন ঋষি কাপুর
লকডাউনের নিয়ম মেনে মুম্বইয়ের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানেই পঞ্চভূতে বিলীন হলেন ঋষি কাপুর
ফের ইন্দ্রপতন বলিউডে। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের এইচ এন রিল্যায়েন্স হাসপাতালে সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ প্রয়াত হন বরিষ্ঠ অভিনেতা ঋষি কাপুর। তিনি গত দু’বছর ধরে লিউকোমিয়ায় ভুগছিলেন।
শেষকৃত্যে থাকতে পারলেন না মেয়ে ঋদ্ধিমা
করোনা ভাইরাস লকডাউনের মধ্যেই দিল্লি পুলিশ ঋষি কাপুরের মেয়ে ঋদ্ধিমা সাহানি সহ চারজনকে অভিনেতার শেষকৃত্যে মুম্বইয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারবেন না কারণ লকডাউনের কারণে বিমানে যাওয়ার অনুমতি পাননি। তবে দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ ছাড়পত্র নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের পথে রওনা দিয়েছেন। কাপুর সাম্রাজ্যের তৃতীয় প্রজন্মের অভিনেতা ঋষি কাপুরকে বুধবারই তাঁর পরিবার হাসপাতালে ভর্তি করেন। কাপুর পরিবার জানিয়েছে, ৬৭ বছরের অভিনেতার শেষকৃত্য করা হয় দক্ষিণ মুম্বইয়ের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে। পুত্র রনবীর কাপুরের কাঁধে করেই শ্মশানে পৌঁছান ঋষি কাপুর। ইরফানের মতোই তাঁরও শেষকৃত্যে ছিলেন না কোনও বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রী।
লকডাউনের নিয়মেই অভিনেতার শেষকৃত্য
লকডাউনে কিংবদন্তী অভিনেতার শেষকৃত্যে যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তার জন্য আগে থেকেই কাপুর পরিবারের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ঋষি কাপুরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মুম্বইয়ের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে। যেহেতু কড়া ভাবে লকডাউন চলছে, তাই মুম্বইয়ের স্যর এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হসপিটাল থেকে সরাসরি অভিনেতার মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছর সেপ্টেম্বরে চিকিৎসা সেরে দেশে ফেরেন ঋষি
২০১৮ সালে ক্যান্সারের চিকিৎসায় বেশ কিছুদিন ধরে আমেরিকাতে ছিলেন তিনি ৷ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ফেরেন৷ দিন কয়েক আগে দিল্লিতে দূষণের জন্য ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায়, মুম্বইয়ের এই হাসপাতালে এনেই ভর্তি করা হয়েছিল ঋষি কাপুরকে ৷ সেসময় দিল্লিতে শুটিং করছিলেন ঋষি। তারপরে গতকাল তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অসুস্থতার কারনে। ছিলেন স্ত্রী নিতু কাপুর ও ছেলে রনবীর কাপুর। কিন্তু যে এই পরিনতি হবে অনেকেই ভাবতে পারেন নি।
ঋষি
কাপুরের
মৃত্যুতে
শোকাহত
আলিয়া,
কাপুর
পরিবারের
হয়ে
ইনস্টাতে
জানালেন
শেষ
শ্রদ্ধা