রহস্যজনক ব্যক্তির কাছে মাদক চাইছেন রিয়া–সিদ্ধার্থ–শৌভিক, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট শেয়ার সুশান্তের দিদির
মাদক
যোগে
আগেই
নাম
উঠে
এসেছিল
সুশান্ত
সিং
রাজপুতের
প্রেমিকা
তথা
বলিউড
অভিনেত্রী
রিয়া
চক্রবর্তীর।
যে
কারণে
সুশান্ত
কাণ্ডে
সিবিআই,
ইডি
ছাড়াও
এবার
নার্কোটিক্স
কন্ট্রোল
ব্যুরো
তদন্তে
নেমেছে।
এরই
মাঝে
প্রয়াত
অভিনেতার
দিদি
শ্বেতা
সিং
কীর্তি
শুক্রবার
রাতে
বেশ
কিছু
হোয়াটসঅ্যাপ
চ্যাটের
স্ক্রিনশট
শেয়ার
করেন।
যেখানে
গত
বছর
রিয়া
চক্রবর্তী,
তাঁর
ভাই
শৌভিক
হোয়াটসঅ্যাপের
মাধ্যমে
ডুবি
অর্ডার
করছেন।
এই
ডুবির
অর্থ
গুগল
জানিয়েছে
ক্যানাবিস
সিগারেট।
আরও একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে স্যামুয়েল মিরান্ডা 'ব্লুবেরি কুশ’–এর ছবি পাঠায়। অনষ একটি চ্যাটে সিদ্ধার্থ পিঠানি নিশ্চিত করেছেন যে সুশান্ত ডুবস (ক্যানাবিস সিগারেট) পেয়েছেন কিনা। শ্বেতা তাঁর যাচাই না হওয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গত বছর 'এনআইএফডব্লিউ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট শেয়ার করেন। এই গ্রুপে রয়েছেন আয়ুশ এসএসআর, আনন্দি এসএসআর, সিদ্ধার্থ পিঠানি এসএসআর, রিয়া ও অন্যান্যরা। এই চ্যাট গ্রুপে যেখানে অধিকাংশ সদস্যই নিজের নিজের নামে রয়েছেন সেখানে একমাত্র মোবাইলের মালিকের পরিচয় নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে, সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া লিখছেন, 'ডুবি চাই’। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রিয়ার এ টেক্সটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আয়ুশ এসএসআর লেখেন, 'রোলিং’। সিদ্ধার্থ পিঠানি এসএসআর মন্তব্য করেন, 'মিরান্ডা এখানে আছে’। এরপর মোবাইলের কর্ণধার জবাবে লেখেন, 'এদিনের প্রয়োজন মো ওয়াটারসস্টোন বুকিং বাতিল করা হয়েছে। আরও বেশ কিছু কথোপকথনে রিয়া ফের জিজ্ঞাসা করেন, 'আমাদের কাছে ডুব আছে কী?’ কিছুক্ষণের মধ্যেই মোবাইলের মালিক জবাবে বলেন, 'চেকিং। রোলিং হচ্ছে পেয়ে যাবে।’
সুশান্তের দিদির শেয়ার করা আরও একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, যা গত বছরের ২৭ অগাস্ট হয়, সেখানে দেখা গিয়েছে, স্যামুয়েল মিরান্ডা মোবাইল মালিককে লিখছেন, 'একে৪৭ ও ব্লুবেরি কুশ একটু দেখে রাখ।’ এর সঙ্গে মিরান্ডা কিছু ছবিও পোস্ট করেন। এই স্ক্রিনশট শেযার করে তাতে শ্বেতা ক্যাপশন করেন, 'কি চলছে এইসব? সুশান্ত সিং রাজপুতের ঘটনায় এই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক’।
আলাদা একটি টুইটে শ্বেতা আরও কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। ২০১৯ সালের ২১ জুলাইয়ের স্ক্রিনশটে মোবাইল মালিক আয়ুশ এসএসআরকে লিখছেন, 'যখন যাবে ডুবি নিয়ে যেও।’ আয়ুষ জবাবে বলেন, 'সবসময়’। 'টিম এসএসআর’ নামে গত বছর ৫ অগাস্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে সিদ্ধার্থ পিঠানি এসএসআর লিখছেন, 'এসএসারের ডুবসগুলো ঠিক আছে?’ এর জবাবে মোবাইল মালিক হ্যাঁ লেখেন।
১৪ অগাস্টের স্ক্রিনশটে প্রকাশ হয় স্যামুয়েল মিরান্ডা মোবাইল মালিককে অশোক বলে একজনকে ফোন করার নির্দেশ দিচ্ছেন এবং স্যামুয়েল বলেন, '১টা ডুব বাকি আছে।’ মিরান্ডা এও জানিয়েছেন যে তিন অশোককে গত দু’দিন ধরে বলে আসছেন এবং আজকে সেটা আনতে বলার জন্য অশোককে যেন বলা হয়। ওইদিনের আরও একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশটে বলা শৌভিক চক্রবর্তী মোবাইলের মালিককে বলছেন, 'তাড়াতাড়ি পৌঁছাও তোমরা। আয়ুশকে বলো ডুবি নিয়ে আসতে।’ শ্বেতা এই স্ক্রিনশটের ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব?’ শ্বেতার করা টুইটের রিটুইট করে সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে প্রতিক্রিয়া দেন, 'কী? বিস্মিত?’
অন্য একটি টুইটে শ্বেতা জানিয়েছেন যে রিয়া সংবাদমাধ্যমের কাছে মিথ্যা বলছেন। রিয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি এবার কী করে ইএমআই ও বিলের টাকা মেটাবেন। প্রসঙ্গত, সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে রিয়া ও তাঁর পরিবার নিজেদের ব্যক্তিগত খরচের জন্য সুশান্তের টাকা ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইডির পক্ষ থেকে শুক্রবার গোয়ার হোটেল মালিক গৌরব আর্যকে এই তদন্তের কাজে সাহায্যের জন্য তলব করা হয়েছে। ৩১ অগাস্টের আগে তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজির হতে হবে।