মহিলাকেন্দ্রিক ভিন্ন স্বাদের এই সাহসী ছবিগুলি চর্চিত হয়েছে বলিউডে
নারীকে কুর্ণিশ জানিয়ে এপর্যন্ত বলিউড একাধিক ছবি উপহার দিয়েছে। তারই মধ্যে সাম্প্রতিককালের কয়েকটি ছবি বলিউডের সাহসী দিকটিকে তুলে ধরেছে।
নারীকে কুর্ণিশ জানিয়ে এপর্যন্ত বলিউড একাধিক ছবি উপহার দিয়েছে। তারই মধ্যে সাম্প্রতিককালের কয়েকটি ছবি বলিউডের সাহসী দিকটিকে তুলে ধরেছে। নারী ভাবনা বা নারীমননকে সম্মান করতে বলিউডের এই ছবিগুলি কোনও অংশেই কম যায় না। একনজরে দেখে নেওয়া যাক , বলিউডের সেই সমস্ত ছবিকে যারা নারী সাহসীকতাকে , অন্যস্বাদে তুলে ধরেছে।
ডার্টি পিকচার
২০১১
সালে
মুক্তি
প্রাপ্ত
এই
ছবিতে
নাম
ভূমিকায়
ছিলেন
অভিনেত্রী
বিদ্যা
বালান।
অনেকেই
বলে
থাকেন,
এই
ছবি
বলিউডের
৯০
এর
দশকের
অভিনেত্রী
সিল্ক
স্মিথার
জীবনের
ওপর
আধারিত
ছবি।
যদিও
তা
নিয়ে
অনেক
বিতর্ক
ছিল।
তবে
এই
ছবিতে
স্পষ্ট
তুলে
ধরা
হয়,
পুরুষতন্ত্রে
নারীকে
কীভাবে
'তকমা'র
আড়ালে
দমিয়ে
রাখার
চেষ্টা
করা
হয়।
আর
চলচ্চিত্র
জগতে
সেই
ঘটনা
কতটা
মর্মান্তিক
পর্যায়ে
যেতে
পারে।
সেই
বছর
এই
ছবির
জন্য
একাধিক
পুরস্কারে
ভূষিত
হন
বিদ্যা
বালান।
ছবিটিও
বেশ
হিট
হয়।
ফায়ার
পরিচালক দীপা মেহতার ছবি 'ফায়ার' নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল ৯০ এর দশকে। মহিলার প্রতি মহিলার আকর্ষণ তথা হোমো সেক্সুয়ালিটি নিয়ে এই ছবি সাহসীকতার পরচিয় দিয়েছে বলিউডের চিন্তাভাবনার। নন্দিতা দাস ও শাবানা আজমি অভিনীত এই ছবিও বলিউডকে সমৃদ্ধ করেছে।
পার্চড
রাধিকা আপ্তে অভিনীত 'পার্চড' ছবিটির চিত্রনাট্য রাজস্থানের কয়েকজন মহিলাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। ছবিতে মহিলাদের নিত্য জীবনের যে বাস্তবিক সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে, তা রীতিমত ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য সভ্যসমাজকে। এই ছবিও সাম্প্রতিক বলিউডের অন্যতম সাহসী ভাবনার ছবি।
ব্যান্ডিট কুইন
১৯৯৪ সালে শেখর কাপুর পরিচালিত ছবি 'ব্য়ান্ডিট কুইন' ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক অন্য ধারার ছবি। ডাকাত রানী ফুলনদেবীর জীবনের ওপর আধারিত এই ছবি বেশ কিছু বিতর্ক ডেকে আনলেও, চলচ্চিত্রের গুণমানের আঙিনায় সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছে। ছবিটি একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মানও অর্জন করে।
ওয়াটার
২০০৫ সালের অন্যতম বিতর্কিত ছবি 'ওয়াটার' । এই ছবিটিও পরিচালনা করেন দীপা মেহতা। বারাণসীর আশ্রমে বিধবা মহিলাদের কিছু অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় ছবিতে। লিজা রে অভিনীতি এই ছবির চিত্রনাট্য লেখেন অনুরাগ কশ্যপ।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বুর্খা
অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তবের পরিচালিত ছবি 'লিপস্টিক আন্ডার মাই বুর্খা' মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। তবে সেন্সর বোর্ডের তরফে ছবির বিভিন্ন অংশ কাট ছাঁট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যা নিয়ে তলে তুমুল বিতর্ক. তবে সমস্ত বিতর্ক পেরিয়ে সমাজে নারীর বিভিন্ন অবস্থা কে কেন্দ্র করে তৈরি এই ছবি জিতে নিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মান।
পিঙ্ক
অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পরিচালিত এই ছবি সাম্প্রতিক ভারতীয় সমাজে নারী নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। অমিতবা বচ্চন , তাপসী পান্নু অভিনীত এই ছবি ২০১৬ সালের অন্যতম ব্লকবাস্টার ফিল্ম প্রমাণিত হয়।
বেগমজান
সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বলিউড ফিল্ম 'বেগম জান'। ছবিতে দেশভাগের এক অনন্য ছবি তুলে ধরা হয়েছে। যে প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হয়েছে আপামর মহিলাদের এপর চলা কয়েকটি নির্যাতনের ছবি। বিদ্যাবালান অভিনীত এই ফিল্মে কিছু সাহসী সংলাপও ব্যবহার করেছেন সৃজিত।
অনার কলি অফ আরাহ
অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর অভিনীত এই ছবি ছোট শহরে এক যৌন কর্মীর দুর্দশার ছবিটি তুলে ধরেছে। বক্স অফিসে এই ছবিটি সেভাবে সাড়া না পেলেও, এর কাহিনি নিঃসন্দেহে ভাবিয়ে তোলার মতো।
সিক্রেট সুপারস্টার
এক ছোট্ট মেয়ের গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন ও তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া পরিবারিক বাধা, এই নিয়েই গল্প তৈরি হয়েছে 'সিক্রেট সুপারস্টার' ছবির। এদেশে সেভাবে বক্স অফিস না মাতালেও, চিনে এই ছবিটি ব্য়াপক সাড়া পেয়েছে।
মম
শ্রীদেবী অভিনীত এই ছবিটিও বলিউডের বক্স অফিস মাতাতে পারেনি। তবে ছবির গল্প বেশ সাহসীকতার প্রমাণ দেয়। এক্কেবারে অন্যধারার এই ছবিতে শ্রীদেবীর অভিনয় বাড়িতে পাওনা ছিল দর্শকদের জন্য।
[আরও পড়ুন:পুরনো যন্ত্রণা ভুলে সৎ-বোনদের যেভাবে সামলাচ্ছেন অর্জুন,জাহ্নবীর জন্মদিনের আগে নয়া পোস্ট]
কাহানি
কাহানি ছবিটি মূলত এক প্রতিশোধ নেওয়ার গল্পকে অবলম্বন করে তৈরি হওয়া চিত্রনাট্য। তবে ছবি জুড়ে এক মহিলার একার লড়াই মূল উপজীব্য হয়ে ওঠে । বিদ্যা বালান অভিনীত এই বলিউড ফিল্ম , সুজয় ঘোষের অন্যতম সেরা পরিচালিত ছবি। ২০১২ সালে ছবিটি বক্স অফিস মাতিয়ে দিয়েছিল।
অস্তিত্ব
নারীর অস্তিত্ব কী ? তার সার মর্ম কী? এই রকমের একাধিক প্রশ্ন তুলে তৈরি হয়েছে ছবি অস্তিতভা। টাব্বু অভিনীত , ২০০ সালের এই ছবিটি সমাজতন্ত্রে নারী ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাতে তুলে ধরেছে।
মাত্রূভূমি
২০০৩ সালে মুক্তি পায় মাত্রূভূমি ছবিটি। টিউলিপ জোশী অভিনীতি এই ছবিতে উত্তর প্রদেশে ক্রামগত বেড়ে চলা কন্যাসন্তান হত্যা তথা কন্যাভ্রূণ হত্যার পরিণাম তুলে ধরা হয়েছে। অসামান্য এই ছবিটি বলিউডের এক অনন্য সম্পদ।
চাঁদনি বার
টাব্বু অভিনীত , পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের এই ছবি সামাজিক অন্ধকারে ডুবে থাকা মহিলাদের জীবনচরিত প্রকাশ্যে আনে। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হন টাব্বু।