বিএমসির ভাঙচুরের নোটিশ বাতিল, কঙ্গনা রানাওয়াতকে স্বস্তি দিল বম্বে হাইকোর্ট
কিছুটা স্বস্তি মিলল বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের। গত ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর বিএমসির পক্ষ থেকে কঙ্গনাকে পাঠানো তাঁর অফিস ভাঙচুরের নোটিশ শুক্রবার বাতিল করল বম্বে হাইকোর্ট। এক রকমভাবে নৈতিক জয় হল কঙ্গনার।


ভয়াবহ উদ্দেশ্য ছিল ভাঙচুরের পেছনে
হাইকোর্ট জানিয়েছে, কঙ্গনার অফিস ভাঙচুরের পদক্ষেপ কোনও ভয়াবহ অভিপ্রায় নিয়ে ছিল এবং এই ভাঙচুরের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার মূল্য নির্ধারণের জন্য একজনকে নিয়োগ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালত অভিনেত্রীকেও সংযম থাকতে বলেছে।

বেআইনি নির্মাণ নেই
প্রসঙ্গত, বিএমসির পক্ষ থেকে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলা হয়েছে যে তিনি তাঁর অফিসের বেআইনি নির্মাণ করেছেন, যার একটি অংশ নষ্ট করা হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট এ ক্ষেত্রে জানিয়েছে যে এটা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে এবং কোনও বেআইনি নির্মাণ পাওয়া যায়নি। হাইকোর্ট এও জানিয়েছে যে কঙ্গনার অভিযোগ (তাঁর অফিসের অংশ ভেঙে দেওয়া), তা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরই মতামতের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ।

হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ
বিএমসি কঙ্গনা রানাওয়াতকে ৭ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠিয়ে প্রথমে জানিয়েছিল যে ৫ সেপ্টেম্বর বিএমসির আধিকারিকেরা অভিনেত্রীর বান্দ্রার বাংলো পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন যে সেখানে ১৪টি বেআইনি বদল রয়েছে এবং বাংলোর অনুমোদিত প্ল্যান অনুসারে তা বানানো হয়নি এবং এ বিষয়ে বিএমসির ওয়ার্ড অফিস থেকেও কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে বিএমসি কঙ্গনার বাংলো ভাঙতে শুরু করে। কঙ্গনা তৎক্ষণাত তাঁর আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকির মাধ্যমে হাইকোর্টকে দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য বলেন। ওইদিন হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে আদালত ভাঙচুরের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

কঙ্গনা ও বিএমসি যুদ্ধ
এই সবের শুরু হয় কঙ্গনা রানাওয়াতের একটি টুইটের মধ্য দিয়ে। যেখানে অভিনেত্রী মহারাষ্ট্র সরকার ও মুম্বই পুলিশের ওপর অভিযোগ এনে মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। এরপরই শুরু হয় কঙ্গনা বনাম বিএমসির লড়াই।
'মুষল পর্ব শুরু হয়েছে তৃণমূলে'! শুভেন্দুর পদত্যাগে 'দেখ কেমল লাগে'র বার্তা দিলীপের