'মুখ দিয়ে রক্ত উঠত, বয়ফ্রেন্ড রাহুল রাজের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল প্রত্যুষা'
নিরুশা নিখত জানিয়েছেন এই শর্ট ফিল্মে প্রয়াত অভিনেত্রীর বিষয়ে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা নিয়ে আগে আলোচনা হয়নি।
অভিনেত্রী কামিয়া পাঞ্জাবী যিনি প্রত্যুষার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন, একটি শর্টফিল্ম প্রকাশ করতে চলেছেন খুব শীঘ্রই। বলা হচ্ছে প্রত্যুষার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে এই শর্ট ফিল্মের শুটিং করা হয়েছিল। এই ছবির কাহিনি একটি মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের অত্যাচারের জেরে অবসাদে ভুগছিল এবং একাকীত্বের সঙ্গে লড়াই করে চলেছিল। আর বয়ফ্রেন্ডের চরিত্রের নামও এখানে দেওয়া হয়েছিল রাহুল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাহুল রাজ সিং কামিয়ার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে টুইটারে পোস্ট করে কামিয়া বলেছেন, ভয় দেখিয়ে তাকে থামানো যাবে না।
শুধু তাই নয়, ছবির নির্মাতা নিরুশা নিখত জানিয়েছেন এই শর্ট ফিল্মে প্রয়াত অভিনেত্রীর বিষয়ে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা নিয়ে আগে আলোচনা হয়নি।
নিরুশা জানিয়েছেন, "যে রাতে ওর সঙ্গে কাজ করছিলাম তখনই প্রথম জানলাম ও খুব হতাশ ছিল। কামিয়া তখনও এই ছবির অংশ ছিল না। কামিয়া সেটে আসার পর প্রত্যুষা আর্তনাদ শুরু করে। প্রত্যুষা নিজের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে বিভ্রান্ত ছিল। রাহুলকে অবিশ্বাস করতে শুরু করেছিল প্রত্যুষা। তবুও রাহুলকে ভালবাসত সে। একদিন হঠাৎ প্রত্যুষার মুখ থেকে রক্ত উঠতে শুরু করে। ওর এমন অবস্থা হয়েছিল যে ডাক্তার ডাকতে হয়েছিল।"
শুধু তাই নয়, নিরুশার কথায়, একটা সময় ছিল যখন প্রত্য়ুষা ঠিক করে দাঁড়াতে পারত না। বারবার আত্মহত্যার কথা বলত। রাহুল নিশ্চিতভাবে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য নৈতিক ভাবে দায়ী। এই শর্ট ফিল্মে রাহুলের চরিত্রের নাম প্রথমে শান রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যুষাই চেয়েছিলেন এই নাম বদলে রাহুল রাখা হোক।
যদিও রাহুল এই গোটা ঘটনাকে পাবলিসিটি স্টান্ট বলেই দাবি করেছেন। রাহুলের কথায়, তাদের সম্পর্ক থাকা কালীন কোনও শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেননি প্রত্যুষা। প্রত্যুষার আত্মহত্যা বিচারাধীন বিষয়। তাই আমি কামিয়া পাঞ্জাবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে চাই।
আগামী ১ এপ্রিল প্রত্যুষার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকিতে হাম কুছ না কহে সকে শর্ট ফিল্মটি প্রকাশ করবেন কামিয়া। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রত্য়ুষা।