টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যু রহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড়, প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের পুলিশের
টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যু রহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড়, প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের পুলিশের
রহস্য ঘনাচ্ছে টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যুর ঘটনায়। রাতভর গড়ফা থানায় পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিককে জেরা করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গড়ফা থানার পুলিশই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দােয়র করা হয়েছে।
খুনের মামলা দায়ের পুলিশের
টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যু রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। গতকাল রাতভর পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিককে জেরা করেছে গড়ফা থানার পুলিশ। তাতে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।তারপরেই পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুনের মামলা দায়ের করে গড়ফা থানার পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করার পাশাপাশি একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণা, জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, অপরাধমূলর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সাগ্নিককে রাতভর জেরা
পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিককে রাতভর জেরা করেছে পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে সাগ্নিককে জেরা করতে হড়ফা থানায় হাজির হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পর্যায়ের আধিকারীকরা। পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার নামও রয়েছে পুলিশের অভিযোগে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে সম্পত্তি কেনা নিয়ে পল্লবী এবং সাগ্নিকের মধ্যে অশান্তি চলছিল। পল্লবীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিউটাউনে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সাগ্নিক। সেই দেনার টাকা শোধ করা নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন চলছিল ২ জনের মধ্যে। পল্লবী কাজ পাচ্ছিলেন না বলে দেনা শোধ করতে পারছিলেন না এমনই অভিযোগ উঠেছে। সাগ্নিক দাবি করেছেন কাজ না পেয়ে মানসিক অবসােদ ভুগছিলেন পল্লবী। সেকারণেই আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি।
সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ
পল্লবীর পরিবার পাল্টা সাগ্নিকের বিরুদ্ধে পল্লবীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন সাগ্নিক একটি কলসেন্টারে ১৮-১৯ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করছিলেন। পল্লবীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও ছিল সাগ্নিকের। এমনকী ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পল্লবীর। তার নমিিন ছিলেন সাগ্নিক। নিউটাউনে ৫০ লক্ষ টাকার েয ফ্ল্যাটটি বুক করেছিলেন পল্লবী সেটি সাগ্নিকের বাবার নামে কেনা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন পল্লবীর রোজগারের টাকা দিয়ে সম্পত্তি তৈরির ছক কষছিল সাগ্নিক।
আগেই বিবাহিত ছিলেন সাগ্নিক
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পল্লবীর সঙ্গে লিভ ইন করার আগেই একটি মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল সাগ্নিকের। সেকথা জানার পরেই পল্লবীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। সেই রেজিস্ট্রির খবর লুকিয়েই পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সাগ্নিক। এমনকী পল্লবী শ্যুটিংয়ের কাজে বাইরে থাকলে প্রায়ই তাঁর ফ্ল্যাটে অন্য মেেয়কে নিয়ে আসতেন সাগ্নিক। এই নিয়েও পল্লবীর সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। পল্লবীকে সাগ্নিক মারধর করতেন বলে অভিযোগ।