বলিউড স্টার জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও নোরা ফতেহিকে সমন ইডির, আর্থিক জালিয়াতিকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য
ইতিমধ্যেই আরিয়ান খানকে ঘিরে মামলা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলিউডে। মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার আরিয়ানের জামিনের শুনানি ঘিরে একদিকে মামলা যখন চলছে, তখনই বলিউডের নামী দুই অভিনেত্রীর কাছে এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমন। এক আর্থিক জালিয়াতিকাণ্ডে জ্যাকলিন ও নোরাকে সমন পাঠিয়েছে ইডি।
তাঁর 'দিলবর' নাচের তালে কার্যত ঘায়েল হয়েছিল আট থেকে আশি। স্বয়ং সুস্মিতা সেনও নোরার সেই বিখ্যাত বেলি মুভমেন্ট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। নৃত্য তারকা তথা বলিউডের নামী মুখ নোরা ফতেহিকে এদিন আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং কেস অ্যাক্ট ২০২১, অনুযায়ী এর আগে অগাস্টে জ্যাকলিন ফানরান্ডেজকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেই সময় জ্যাকলিনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। উল্লেখ্য, জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখরকে কেন্দ্র করে একটি আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলা চলছিল। আর সেই মামলায় প্রেক্ষিতেই জ্যাকলিন ও নোরার নাম পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে ১৫ টি এফআইআর রয়েছে। এই সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে। সেখানে বহু জনকেই আর্থিক জালিয়াতির চক্রে ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সুকেশের বিরুদ্ধে। এই ব্যক্তির সম্পর্কে তদন্ত করতে নেমেই জ্যাকলিন ও নোরাকে সমন করা হয়।
গত অগাস্ট মাসে একটি বিলাসবহুল নামী দামী বাংলো চেন্নাইতে বাজেয়াপ্ত করে ইডি। জানা যায় ,সেই বাংলোর সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে সুকেশের নাম। চেন্নাইয়ের এই সি ফেসিং বাংলো ছাড়াও ৮২.৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি। সঙ্গে রয়েছে বিলাবহুল গাড়ি। আর এই সমস্তটাই সুকেশ বিভিন্ন সময় মানুষের থেকে আদায় করেছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ২০০ কোটি টাকার একটি তোলাবাজির চক্র একাই চালাত সুকেশ। আর তাকে গ্রেফতার করে সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাজ করা হচ্ছে। তবে এই ইস্যুতে সুকেশের সঙ্গে নোরা ও জ্যাকলিনের কীভাবে যোগাযোগ রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। জানা গিয়েছে, সুকেশ নিজেকে নামি রাজনীতিবিদের আত্মীয় বলে দাবি করে অন্তত ১০০ জন ব্যক্তির থেকে তোলা তুলে গিয়েছে। শুধু যে টাকাতেই এই তোলাবাজির অঙ্ক এসেছে তা নয়। রোলস রয়াসের মতো গাড়িও তোলা হিসাবে নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন সুকেশ। এহেন সুকেশের তাবড় চক্র চলেছে গোটা দেশ জুড়ে। আর তার তদন্ত করতেই একাধির নাম উঠে আসছে পুলিশরে সামনে।