বিফল গেল দামী উপহার, কনম্যান সুকেশের বিরুদ্ধে ইডির সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফতেহি
বিফল গেল দামী উপহার, কনম্যান সুকেশের বিরুদ্ধে ইডির সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফতেহি
২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি কাণ্ডে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউডের জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও নোরা ফতেহির। বুধবার এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে সুকেশ চন্দ্রশেখরের অর্থ তছরূপের মামলায় নোরা ফতেহি সরকারের সাক্ষী হবেন।
উপহারে ভরিয়ে দিয়েছিল নোরাকেও
২০০কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলার মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে জ্যাকলিন ও নোরার নাম জানানোর পরই ইডির নজরে আসে এই দুই বলি ডিভা। উভয় অভিনেত্রী একাধিকবার আর্থিক তদন্তকারী এজেন্সির কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এসেছেন। ইডি সন্দেহ করছেন যে কনম্যান সুকেশই নোরাকে বিএমডব্লিউ উপহার দিয়েছেন। এরপর নোরা নিজেই ইডির কাছে ফাঁস করেন যে চন্দ্রশেখর তাঁকে ওই গাড়িটি দিয়েছেন এবং তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পাল তাঁর প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে নোরাকে গুচির ব্যাগ ও আইফোন উপহার দেয়। গত ১৪ অক্টোবর নোরা ফাতেহি ও সুকেশ চন্দ্রশেখরকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় এই উপহার নিয়েই আলোচনা করা হয়েছিল।
নোরাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় চেন্নাইয়ের ইভেন্টে
নোরা ফতেহি ইডিকে জানিয়েছিলেন যে তাঁকে এক ইভেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লীনা মারিয়া পল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইতে সেই ইভেন্টটি হয়। যদিও গত ১৪ অক্টোবর নোরা ফতেহি এক বিবৃতি জারি করে দাবি করেন যে তিনি কোনও অর্থ তছরূপ ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত নন।
নোরার বিবৃতি
নোরা ফতেহির পক্ষ থেকে তাঁর দল একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, 'এই মামলায় নোরা ফাতেহি শুধুমাত্র ভিক্টিম এবং সাক্ষী হয়ে তিনি এই মামলায় সহযোগিতা ও তদন্তকারী আধিকারিকদের সহায়তা করবেন। আমরা খুব স্পষ্টভাবে এটা জানিয়ে দিতে চাই যে তিনি কোনওভাবে আর্থিক তছরূপ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন, অভিযুক্তকে তিনি চেনেন না বা তার সঙ্গে নোরা ফাতেহির ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই এবং ইডির তাঁকে ডেকে পাঠানো শুধুমাত্র তদন্তে সহায়তা করার জন্য।' যদিও গত ১৪ অক্টোবর নোরা নিজে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনওভাবে অর্থ তছরূপের সঙ্গে জড়িত নন।
সুকেশ চন্দ্রশেখর কে? কি তার মামলা?
সুকেশ চন্দ্রশেখর একজন ধনকুবের কনম্যান, যে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং জ্যাকলিন ও নোরা ফতেহির মতো বলিউড তারকাদের থেকে। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে প্রাক্তন র্যানব্যাক্সির কর্ণধার শিভেন্দ্র সিং, যিনি এখন জেলে, তাঁর স্ত্রী অদিতি সিংকে সুকেশ কিছু মোবাই অ্যাপ ও গলার স্বর পরিবর্তন করার সফটওয়্যার ব্যবহার করে একাধিক ফোন করে। সুকেশ নিজেকে অদিতি সিংয়ের কাছে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নাম নিয়ে ফোন করত। অদিতি সিংয়ের স্বামীকে জেল থেকে বের করার জন্য সুকেশ তাঁর থেকে ২১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। বর্তমানে সুকেশ দিল্লির তিহার জেলে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৫টি এফআইআর আছে।