অমিতাভ বচ্চন ও আনন্দ মাহিন্দ্রার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করতে অনলাইনে আবেদন নেটিজেনদের
অমিতাভ বচ্চন ও আনন্দ মাহিন্দ্রার সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করতে অনলাইনে আবেদন নেটিজেনদের
প্রভাবশালী মাইক্রো–ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার, যা ১৩ মিলিয়ন ভারতীয় ব্যবহার করেন, সেটি একটি শক্তিশালী জায়গা যেখানে প্রতিদিন হিরো ও আইকনরা তৈরি হচ্ছে ও নষ্ট হচ্ছে। আজকের টুইটার হিরো কালকে নেটিজেনদের চোখে বিদ্রুপের শিকার হতে পারেন। তবে এত সবের মধ্যেও টুইটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই মুখ হলেন বলিউড সেলেব অমিতাভ বচ্চন ও উদ্যোগপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর দিতে পারদর্শী এই দু’জন
একজন হলেন সুপারস্টার, যিনি তাঁর অভিনয়, স্টারডম ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বশে রেখেছেন আর অন্য জন হলেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান, যিনি পরিচিত বিভিন্ন সামাজিক ও সামাজিক কারণে তার ন্যায্য কাজের নৈতিকতা এবং উদারতার জন্য। কিন্তু সম্প্রতি তাঁরা দুজনেই নেটিজেনদের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছেন কারণ উভয়ই যাচাই না করে কিছু পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দু'জনেই একাধিক সময় ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন এর আগেও। দু'জনেই বিশ্বাস করেন হোয়াটস অ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব তথ্যকে এবং দু'জনেই সমানভাবে অ্যাপে আসা সবকিছুকে যাচাই না করেই শেয়ার করে দেন।
মাহিন্দ্রা ও বচ্চনের সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অনলাইনে আবেদন
সম্প্রতি মাহিন্দ্র একটি পাতা দিয়ে তৈরি মুখের মাস্ক সংক্রান্ত ভুয়ো খবর টুইট করেন। এই টুইটের পরই নেটিজেনরা আনন্দ মাহিন্দ্রা ও বচ্চনের দু'জনের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন। শুধু তাই নয় মাহিন্দা ও বচ্চনকে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে ফেসবুক সিইও মার্কস জুকেনবার্গকে চেঞ্জ ডট অর্গানাইজেশনে অনলাইনে আবেদন জানানো হয়েছে। এই আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছেন জনপ্রিয় প্যারোডি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ‘রোফল গান্ধী'। এই আবেদনের উদ্দেশ্যই হল, এই দুই ব্যক্তিত্ব, যাঁরা বারংবার হোয়াটস অ্যাপের খাওয়ানো খবরকে সত্য মনে করে তা শেয়ার করে ট্রোলড হন তাঁদের মর্যাদাকে ফের ফিরিয়ে আনা। ইতিমধ্যেই ১৩০০ সই পড়েছে এই আবেদনে।
অমিতাভের হোয়াটস অ্যাপ আনইনস্টলের জন্য বলা হয়
একই ভাবে বচ্চনও বিভিন্ন সময় নানা ধরেনর ভুয়ো খবর শেয়ার করে ট্রোলড হয়েছেন এবং তাঁকেও নেটিজেনরা হোয়াটস অ্যাপ আনইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছেন। ৬ এপ্রিল তিনি প্রধানমন্ত্রীর ৯ মিনিট প্রদীপ জ্বালানোর কর্মসূচি নিয়ে একটি ভুয়ো ছবি দেন। যা নিয়ে ট্রোলড হন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।