পোষ্য ক্লিনিকে কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল নাসিরুদ্দিন শাহের মেয়ের বিরুদ্ধে
ভেটেরনারি ক্লিনিকে ঢুকে দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল নাসিরুদ্দিন শাহের মেয়ে হিবা শাহের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে ক্লিনিকের এক মহিলা কর্মীকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিচ্ছেন হিবা। আর এক কর্মীকে সপাটে চড় মারতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
গত ১৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ভারসোভার একটি ভেটেরনারি ক্লিনিকে ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছে হিবার বিরুদ্ধে। পেশায় অভিনেত্রী হিবা স্বীকারও করেছেন যে তিনি ওই ক্লিনিকের কর্মীদের মারধর করেছেন। তবে তার আগে হিবাকেই আক্রমণ করেছিলেন ক্লিনিকের কর্মীরা।
Mumbai's Versova police have registered a non-cognizable offence against actress Heeba Shah (daughter of actor Naseeruddin Shah) for allegedly assaulting 2 employees of a veterinary clinic on January 16. pic.twitter.com/M2u4rdgGTL
— ANI (@ANI) January 25, 2020
ভারসোভার ওই ক্লিনিক পরিচালনা করে দ্য ফেলাইন ফাউন্ডেশন নামের এক সংস্থা। সেই সংস্থার এক সদস্য মৃদু খোসলা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন নিজের এক বন্ধুর দুটি বিড়ালকে নিয়ে স্টেরিলাইজেশন করাতে ওই ক্লিনিকে এসেছিলেন হিবা। রিসেপশনে থাকা কর্মীরা হিবাকে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। কারণ তখন ক্লিনিকে একটা অপারেশন চলছিল। মিনিট ২–৩ পরেই বেজায় চটে যান হিবা। কর্মীদের কাছে জানতে চান তাঁকে কেন অপেক্ষা করানো হচ্ছে।
মৃদু খোসলার কথায়, 'হিবা সরাসরি বলেন জানো না আমি কে? কেন এতক্ষণ অপেক্ষা করাচ্ছ আমায়? কেউ আমার দিকে কোনও মনোযোগই দিচ্ছে না। ঢোকার সময় কেউ খাঁচাটা ধরে সাহায্য করতেও এল না।’ এরপরেই চিৎকার করতে করতে রিসেপশনে থাকা মহিলা কর্মীর দিকে এগিয়ে যান হিবা। তাঁকে ধাক্কা দেন। এরপর বিড়ালের খাঁচা নিয়ে ক্লিনিক থেকে বেরনোর দরজার দিকে যেতে দেখা যায় হিবাকে। সেই মুহূর্তে এগিয়ে আসেন ক্লিনিকের দুই মহিলা কর্মী। তখনই একজনকে মারধর করতে শুরু করেন হিবা। অভিনেত্রীকে থামাতে এগিয়ে আসেন আর এক কর্মী। প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এই গোটা ঘটনাই।
এদিকে মারধরে কথা স্বীকার করেছেন হিবা। তবে তিনি বলেছেন, প্রথমে তাঁর সঙ্গেই অভব্য আচরণ করেছেন ক্লিনিকের কর্মীরা। ঢোকার মুখেই বাধা দেন গেটের রক্ষী। জিজ্ঞেস করেন হাজার প্রশ্ন। তারপর ক্লিনিকের ভিতরেও তাঁর গায়েই কর্মীরা আগে হাত তুলেছেন বলে দাবি করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহের মেয়ে। হিবার কথায়, 'ওঁরাই প্রথমে খারাপ ব্যবহার করেছেন। খারাপ ভাবে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওঁদের বোঝা উচিত যে কারও সঙ্গে এভাবে দুর্ব্যবহার করা যায় না। ক্লিনিকে আসা সকলের সঙ্গেই ওঁদের নম্রভাবে কথা বলা উচিত।’