
জামিনের তিনদিন পর জেল থেকে মুক্তি মাদক কাণ্ডের অন্যতম দুই অভিযুক্ত মুনমুন ও আরবাজের
শাহরুখ–পুত্র আরিয়ান খান মুম্বই মাদক কাণ্ডে জামিন পাওয়ার পাশাপাশি এই মামলায় যুক্ত মুনমুন ধামেচা ও আরবাজ মার্চেন্টেও জামিন পেয়েছেন। রবিবারই তাঁদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুনমুন ধামেচাকে রাখা হয়েছিল বায়কুল্লা মহিলা জেলে এবং আরবাজ ছিলেন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে আরিয়ানের সঙ্গে।

জামিন পাওয়ার তিনদিন পর এই দু’জন জেল থেকে ছাড়া পেলেন। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর মুম্বই প্রমোদতরীর মাদক কাণ্ডে এনসিবি আরিয়ান খান সহ এই দু’জনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবারই বম্বে হাইকোর্ট মুনমুন ও আরবাজ সহ শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের মাদক কাণ্ডে জামিন মঞ্জুর করে। জামিন সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি কাজ শেষ হওয়ার পরই শনিবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ এসে পৌঁছায় বায়কুল্লা জেলে। এরপর রবিবার মুনমুন ধামেচা জেল থেকে রেহাই পান।
শুক্রবার দুপুরে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও ধামেচাকে জামিনের ১৪টি শর্ত মেনে রেহাই দেয়। প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। মুনমুন ধামেচার আইনজীবী আলি কাসিফ খান রবিবার বলেছেন, 'সমস্ত আইনি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরই মুনমুন ধামেচা রবিবার জেল থেকে মুক্তি পান। এরপর আমরা এনসিবির থেকে অনুমতি চাইব যাতে আমার মক্কেল মধ্যপ্রদেশ যেতে পারেন। কারণ তিনি সেখানকার বাসিন্দা।’ তবে জানা গিয়েছে, আরবাজ মার্চেন্টকে এখনও জেল কর্তৃপক্ষ মুক্তি দেয়নি। আরবাজ খানের জামিনের পর শনিবারই তাঁকে আর্থার রোড জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তিনি শনিবারই বাড়ি ফিরে আসেন।
আরবাজ মার্চেন্টের মুক্তি নিয়ে খান জানিয়েছেন যে শনিবার জেলের সময়সীমার দু’ঘণ্টা পর সাড়ে সাতটা নাগাদ আইনি কাজকর্ম শেষ হয় এবং রাত সাড়ে আটটা জামিনের আদেশ জেলের বক্সে ফেলে আসা হয়। হাইকোর্টের সম্পূর্ণ আদেশে বলা হয়েছে যে আরিয়ান খান, মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে প্রত্যেক শুক্রবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে এনসিবি দফতরে হাজিরা দিতে আসতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর রাতে এনসিবি গোয়াগামী ক্রুজের রেভ পার্টিতে হানা দিয়ে একাধিক নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করে। সেখান থেকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আরিয়ান খান সহ ৬ জনকে আটক করা হলেও পরে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে এনসিবি। আরিয়ানের জামিন খারিজ হয় বারংবার। তবে অবশেষে বৃহস্পতিবার শাহরুখ পুত্র জামিনে ছাড়া পান।