শেষযাত্রায় মৃণাল সেন, রাজপথে আবেগঘন শঙ্খ ঘোষ থেকে অপর্ণা-নন্দিতারা
ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন তিনি, তেমনভাবেই বাংলার অন্যতম 'অহংকার' মৃণাল সেনকে চিরবিদায় জানাল শহর কলকাতা।
ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন তিনি, তেমনভাবেই বাংলার অন্যতম 'অহংকার' মৃণাল সেনকে চিরবিদায় জানাল শহর কলকাতা। তাঁর মরদেহে রাখা হয়নি কোনও পুষ্পস্তবক , আয়োজন ছিলনা তোপধ্বনির.. কারণ এমনটাই ইচ্ছা ছিল কিংবদন্তী এই পরিচালকের। এদিনের শোক মিছিলে সামিল ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের একাধিক নামী ব্যক্তিত্ব থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। দেশপ্রিয় পার্ক থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মাশানের উদ্দেশে এঁদের নিয়েই এগিয়েছে শোকমিছিল।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
এদিন শোক মিছিলে রাজপথে দেখা গেল টলিউডের অন্যতম মেগাস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। ব্যক্তিগত স্তরে প্রসেনজিতের প্রতি মৃণাল সেনের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে এদিন স্মৃতিবজড়িত হয়ে পড়েন এই মেগাস্টার।
নন্দিতা দাস
বলিউড অভিনেত্রী তথা পরিচালক নন্দিতা দাস এদিন বলেন, 'এঁর ছবি ভাবতে বাধ্য করত.. আমিও চেষ্টা করেছিল এরকম কিছু ছবি করার কিন্তু পারিনি। উনি চিরকাল মানুষের জীবনকে তুলে ধরে ভাবাতে চেয়েছেন...'।
মিছিলে অপর্ণা সেন- মাধবী
এদিনের শোক মিছিলে দেখা যায় বিশিষ্ট অভিনেত্রী অপর্ণা সেন থেকে মাধবী মুখোপাধ্যায়কেও। রাজপথে নামেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ। এদিনে শঙ্খ ঘোষের হাত ধরে তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন মৃণাল পুত্র কুণাল সেন। সব মিলিয়ে যেন এই শোকযাত্রা এক অনন্য মর্যাদা, সম্ভ্রমের পর্যায়ে উন্নিত হয়।
অনীক-সৃজিত
এদিনের শেষ যাত্রায় হাজির ছিলেন পরিচালক অনীক দত্ত থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতির পাশাপাশি হাজির ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুরাও।